খালেদা জিয়া জীবন-মরনের সন্ধিক্ষনে - দোয়া করি উনার মহান রাব্বুল আলামিন সব কিছু সহজ করে দিন।
ভাবছিলাম উনার এই দীর্ঘ রাজনৈতিক আর প্রশাসনিক জীবনের কথা ইতিহাসে কিভাবে স্মরণে রাখব!
উনার রাজনৈতিক প্রোফাইল দীর্ঘ - শুরুতেই উনাকে প্রচুর শ্রম আর কঠোরভাবে দলকে গুছাতে হয়েছে।
দুই টার্ম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে উনার উল্লেখ করার মতো কাজগুলো কিভাবে ইতিহাসে লেখা থাকবে?
১) নব্বইয়ে গনতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সুযোগের উপর প্রথম আঘাত মাগুরা নির্বাচন,
২) সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে যুক্ত হতে বাঁধা দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি মহাসড়কে যুক্ত হওয়া থেকে বঞ্চিত করা।
৩) সংসদীয় ব্যবস্থাকে অকার্যকর করা
৪) যুদ্ধাপরাধী আর রাজাকারদের ক্ষমতাকেন্দ্রে নিয়ে আসা
৪) বিরোধী দলকে ধংস করার জন্যে প্রকাশ্যে গ্রেনেড হামলার বিচারের ব্যবস্থা না করা
৫) দেশের দূর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা
৬) অপারেশন ক্লীন হার্ট আর ক্রশ ফায়ারের নামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকে ব্যধতা দেওয়া
৭) প্রতিবেশী দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্যে বাংলাদেশের ভুমি ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া
৮) সার আর বিদ্যুতের দাবী করায় গুলি করে মানুষ হত্যা।
৯) আনসার ভিডিপির আন্দোলন নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে দমন করা
১০ ) আহসানুল্লাহ মাস্টার, কিবরিয়াসহ বিরোধী দলের নেতৃৃত্ব কে হত্যা করা
১১) হাওয়া ভবন নামে একটা সরকারের সমান্তরাল সরকার তৈরি করে পুরো দেশকে চাঁদাবাজির অভয়ারন্যে পরিনত করা।
১২) যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্যে নির্বাচন প্রতিহত করা আর অবিরোধে নামে ২১৪ জন মানুষ পুড়িয়ে মারা, হাজার হাজার মানুষকে আগুনে পুঁড়িয়ে আহত করা।
১৩) ২৪ এর অন্দোলনের পর মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, চাঁদাদাজি আর মামলা বানিজ্য
১৪) বঙ্গবন্ধু আর তার পরিবারের হত্যার দিনে ভু্য়া জন্মদিন বানিয়ে ৬০ পাউন্ডের কেক কেঁটে আনন্দ করা।
আরো অনেক বিষয় যোগ করা যায়, কিন্তু একটা বিষয়ে খালেদা জিয়ার সাফল্য নিয়ে না বললে অন্যায় হবে তা হলো পাকিস্তানের এজেন্ডা অনুসরন করে ভারত আর আওয়ামীলীগ বিরোধীতার যে প্রজেক্ট চালু করেছিলো বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তা অব্যহত রেখেছেন এবং আজও সেই পথ থেকে একটুও সরে যাননি।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


