আমরা শৈশব থেকে শুধু মেনে নিতেই শিখি, মনে নেওয়ার প্রশ্নটা আমাদের কল্পনার বাইরে থাকে । আমাদের মুঠোফোন গুলো কল রিসিভ করার উপযোগী থাকে , সঙ্গে থাকে একটা নূন্যতম ব্যালেন্স যাকে দীর্ঘ করাটা আমরা দায়িত্ব ভাবি । খুব খুশির সংবাদে সবাই মিলে ফুচকা-চটপটি খাই , প্রিয়জন কে ঘিরে স্বপ্ন দেখি: তারপর সংসারের আসন্ন দায়িত্ব নেওয়ার চিন্তায় কাতর হয়। ছেড়া স্যান্ডেলটা নিয়ে বারবারই মুচির সরনাপন্ন হই, তবুও কারও গাড়িতে উঠতে আমাদের আত্মসম্মানে বাধে, কোন শুভ দিনে যথাসাধ্য উপহার দিতে কার্পণ্য করি না , মেয়ের বিয়ের সম্বন্ধ এলে পাত্রের বংশ মর্যাদা দেখি । সংস্কার আর কুসংস্কার----"কোনটিতেই আমাদের অত্যুক্তি নেই"। আমরা এখনো বাচ্চাদের রীতিনীতি শেখাই, মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনাই, জাতীয় সঙ্গীতের সময় দাড়াতে শেখাই । কেননা মধ্যবিত্তের আছেই এক অলংকার----"অহংকার নয় অহংবোধ" । আমরা এখনো পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় গুরুজনদের পা স্পর্শ করি, আশীর্বাদ চাই সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য । মেয়েদের শালীনতা শেখাই, প্রথম পাওয়া বেতনটা মায়ের হাতে তুলে দিই । একদিন ভালো খেলে তিন দিন ডাল ভাত খাই । রোজার ঈদে কাপড় নিলে কোরবানির ঈদে নিই না । আমরাই টুকটাক গান শিখি, কবিতা পড়ি, প্রয়োজনে কলম ধরি, টিউশনী করি । সুখ-শান্তির দ্বন্দ্বটা আমরা সবচেয়ে ভালো উপলব্ধি করি । তারপর একদিন অবসর ভাতা দিয়ে কোনরকম একটা মাথা গোজার ঠাই গড়ে নিই আর প্রজন্ম কে শেখাই ---লেখাপড়া করে যে , গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে ।দু একজন ভাগ্যবান-ভাগ্যবতী পারে বৃত্তের পরিধি ছুতে, গাড়ি ঘোড়াই চড়তে, কিন্তু বাকি সব কেন্দ্রগামী মানুষগুলো সারা জীবন কষ্ট করে শুধু বৃত্তের সমীকরন তৈরি করে { x2+y2+2gx+2fy+c=0 } আর জটিলই করে সমীকরনটা-----সমাধান করার মত সৌভাগ্য তাদের কখনোই আসে না ।।।।।।।।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৪২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




