somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওহীর অপেক্ষা রাসুল(সা) বারবার আকাশপানে তাকাতেনঃ

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

#পূর্বে প্রকাশিত হওয়ার পর.....
কিবলা পরিবর্তন হওয়ার আয়াতঃ

আমি অবশ্যই আকাশের দিকে আপনার বারবার তাকানো লক্ষ্য করেছি। সুতরাং আমি আপনাকে অবশ্যই সেই কিবলার দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছি যা আপনি পছন্দ করেন।অতএব আপনি মসজিদুল হারামের দিকে মুখ ফিরান। আর তোমরা যেখানেই থাক না কেন সে দিকে তোমাদের মুখ ফিরাও আর যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে তারা নিশ্চিত ভাবে জানে। নিশ্চয় তা মহাসত্য যা তাদের প্রতিপালকের নিকট হতে আগত তারা যা কিছু করছে তা থেকে অনবগত নন।( সুরা বাকারা- ১৪৪)

কা'বাই যেহেতু রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রকৃত কিবলা এবং তার মর্যাদা ও বিশেষত্বের উপযোগী ছিল, সেই সাথে এটা ছিল সকল কিবলার সেরা, এবং হযরত ইবরাহীম (আ) এর অনুসৃত কিবলা অন্যদিকে ইহুদিরা আপত্তি করত যে, এই নবী শরিয়তে আমাদের বিরোধী ও ইবরাহীম ধর্মাদর্শে অনুসারী হয়ে আমাদের কিবলা কেন অবলম্বন করছে? অপর দিকে রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও যথার্থ ধর্মী আবেগের অধীনে বিশ্বাস করতেন যে, এখন যেহেতু ইমামত ও ধর্মী নেতৃত্ব ইহুদিদের হাতছাড়া হয়ে গেছে, সুতরাং তাদের কিবলা আর পরবর্তী উম্মতের কিবলারূপে থাকতে পারে না, তাই বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে সালাত আদায়কালেও তার আন্তরিক কামনা ছিল, কিবলা পরিবর্তনের হুকুম এসে যাক। এই আগ্রহে ওহীবাহক ফেরেস্তার প্রতিক্ষায় বার বার তার দৃষ্টি আকাশের দিকে উত্থিত হতে থাকত। আয়াতে এই অবস্থাটিরই বিবরণ দেওয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ যদিও কখনো কোনো দিক-প্রান্তে সীমাবদ্ধ নন, স্থানে অবরুদ্ধ নন, তবুও বিশেষ তাজাল্লী কে আল কুরআনে আসমানের প্রতি সম্বন্ধিত করা হয়েছে। এজন্য তত্ত্ববীদগণ লিখেছেন যে, দোয়া ও বিপদকালে আসমানের দিকে মুখ তুলে তাকানো দোয়া কবুল হওয়ার অন্যতম নিদর্শন ও উপায়।

#কা'বা কিবলা হোক এ প্রসঙ্গে রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগ্রহের কারণঃ রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন কারণে অন্তর দিয়ে ভালবাসতেন ও পছন্দ করতেন যে, আল্লাহ তায়ালা কা'বা কে তাঁর জন্যে কিবলা নির্দিষ্ট করে দিন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি কারণ হচ্ছে,
১।ইহুদিদের থেকে তার কিবলা স্বতন্ত্র ও ভিন্নতর হওয়া।
২। মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওহী অবতরণ ও নবুয়তপ্রাপ্তির পূর্বে স্বীয় স্বভাবগত ঝোকে ইবরাহীমী ধর্মের অনুসরণ করতেন। ওহী অবতরণের পর কুরআনও তাঁর শরিয়ত কে দ্বীনে ইব্রাহীমীর অনুরূপ বলেই আখ্যা দিয়েছে। হযরত ইবরাহীম (আ) এবং হযরত ইসমাইল (আ) এর কিবলাও কা'বাই ছিল।
৩। তাতে আরবের লোকেদেরকে ঈমানের দিকে নিয়ে আসা অধিক সহজ ছিল। কেননা আরবের লোকজন মৌখিকভাবে হলেও দ্বীনে ইবরাহীমী স্বীকার করত এবং নিজেদের তার অনুসারী বলে দাবী করত।
৪। সাবেক কিবলা বাইতুল মুকাদ্দাস দ্বারা আহলে কিতাবদের আকৃষ্ট করা উদ্দেশ্য ছিল।কিন্তু ১৬/১৭ মাস অপেক্ষার পর সে উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়ে যায়। কারণ মদিনার ইহুদিরা এর কারণে ইসলামের নিকটবর্তী হওয়ার পরিবর্তে দূরেই সরে যাচ্ছিল।

মাসজিদুল হারামের সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ মর্যাদা ও অভিজাত্য সম্পন্ন মসজিদ দ্বারা মক্কা শরিফের সে মসজিদ উদ্দেশ্য, যার অভ্যন্তরে রয়েছে কা'বা ঘর। কা'বা ঘর অতি সংক্ষিপ্ত পরিধির একখানা পাকা ঘরের নাম। মাসজিদুল হারাম বা হেরেম শরিফের বর্তমান ইমারত কাঠামোর প্রথম অংশ আব্বাসীয় খলিফা মাহদির যুগে। পরবর্তী খলিফা ও সুলতানগণ বারবার তা সম্প্রসারিত করতে থাকেন। তুর্কি সুলতানের ভূমিকা এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বর্তমান [অর্থাৎ সউদি শাসকের সম্প্রসারণের পূর্বেকার) সুলতান দ্বিতীয় সেলিম( মৃত্যু ১৫৭৭ খ্রী) এর শাসনামলে হতে প্রায় অব্যহত রয়েছে। এর খোলা চত্তরের পরিধি ৬০০ ফুট বলে বর্ণনা করা হয়েছে। চারদিকে একাধিক বিশালায়তন ও প্রশস্ত ইমারতরাজি এ হিসাবের অতিরিক্ত। প্রবেশ ফটকের সংখ্যা ৪১ ও মিনারের সংখ্যা ৬। আর ছোটবড় গুম্বুজের সংখ্যা ১৫০-এর অধিক। অন্য একটি বর্ণনামতে উত্তর-পশ্চিম দিককার প্রশস্ততা ৫৪৫ ফুট,দক্ষিণ-পূর্ব দিককার ৫৫৩ ফুট, উত্তর-পূর্ব কোণের দিকে ৩৬০ফুট এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ৩২৪ ফুট। –তাফসীরে মাজেদী।

মসজিদে হারাম বলার কারণঃ কা'বা ঘরের চতুর্দিকে অবস্থিত মসজিদকে মসজিদে হারাম বলার কারণ, সেখানে যুদ্ধ বিগ্রহ করা, পশু পাখি শিকার করা, তৃণাদি কাটা ইত্যাদি সব কিছু নিষিদ্ধ। মসজিদে হারামের ন্যায় মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য আর কোনো মসজিদের নেই।

সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০০
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×