আজ দেখলাম ভূইঁফুড়ো একটা সংগঠন সেমিনারের আয়োজন করছে - এইটা ইউনুসের জাতীয় ঐক্যে সংলাপের ব্যর্থতার পর আরেকটা উদ্দোগ - মুল বিষয় হলো আওয়ামীলীগকে রাজনীতি থেকে বিদায় করে নতুন একটা রাজনৈতিক ব্যবস্থা চালু করা। এইটা ইউনুসের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। ৯০ দশকে সিরাজগঞ্জের গ্রামীন মৎস প্রকল্পের ঝামেলার পর থেকেই ইউনুস আওয়ামী বিদ্বেষী ভুমিকায় চলে গেছে।
এই প্রসংগে মনে হলো কিছু কথা - প্রানীজগতের ভিডিও দেখতে বেশ মজা লাগে - তবে আমার অপছন্দের প্রানী সাপের ভিডিও বিশেষ করে সাপের খাওয়ার ভিডিও দেখতে বেশ অস্বস্থি লাগে - কারন সাপ তার মুখের থেকে বড় কোন প্রানী খাও - একবার মুখে ঢুকারোর পর সাপ নিজেই সমস্যায় পড়ে যায় - সেই সময়টা সাপের জন্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক সময়।
বাংলাদেশের বর্তমান অবৈধ ইউনুস সরকারও সাপের মতো র্ধূততার সাথে ক্ষমতায় বসেছে এবং শুরু থেকে আওয়ামীলীগকে খেয়ে ফেলার চেষ্টা করেছে - কিন্তু আওয়ামীলিগের ব্যপ্তি এতো বড় যে তা একা খাওয়া সম্ভব নয় - তাই জাতীয় ঐক্যের নামে আওয়ামীলীগ খাওয়ার ভাগ দিতে চেয়েছে। বিএনপি ছাড়া বাকী সবাই মোটামুটি রাজী হলেও - বিএনপি রাজী হয়নি - কারন তাদের অভিজ্ঞতা আছে বিরোধীদলে আওয়ামীলিগ সরকারের চেয়ে বেশী শক্তিশালী - যেমন - ১৯৯২ সালে বিএনপিকে সংসদীয় ব্যবস্থায় আনা- দিনাজপুরের ইয়াসমিনের ধর্ষণ ও হত্যা: (১৯৯৫) এর বিচার করতে বিএনপি-জামাত সরকারের বাধ্য করেছিলো - তেমনি মাগুড়ার গুড়াগুড়া নির্বাচনের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আনতে বাধ্য করেছিলো ইত্যাদি ঘটনা বিএনপি হিসাবে রেখেই আওয়ামীলীগ খাওয়ার আয়োজনের যোগ দিতে রাজী হয়নি। আর এই বিষয় অনুধাবন করে আদেশ দিয়ে বা আদালত দিয়ে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ করার পথ ছেড়েছে ইউনুস গং।
বাংলাদেশে আর আওয়ামীলিগ সমার্থক - একটা বাদ দিয়ে আরেকটা থাকে না। আজ বিএনপি, জাতীয় পার্টির মতো আজেকটা কিংস পার্টির জন্মের চেষ্টা হচ্ছে - এরা সবাই এন্টি আওয়ামীলিগ আর বাকীরা হয় বাম বা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। যতদিন বাংলাদেশে নামক একটা দেশ আছে ততদিন আওয়ামীলীগ থাকবে - এইটা ধরে নিয়েই বাংলাদেশের রাজনীতিক কথা ভাবতে হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

