আমার বন্ধুরা মফস্বল থেকে এসে ক্লাশ শুরু করলো বাটার স্যান্ডেল আর সাধারন মানের কাপড় চোপর পড়ে আর তাদের বিশাল বাড়িঘর আর গাড়ি এরা ঢাকাই থেকে গেলো আর গ্রামেরও বাড়ি বানালো বছরে এক দুইদিন অবকাশ যাপনের জন্যে - একটা সাধারন ঘটনা - ঢাকাকে সবাই মিলে একটা ঘিঞ্জি বসতিতে পরিনত করলো আর সাথে সাথে দূনীতিগ্রস্থ রাজউক আর অন্যান্য প্রতিষ্টানের কর্তাব্যক্তিরা বিপুল সম্পদের মালিক হলো - বিনিময়ে সকল নিয়মনীতি বুড়িগঙ্গার জলে চলে গেলো।
সরকার আসে সরকার যায় - সবাই শুধু বড় বড় কথা শুনায় - এই অবৈধ ইউনুস ক্ষমতায় বসে দুই দিন প্রটোকল ছাড়া রাস্তায় চলাচল করে কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশ দিলেন যানজট কমানোর কার্যক্রম নিতে - আসিফ নজরুল টকশোতে বলছিলেন ক্ষমতা পেলে যানজট কমিয়ে ফেলবেন - সেই উপায় উনার জানা আছে। কিন্তু কি হলো। বরঞ্চ এরাও মানুষ জড়ো করে আরো যানজন বাড়ানোর জন্যে রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় করছে। মনে হচ্ছে সবার একটাই লক্ষ্য যানজট তৈরী করে ঢাকা শহরের মানুষের জীবন অতিষ্ট করা।
কিন্তু একজন মানুষ ছিলেন ব্যতিক্রম - প্রচন্ড বিরোধীতা - প্রপাগান্ডা আর বিরূপ পরিবেশকে ঠেলে দিয়ে একক সাহস আর দৃঢ়তায় ঢাকার বুক চিরে মেট্টোরেল বানালেন - সেখানে কত বাঁধা - হলি আর্টিজানে জঙ্গী হামলা করে মেট্টোরেলে কাজ করা জাপানীদের হত্যা করার পরও অবশেষে একটা অংশের কাজ সম্পন্ন করেছিলেন। যার সুবিধা পেয়েছে উত্তরায় আগুনের পোড়া ছাত্রদের ঢাকা মেডিকেলে দ্রুত পৌছানো থেকে রাজনৈতিক দলগুলো লোক জড়ো করে ট্রাফিক জ্যাম থেকে কিছু সস্তি দেওয়া।
এই ধরনের সাহসী আর দূরদর্শীর নেতার জন্যে বাংলাদেশকে হয়তো আর অনেক দিন অপেক্ষা করতে হবে - আপাতত কুটিল, ক্ষমতালোভী আর লুটেরাদের ষড়যন্ত্রের মাঝেই থেকে ঢাকা শহরের মানুষ তাদের অতি গনতান্ত্রিক খোয়ারের মাসুল দিয়ে যেতেই হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


