২০১৪ সালে বিএনপি জামাতের অবরোধ চলছিলো - অনির্দিষ্ট কালের অবরোধ - যদিও সেই অবরোধ আনুষ্টানিক ভাবে প্রত্যাহার না করায় ট্যাকনিক্যালি এখনও চললে। চলবে কেয়ামত পর্যন্ত। মনে হয় অবরোধে দিনকে পাই এর মান (৩.১৪....) দিয়ে গুন করার কারনে অবরোধ একটা ইনফিনিট ল্যুপে পড়ে গেছে। এইটা আর থামার কোন সুযোগ নাই - কার্যকারীতা বিষয়ে নাইবা বললাম।
বিষয় অবরোধ না - বিষয় হলো বিএনপি-জামাতের রাজনীতি। এক সময় বিএনপি জামাত ইসলামের পক্ষে রাজনীতি করতো বলে দাবী করতো - আওয়ামীলীগে ভোট দিলে দেশ ইন্ডিয়ার কাছে বেঁচে ফেলবে - মসজিদের উলু ধ্বনি হবে ইত্যাদি ইত্যাদি প্রচার করতো। সেই দল অবরোধের সময় তবলিগের মুরব্বীরা গিয়েছিলে খালেদা জিয়ার কাছে - অনুরোধ করেছিলেন - বিশ্ব ইসতেমার সময় অবরোধ স্থগিত করতে। কিন্তু বিএনপি সাফ সাফ বলে দিয়ে ছিলো নেহি। কভি নেহী। অবরোধ চলবে। টিভিতে দেখেছিলাম মুরব্বীদের হতাশ আর বিষন্ন চেহারাগুলো।
আজ বিএনপি আরো কিছু বাম-ডান সাইট কিক সাথে নিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন করছে - তা আজ কাল চুড়ান্ত রূপ নেবে এমন একটা ধারনা দেওয়া হচ্ছে - কিন্তু চুড়ান্ত আন্দোলনের ধাপ যেতে অক্টোবের পুঁজার জন্যে একটা ব্রেক নিতে হবে - এই ধারনা খোদ বিএনপি থেকে পাওয়া যাচ্ছে।
মুসলিমদের বড় জমায়েত বিশ্ব ইসতেমাকে ইগনোর করা এই দল আজ সেকুলার হয়ে উঠছে - এরা পুঁজার প্রতি সন্মান দেখানোর চেষ্টা করছে। বটে। এইটা মনে হচ্ছে বিএনপির পথে আসার মতোই। ভানু বন্দোপাধ্যায়ের একটা কৌতুকে আছে স্বামী স্ত্রীর সাথে ঝগড়ায় না পেড়ে যখন স্ত্রঅর কথায় রাজী হয় - তখন স্ত্রী বলে উঠে - পথে আসো।
এই পথে আসার অবশ্য একটা কারন আছে - বিএনপির জন্ম হয়েছিলো এক সামরিক সরকারের ছত্রছায়ায় - সেই দলে মুলত দুইটা স্রোত এসে মিলেছিলো - একটা ছিলো মুসলিম লীগ - যারা ইসলামের নামে রাজনীতি করতো - আরেকটা চিনপন্থী বাম- মুলত মাওলঅনা ভাসানীর সমর্থকদল। কালের আবর্তের মুসলিমলীগের ধারা হারিয়ে গেছে - এখন রয়ে গেছে বামপন্থীরা - এদের প্রভাবে বিএনপি মুলত একটা সেক্যুলার দলে পরিনত হয়েছে - শুধু মাত্র দলে শীর্ষ নেতা একজন নীতি - আদর্শহীন মানুষ। তাই বিএনপি একটা স্থবির দলে পরিনত হচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




