আজ ভারতে সরকারী পৃষ্ঠ পোষকতায় রংগিং বেল নামের একটি কোম্পানি পৃথিবীর সবথেকে সস্তা স্মার্ট ফোন ‘ফ্রিডম ২৫১’ প্রকাশ করতে চলেছে। যার দাম পরবে ভারতীয় রুপিতে ২৫১ টাকা, আর বাংলাদেশী টাকায় ২৮৮ টাকা। অথচ গতকাল পত্রিকায় এসেছিল যে ৫০০ টাকার কম মুল্যে পাওয়া যাবে। একদিনেই সেটা ঠাস করে অর্ধেক কমে গেছে প্রায়।
পক্ষান্তরে বাংলাদেশও কম যায় কিসে? গত কয়দিন আগেই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মন্ত্রী ঘোষণা করেন যে মাসিক ২৫/৩০ টাকা কিস্তিতে স্মার্ট ফোন দেওয়া হবে। চলবে দীর্ঘ মেয়াদী কিস্তি। এতে করে সব ধরনের মানুষের হাতে স্মার্ট ফোন পৌঁছে যাবে বলে মনে করা হয়। তবে এক্ষেত্রে ভারত একটু বেশি সরেষ, হাফ কেজি মাংসের টাকা দাও আর স্মার্ট ফোন হাতে নিয়ে নাচতে নাচতে বাড়ি যাও।
এক্ষেত্রে পাগল মন জানতে চায়, ঠিক কি কারনে ভারত এবং বাংলাদেশের সরকার মনে করেন যে দেশের মানুষের জীবন মান উন্নয়নের একমাত্র বাধা হচ্ছে মানুষের হাতে স্মার্ট ফোন না থাকে। তাই যে কোন মুল্যে তাদের হাতে স্মার্ট ফোন তুলে দিলেই তারা স্মার্ট হতে শুরু করবে। অবশেষে স্মার্ট ফোনকেও কি তাহলে মৌলিক চাহিদার তালিকায় স্থান দেওয়া হচ্ছে? এই প্রশ্ন সরকারের কাছে নয়, পাঠক দের কাছে। আপনারা কে কি মনে করেন এই ব্যাপারে? মানে মতামত কি?
সঠিক উত্তরদাতাদের জন্য কোন পুরষ্কারের ব্যাবস্থা করা হয় নাই বলিয়া দুঃখিত--
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫