somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সামূদ জাতির ঘটনাঃ

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সামূদ জাতি ছিল আরবের প্রাচীন জাতিগুলোর মধ্যে অন্যতম। আদ জাতির পরেই ছিল তাদের স্থান। এরা ছিল হযরত নূহ (আ)-এর অধঃস্তন পুরুষ ছামূদের বংশধর। ছামূদের নামেই উক্ত জাতির নামকরণ করা হয়েছে। উত্তর পশ্চিম আরবে আল-হাজার নামক স্থানে ছিল তাদের বসতি। সেখানে এখনো তাদের ধ্বংসস্তুপের নিদর্শনাবলী বিদ্যমান রয়েছে। পাহাড় খোদাই করে তারা তাদের গৃহ নির্মাণ করেছে। উক্ত নিদর্শনাবলী থেকে এটা অনুমান করা যায় যে, একটা সময় এখানে লক্ষ লক্ষ লোকের কোলাহল ছিল।
তারাও এক আল্লাহর এবাদত ভুলে শিরক, মূর্তি পূজায় লিপ্ত হয়েছিল। তাদেরকে হেদায়েত করার জন্য আল্লাহ তায়ালা তাদেরই ভাই হযরত সালেহ (আ) কে নবী হিসেবে পাঠালেন। সালেহ (আ) তাদেরকে তাওহীদের দাওয়াত দিলেন। মূর্তি পূজা পরিত্যাগ করার পরামর্শ দিলেন। বহুদিন দাওয়াত দেওয়ার পর অধিকাংশ দরিদ্র লোকই তার উপর ঈমান এনেছিল। কিন্তু নেতৃস্থানীয় ও অধিকাংশ কায়েমী স্বার্থবাদীরা কোনো মতেই তার উপর ঈমান আনল না। তারা হযরত সালেহ (আ)-এর নিকট মু'জিযা তলব করল। তারা হযরত সালেহ (আ)-কে একটি পাথর দেখিয়ে বলল, এটা হতে একটা উটনী বের করতে পারলে তারা তাঁর প্রতি ঈমান আনবে। হযরত সালেহ (আ) আল্লাহর নিকট প্রার্থনা জানানোর পর উক্ত পাথর থেকে আল্লাহ তায়ালার হুকুমে একটি উটনী বের হয়ে আসল। হযরত সালেহ (আ) তাদেরকে সতর্ক করে দিলেন যে, কোনো অবস্থাতেই যেন তারা উক্ত উটনীর সাথে দুর্ব্যবহার না করে। কেননা এর সাথে খারাপ আচরণ করলে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। এ মু'জিযা দেখে একদিনেই চার হাজার লোক ঈমান আনল। কিন্তু পরবর্তীতে কায়েমী স্বার্থবাদীদের প্ররোচনায় তারা মুরতাদ হয়ে গেল।
কাফেররা উক্ত উটনী কে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করল। এক ব্যক্তিকে তারা এ কাজ সমাধা করার জন্য নিযুক্ত করল। লোকটি অত্যন্ত শোচনীয় ও নির্মমভাবে উটনীকে হত্যা করল। আল্লাহ তায়ালা তাদের কে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিলেন। আল্লাহর আদেশে হযরত সালেহ (আ) তাঁর অনুসারীদেকে তিন দিনের মধ্যে শহর ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দিলেন। মুমিনগণ মক্কায় এসে বসতি স্থাপন করলেন। ওদিকে আল্লাহ তায়ালা সামূদ জাতিকে আল্লাহ তায়ালা ধ্বংস করে দিলেন। তাদের চেহারা বিকৃত হয়ে গিয়েছিল এক শুক্রবারে তাদের সকলের চেহারা হলুদ বর্ণ, দ্বিতীয় শুক্রবারে লাল বর্ণ এবং তৃতীয় শুক্রবারে কালো বর্ণ হয়ে গেল। অতঃপর আল্লাহর নির্দেশে হযরত জিব্রাইল (আ) বিকট ধ্বনি দিলেন– যাতে তারা হৃদপিণ্ড ফেটে সকলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। আজো তাদের বিরান আবাসে ধ্বংসস্তূপের নিদর্শন বিদ্যমান।

সামূদ জাতি ছিল আরবের প্রাচীন জাতিগুলোর মধ্যে অন্যতম। আদ জাতির পরেই ছিল তাদের স্থান। এরা ছিল হযরত নূহ (আ)-এর অধঃস্তন পুরুষ ছামূদের বংশধর। ছামূদের নামেই উক্ত জাতির নামকরণ করা হয়েছে। উত্তর পশ্চিম আরবে আল-হাজার নামক স্থানে ছিল তাদের বসতি। সেখানে এখনো তাদের ধ্বংসস্তুপের নিদর্শনাবলী বিদ্যমান রয়েছে। পাহাড় খোদাই করে তারা তাদের গৃহ নির্মাণ করেছে। উক্ত নিদর্শনাবলী থেকে এটা অনুমান করা যায় যে, একটা সময় এখানে লক্ষ লক্ষ লোকের কোলাহল ছিল।
তারাও এক আল্লাহর এবাদত ভুলে শিরক, মূর্তি পূজায় লিপ্ত হয়েছিল। তাদেরকে হেদায়েত করার জন্য আল্লাহ তায়ালা তাদেরই ভাই হযরত সালেহ (আ) কে নবী হিসেবে পাঠালেন। সালেহ (আ) তাদেরকে তাওহীদের দাওয়াত দিলেন। মূর্তি পূজা পরিত্যাগ করার পরামর্শ দিলেন। বহুদিন দাওয়াত দেওয়ার পর অধিকাংশ দরিদ্র লোকই তার উপর ঈমান এনেছিল। কিন্তু নেতৃস্থানীয় ও অধিকাংশ কায়েমী স্বার্থবাদীরা কোনো মতেই তার উপর ঈমান আনল না। তারা হযরত সালেহ (আ)-এর নিকট মু'জিযা তলব করল। তারা হযরত সালেহ (আ)-কে একটি পাথর দেখিয়ে বলল, এটা হতে একটা উটনী বের করতে পারলে তারা তাঁর প্রতি ঈমান আনবে। হযরত সালেহ (আ) আল্লাহর নিকট প্রার্থনা জানানোর পর উক্ত পাথর থেকে আল্লাহ তায়ালার হুকুমে একটি উটনী বের হয়ে আসল। হযরত সালেহ (আ) তাদেরকে সতর্ক করে দিলেন যে, কোনো অবস্থাতেই যেন তারা উক্ত উটনীর সাথে দুর্ব্যবহার না করে। কেননা এর সাথে খারাপ আচরণ করলে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। এ মু'জিযা দেখে একদিনেই চার হাজার লোক ঈমান আনল। কিন্তু পরবর্তীতে কায়েমী স্বার্থবাদীদের প্ররোচনায় তারা মুরতাদ হয়ে গেল।
কাফেররা উক্ত উটনী কে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করল। এক ব্যক্তিকে তারা এ কাজ সমাধা করার জন্য নিযুক্ত করল। লোকটি অত্যন্ত শোচনীয় ও নির্মমভাবে উটনীকে হত্যা করল। আল্লাহ তায়ালা তাদের কে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিলেন। আল্লাহর আদেশে হযরত সালেহ (আ) তাঁর অনুসারীদেকে তিন দিনের মধ্যে শহর ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দিলেন। মুমিনগণ মক্কায় এসে বসতি স্থাপন করলেন। ওদিকে আল্লাহ তায়ালা সামূদ জাতিকে আল্লাহ তায়ালা ধ্বংস করে দিলেন। তাদের চেহারা বিকৃত হয়ে গিয়েছিল এক শুক্রবারে তাদের সকলের চেহারা হলুদ বর্ণ, দ্বিতীয় শুক্রবারে লাল বর্ণ এবং তৃতীয় শুক্রবারে কালো বর্ণ হয়ে গেল। অতঃপর আল্লাহর নির্দেশে হযরত জিব্রাইল (আ) বিকট ধ্বনি দিলেন– যাতে তারা হৃদপিণ্ড ফেটে সকলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। আজো তাদের বিরান আবাসে ধ্বংসস্তূপের নিদর্শন বিদ্যমান।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×