রাত্রি দ্বিপ্রহরে ভাবিলাম
একখানা পত্র লিখি
কোনো রাতজাগা পীশাবকের নিকট,
যে কিনা তাহার মায়ের আঁচলের
উষ্ণতার প্রতীক্ষায়...
অথচ সে জানে না
তাহার এই প্রতীক্ষার অবসান ঘটিবে না।
এই পত্রখানিতে
আমি তাকে এমন কিছু দিতে চাই--
যাতে সে আর
প্রতীক্ষার প্রহর গুনিতে না থাকে।
আমি একখানা পত্রের মাঝে
মায়ের ডানা বিছাইয়া
তাহাকে শিখাইতে চাই
উড়িতে শিখিতে হয় একাকীই;
তাহাতে বাতাসের গন্ধের মাদকতায়
যে মাতলামী রহিয়াছে
তাহা উপলব্ধি করিয়া
নিজের দিক নির্দেশ করিতে পারে...
আমি সেই পক্ষীশাবকের
শাবক বিশেষণটি মুছিয়া দিতে চাই।