পশ্চিমা দেশগুলোতে আত্নহত্যার হার অনেক বেশী - কারন তাদের জীবনের কোন কিছুর অভাব নেই তাই একঘেয়ে জীবন তাদের সহ্য হয় না বলেই তারা আত্নহত্যা করে বলেই ধারনা করা হয় - এর বাইরে আরো কারন আছে - তা ভিন্ন প্রসঙ্গ।
কিন্তু বাংলাদেশে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্নহত্যার ঘটনা নেই বললেই চলে - এর কারন হলো গুজবের মতো উদ্দীপকের প্রচুর সরবরাহ সেখানে নিশ্চিত করে ক্ষমতাভোগী এবং ক্ষমতা প্রত্যাশীরা।
এই গুজব (প্রপাগান্ড) প্রচার বর্তমান সরকার একটা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে নিয়ে গেছে - গুজব টিম (সেল) তৈরী করা হয়েছে - সাংবাদিকরা সেখানে গিয়ে শুধু গুজব সংগ্রব করে - কিন্তু বাস্তব কারনে কোন প্রশ্ন করতে পারে না।
আজ একটা সেই গুজব প্রচারের একটা ক্লাসিক খেলা দেখলাম - শুরু হয়েছে বিবিসি দিয়ে - ডকুমেস্টারীটা দেখলেই বুঝা যাবে একটা বিশেষ উদ্দেশ্যে এইটা বানানো এবং প্রচার করা হয়েছে - তাকে কপি/পেষ্ট করেছে প্রায় সব মিডিয়া আর জামাতে প্রপাগান্ডা টিম তাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে এইটা প্রচার করতে। এই ওয়েল কর্ডানেটেট গুজব কেন ছড়ানো হলো? এই প্রশ্নটা কি আমরা করতে পারি না?
পারিপার্শিকতা বিবেচনা আনলে বুঝা যাচ্ছে - শেখ হাসিনার বিচারের বিষয়টা ভেস্তে যাচ্ছে - কেন - সেইটা অন্য আলোচনা। যেহেতু জামাতী টিম আর আসিফ নজরুল বিচারের শেষ দেখে ফেলেছে - তাই একটা বিষয়কে সামনে এনে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ভবিষ্যত যতটা ডেমেজ করা যায় তার চেষ্টা হচ্ছে।
এই প্রপাগান্ডা বা গুজবের মুল বিষয় ছিলো একটা অডিয়ো (AUDIO) ক্লীপ। সেখানে শুনা যাচ্ছে - শেখ হাসিনা "লিথ্যাল" অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিচ্ছেন। পরে অবশ্য বিবিসি ক্লীপের অথিন্টিকেশন কনর্ফাম করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাতে কি - এই গুজব ছড়িয়ে দিয়ে সরকার নিয়ন্ত্রিত সকল মিডিয়া আর প্রপাগান্ডা টিমগুলো।
যারা লাইক শেয়ার কমেন্ট করছেন তাদের জন্যে কিছু তথ্য-
১) আন্দোলন চলাকালে কিছু তথাকথিত মানবাধিকার সংস্থার উদ্যোগের গুলি বন্ধ করার জন্যে যে একটা রিট করা হয়েছিলো - তা বাতিল করেআআ আদালত প্রয়োজনে লিথ্যাল অন্ত্র ব্যবহারকে বৈধ বলেছিলো। (আগষ্ট ৪, ২০২৪);
২)পুলিশ প্রবিধানমালা ১৯৪৩ অনুসারের প্রয়োজনে পুলিশ সরাসরি গুলি করতে পারে - তার জন্যে কারো অনুমতির দরকার হয় না - আর প্রধানমন্ত্রীতো দুরের কথা।
৩) অডিওর কোন সময় বা সূত্র নাই - অনেকের ধারনা হলি আর্টিজানের ঘটনার সময়কার এই কথোপকথন এর অংশ এখানে দেওয়া হয়েছে।
৪) অনেকে বলছে এইটা এআই দিয়ে তৈরী করা হয়েছে।
যাই হোক - কোটি কোটি টাকা দিয়ে পুলিশকে অস্ত্র কিনে ট্রেনিঙ দিয়ে দেওয়া হয় যাতে প্রয়োজনে তারা সেইটা ব্যবহার করে নিজের জীবন - জনগনের জান মালের নিরাপত্তা দিতে ব্যবহার করতে পারে - তার একটা নীতিমালা আছে - সেই নীতিমালা যদি কেউ ভংগ করে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান আছে।
গুজবপ্রিয় বাঙ্গালীর অতিরিক্ত গুজবের নেশা একটা মারাত্বক আত্নঘাতি পর্যায়ে চলে গেছে। এর থেকে বের হতে না পারলে একটা অরাজক সমাজের দিকে যাবে বাংলাদেশ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


