ধর্ম নিয়ে আমার চুলকানী নাই। আমার বিশ্বাস “ধর্ম যার যার, দেশ সবার’ কিন্তু আজ অবাক না হয়ে পারলাম না।
বিস্তারিত বলছি...
আমাদের অফিসের বাবুর্চী ভালো অফার পেয়ে অন্য জায়গায় চলে যায়! আমার যারা অফিস ডাইনিং এ খাওয়া দাওয়া করি , তারা প্রচন্ড অসুবিধায় পরলাম। কিছু দিন বাহিরে খেলেও , এখন আর পোষাচ্ছে না (রাগী ইমো হবে)।কিছুদিন আগে এক কলিগের ফুড পয়জনিং হওয়ায়... ব্যাপার টা এখন আর অর্থনৈতিক নয় , স্বাস্থ্য নৈতিক (জিব দেখানো ইমো হবে)
মুল কথায় আসি...
বাবুর্চী ঠিক হবে, কিন্তু শর্ত একটাই “কেউ এখন থেকে বাসা/হোটেল হতে দুপুরের খাবার আনতে পারবে না” , এবং ভয়ংকর সু খবর হল “ এডমিন সাহেবদের জন্য একই নিয়ম প্রযোজ্য (খিল-খিল করে একটা হাসি হবে)। সবকিছু ঠিকঠাক , আগামী সপ্তাহে আসছে বাবুর্চী। একজন প্ল্যান দিলো ,সবাই যখন একসাথে খাবে একটা স্ট্যান্ডার মেন্যু ঠিক হোক। রকেট গতি তে মেন্যু ও ঠিক হলো...
২দিন মাছ ( যেহেতু আমরা ভাতে মাছে বাঙ্গালী )
২দিন গোসত
১দিন সবজি
১দিন বিরিয়ানি/তেহেরী/আখনী
মুসলিম কলিগ্ রা আবদার করলো “ সপ্তাহে দাদা বাবুদের যেহেতু একদিন উপোষ থাকে ঐদিন আমরা গরুর গোশত খেতে পারি” । কথাটা বলা হয়েছে মাত্র, আর সাথে সাথে আসাদগঞ্জের মাটিতে অবস্থিত “(কোম্পানীর নাম বলা ঠিক হবে না)” শ্রী(লঙ্কা) হয়ে গেল!!!
“কি গরুর গোসত খাবে” !!
“কি অনাচার”
“এটা তো মুখে আনা ও পাপ”
“যে পাতিলে ঐ গোশত রান্না হবে , ঐ পাতিলে মাছ-সবজী রান্না হবে ... না এ হতে পারে না, আমি খাব না “
পরে কি হল বুঝতেই পারছেন... “হ্যাঁ , আমার অফিসে এখন ও বাবুর্চীর পোষ্ট খালি। সবাই যে যার মত বাসা হতে এনে /হোটেল গিয়ে দুপুরের খাবার খাই। কিছুদিন আগে হট্টগোলকারী একজনের সাথে একসাথে খেতে গিয়েছিলাম। পরিবেশন করার সাথে সাথে ঊঁনি খেতে শুরু করলেন, একবারের জন্য বয় কে জিঞ্জেস করলেন না “আচ্ছা, এই প্লেটে আগে যে খেয়েছে ও হিন্দু ছিল না মুসলমান না খ্রিষ্টান” “গরুর গোশত খেয়েছে না অন্যকিছু”। সেদিন উনি মাছ খেয়েছেন আর আমি উনার সামনে বসে গরুর গোশত!!