আমেরিকায় বসে যারা বাংলাদেশে আমেরিকান ধরনের গনতান্ত্রিক পরিবেশ আশা করি - তাদের স্মরন করিয়ে দিতে চাই - আমেরিকার গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার পিছনে একটা কঠিন এবঙ রক্তাক্ত ইতিহাস আছে। ১৯৭৫ থেকে ১৭৮৩ সাল পর্যন্ত আমেরিকান রিপাবলিকান আর ইংল্যান্ডের লয়ালিষ্টদের (আমেরিকান রাজাকার) মাঝে গৃহযুদ্ধ হয়েছিলো। যখন রিপাবলিকানরা বিজয়ী হয় - তখন তারা পরাজিত লয়ালিষ্টদের হত্যা, বহিষ্কার, সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে - ফলে লয়ালিষ্টরা মুলত দেশত্যাগ করে কানাডা আ ইউরোপে চলে আসে। মোদ্দা কথা পরাজিত শক্তিকে পরিপূর্ন পরাজিত করেই একটা শাসন ব্যবস্থা চালু হয়েছিলো - যা প্রায় ৩০০ বছর ধরে চলছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের জন্মের যুদ্ধে পরাজিতরা মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে ফিরে আসে - শুধু আসেইনি - ক্ষমতাবান হয়ে উঠেছে। সমাজে প্রভাব বিস্তার করেছে। এরা ৭৫ সাল থেকে ৯০ সাল পর্যন্ত একছত্রভাবে দেশের ক্ষমতার কাছাকাছি থেকে দেশের নীতিনির্ধারনে ভুমিকা রেখেছে।
এই অবস্থায় কিভাবে আশা করি - রাজাকারদের সাথে নিয়ে রক্তাক্ত ইতিহাস ভুলে একটা গনতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরী হবে? আমেরিকানরা এক সময় সাদ্দামকে বন্ধু বানায় - অন্যসময় শত্রু বানায়। আমেরিকান এই হিপোক্রেসীর সময় তাদের নিজেদের ইতিহাস ভুলে যায়। যদি বাংলাদেশে মানুষের মর্যাদা আর দেশের ইতিহাসে প্রতি সামান্য সন্মান দেখানোর ইচ্ছা থাকতো তা হলে আমেরিকান রাষ্ট্রদূত জামাতের সন্মেলন মঞ্চে উঠে তাদের গনতান্ত্রিক শক্তি বলে প্রশংসা করতো না - যেমনটা তারা লয়ালিষ্টদের বিষয়ে করেনি।
বাংলােধেম পরষ্পর বিরোধী রাজনৈতিক বিভাজনের মুল হলো রাজাকারতন্ত্রের প্রত্যাবাসন - তাদের রাজনীতি কেন - অন্তিত্বই থাকার কথা ছিলো না - যেমনটা আমেরিকায় নাই। নায়েগ্রা রিভারের উত্তর তীর ধরে অনেকগুলো লয়ালষ্ট দূর্গ আছে - যা আমেরিকা থেকে বিতারিত পরাজিত লয়ালিষ্টদের স্বাক্ষ্য দেয়।
আমি আশাবাদী একসময় বাংলাদেশ থেকে ৭১ এ পরাজিত শক্তি পরিপূর্ন পরাচিত হয়ে ইতিহাসের পাতায় চলে যাবে - তখনই দেশে গনতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরী হবে - ভোটে মানুষ তাদের নেতা নির্বাচন করবে - অবশ্যই পরাজিত আর বিজয়ী দুইদলই মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে ধারন করে তাদের লক্ষ্য আর আদর্শ অনুসরন করবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




