somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঝিঁঝিঁ পোকা’র কিছু অনৈতিক অথবা “পেক পেক পেক” ঘটনা। পর্ব ২

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




অপরিসীম শক্তিধর (!) ঝিঁঝিঁ

ছোটবেলায় নায়ক হইতে অনেক মন চাইত। মনে মনে ভাবতাম নায়ক হওয়ার প্লাস পয়েন্ট তো বিরাট! অনেক জিনিস (!) ভালোমতোন উপভোগ করা যাবে! সাথে আরেকটা জিনিসও ফাও পাওয়া যাবে! সেইটা হলো


“অপরিসীম শক্তি”! ছোটবেলায় মামা সুত্রে অনেক বাংলা ছবি হজম করার সুযোগ হইছিল। আহা (!) কি সেই সোনালি দিনগুলা ছিল। ভিশুমাইক টাইপের মারামারি! আকাশেতে লক্ষ তারা চাঁদ কিন্তু একটারে, ইয়াহহ টাইপের গান! সেইখানে দেখতাম নায়ক কোন অপরাধ করলে নায়কের মা “মুগুর” টাইপের কি একটা দিয়া জানি মারত। অথবা, নায়ক গরীব হ্ইয়া বড়লোক জমিদারের কোন মেয়েকে ভালোবাসলে জমিদার তাকে চাবুক দিয়ে চুম্মা দিতেন (!) সুরি মারতেন। কিন্তু আজব হয়ে অবলোকন করতাম যে নায়ক কখনো চুল পরিমান সরে না! থাম্বা’র মতো দাড়ায়া থাকে! আজিব! সে কি ব্যাথা পায় না? তখন ভাবলাম নায়ক হইলে মনে হয় গায়ে ব্যাথা পাওয়া যায় না! আমারো তখন অসীম শক্তিধর হবার শখ হলো। কিন্তু এমতে এমতেই তো আর কাউরে আমারে মারার অধিকার দিতে পারি না। একদিন বাসায় কি জানি একটা অপরাধ করেছিলাম মনে নাই। আমার মা আমাকে বেত নিয়ে মারতে আসছিল। নানী তাকে থামাইবার অনেক চেষ্টা করতেছিল। কিন্তু মা মানতে নারাজ। উনার ইচ্ছা উনি আমাকে সেইদিনই মেরে ফেলবেন। আমিও জিদ ধরে দাড়াইয়া থাকলাম। মনে মনে ভাবলাম আইজকা নায়ক হইয়াই ছাড়ুম! মা তো মারতেই আছে, মারতেই আছে। নানী আমাকে বুঝাইতেছে আমি যাতে মাফ চাইয়া নেই। কিন্তু আমার মনে তো নায়ক হবার শখ। আমি মাফ চামু না বইলা ঠিক করলাম। কিন্তু হঠাত কইরা যখন একটা বাড়ি জায়গা মতন লাগলো তখন মনে হইল দুনিয়া আন্ধার হইয়া গেছে! আমি মনে হয় যাইতেছিগা নানার কাছে (নানা দুনিয়াতে নাই)! জোরে একটা চিক্কুর মাইরা অফ হইয়া গেলাম! মা ভাবলো যে আমি মনে হয় বেশী ব্যাথা পাইছি তাই ছাইড়া দিল। পড়ে যখন বরফ টরফ দিয়া নিজেকে শান্ত করলাম তখন মা’র পায়ে ধইরা মাফ চাইলাম। নায়ক হয়ার এই আজাইড়া ইচ্ছা আর জাগে নাই। এখনো আগের কোন নায়ককে এইরকম পোজ দিয়া মাইর খাইতে দেখলে ওই মাইরের কথা মনে পড়ে! উহু!! পেক পেক পেক




ঐদিন কেন জানি মনে হয়েছিল হাসলে মেয়েদের ডাইনীর মতো লাগে!



২০০২ সালের কথা । তখন ক্লাশ সিক্সে পড়ি। নতুন নতুন সাইকেল চালানো শিখলাম। নতুন সাইকেল পেলাম। নিজের সাইকেল রে হোন্ডা ভাবতাম! চালাইতে বসলেই মনে হতো আমি বাইক চালাইতেছি। একটা মেয়ে সামনে পড়লে তো শরীররে বাইক চালানোর মতো কইরা এক হাত ছাইড়া চালাইয়া যাইতাম আরেক হাত দিয়া চুল ঠিক করতাম! কি ভাব ছিল তখন! হবিগঞ্জে তখন দুইটা স্কুল অনেক বিখ্যাত ছিল। একটা হলো আমাদের স্কুল (হবিগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়) আরেকটা হলো মেয়েদের স্কুল (বি কে জে সি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) একদিন ভাবলাম ওই দিক দিয়া একটা ভাব নিয়া সাইকেল চালাইয়া যামু। যেই ভাবনা সেই কাজ। ৪টার স্কুল ছুটির পর এক মিনিট ও দেরী করি নাই। সাইকেল নিয়া বের হয়ে পরলাম। উদ্দেশ্য মেয়েদের স্কুলের সামনে দিয়ে বাসায় যাব। স্কুলের সামনে একটা মোড় ছিল। রাস্তার কাজ করার জন্য কিছু পাথর রাখা ছিল যেটা আমার নজরে আসে নাই। ওই মোড়ে আইসা আমার স্পীড বাইড়া গেল। কোমর বাকাইয়া যেই সাইকেল ঘোড়াইতে যামু তখনই পিছলা খেয়ে আমি ও আমার সাইকেল ধরনীকে চুম্বন করিলাম। কিছু সময় আমার মাথায় কিছু যাচ্ছিল না। মানুষের হাসি শুনে আমার হুস হলো। উপরে তাকাইয়া দেখি গোটা তিরিশেক ললনা আমার দিকে তাকাইয়া হাসিতেছে। তারা মনে হয় আমার বীরত্বকে সার্কাস হিসেবে নিছিল! কে জানি আমাকে বলেছিল “হাসলে নাকি মেয়েদের মুখ থেকে মুক্তা বের হয়” কিন্তু ওই সময় আমার মনে হয়েছে হাসলে মেয়েদের ডাইনীর মতো লাগে! তারপর আমার স্কুল জীবনে ওই রাস্তা দিয়া আর যাই নাই। শুধু ২০০৭ সালে এস এস সি পরীক্ষা দিতে ওই স্কুলে যাইতে হইছিল। এখন যখন দেখি কেউ কেউ রাস্তা দিয়া বাইকরে রকেট ভাইবা চালাইয়া যাইতেছে তখন মনে হয় একবার উষ্টা খাইয়া দেখ। পরে ভ্যাসপা’র মত বাইক চালাবি!

সবাই ভালো থাকবেন

পেক পেক পেক
২৫টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×