somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ

২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ক্রোধ কী?
ক্রোধ একটি মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা যা অভ্যন্তরীণ উৎকণ্ঠা এবং প্রতিশোধের আকাঙ্ক্ষার ফলস্বরূপ। এবং এই উৎকণ্ঠা যখন হিংস্র হয়ে ওঠে, তখন তা ক্রোধের আগুনকে আরও তীব্র করে তোলে। এ হিংসাত্মক উত্তেজনার কারণে মানুষ তার বুদ্ধির নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং তার মস্তিষ্ক অচল হয়ে পড়ে। এ কারণে কিছু মানুষ শিষ্টাচার ও ভদ্রতার ব্যাপারে অমনোযোগী হয়ে পড়ে। ক্রোধ হচ্ছে দুর্বলতা; কিন্তু মানুষ একে শক্তি বলে মনে করে। প্রকৃতপক্ষে ক্রোধ হচ্ছে একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ যা আপনাকে আগুন ধরিয়ে আর আপনি অন্যদের দগ্ধ করেন। সুতরাং, এই আগুন কেবল আপনাকেই আহত করে না, বরং অন্যদেরও করে।


ক্রোধের বিধ্বংসী প্রভাব
যদিও ক্রোধ হচ্ছে প্রাকৃতিক অনুভূতি, তবে যারা এটা নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তাদের উপর ক্রোধ নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ক্রোধ মানুষের মানসিক অবস্থাকে উদ্বেগ, বিষণ্ণতা, অপরাধবোধ, হতাশার দিকে প্রত্যানীত করে।কেবলমাত্র মানসিক অবস্থারই নয়, ক্রোধ ভয়াবহ ভাবে মানুষের শারীরিক অবস্থার উপরও প্রভাব ফেলে। যেমন: মাথা ব্যথা, পেটে সমস্যা এবং হার্টের সমস্যা ইত্যাদি। তদুপরি এটি পুরো পরিবার এবং সমাজকে প্রভাবিত করে। যখন কোনও ব্যক্তি রাগান্বিত হয় এবং সে এর উপর অটল থাকে, তখন সে নিজের এবং তার চারপাশের লোকদের মধ্যে ঘৃণা জোরদার করে, ফলস্বরূপ লোকেরা তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। অতি মন্দ অবস্থা হত্যা ও রক্তপাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে।সর্বোপরি, সেই ব্যক্তি আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করে এবং সঠিক পথ থেকে দূরে চলে যায়। যার ফলস্বরূপ সে বিপাকে পড়ে যাবত আল্লাহর ক্ষমা ও করুণা প্রার্থনা না করে।


কুরআনের আলোকে ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ

মানুষ হিসাবে আমরা অনেক আবেগের মধ্য দিয়ে যাই যা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম।
ক্রোধ হচ্ছে সেগুলোর মধ্য থেকে শক্তিশালী একটা বিষয়। সৌভাগ্যবশত আল্লাহ তাআলা কুরআনে ক্রোধের সাথে মোকাবেলা করার পন্থা বলে দিয়েছেন। এ কারণে কুরআন হচ্ছে এক মহা তথ্যের উৎস যা ইসলামি জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালিত করে। আল্লাহ আমাদের সকল পরিস্থিতিতে ক্রোধ দমন করার পদ্ধতি বলে দিয়েছেন ।আল্লাহ তাআলা বলে দিয়েছেন,
"যারা স্বচ্ছলতায় ও অভাবের সময় ব্যয় করে, যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে, বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন।" —সূরা আল ইমরান,আয়াত: ১৩৪।

কতইনা চমৎকার অর্জন আমাদের জন্য মহান আল্লাহর ভালোবাসা। তিনি যেভাবে আমাদের ক্রোধ নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি বলে দিয়েছেন তা প্রকৃতপক্ষে তাঁর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। কেননা, ক্রোধের স্থায়িত্ব দীর্ঘ হলে দূর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা প্রবল।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে তাঁর নবীদের উদাহরণ দিয়ে পবিত্র কোরআনে বার বার ক্ষমা করার কথা উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন: (হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর পিতা তাকে বললেন)

"পিতা বললঃ যে ইব্রাহীম, তুমি কি আমার উপাস্যদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছ? যদি তুমি বিরত না হও, আমি অবশ্যই প্রস্তরাঘাতে তোমার প্রাণনাশ করব। তুমি চিরতরে আমার কাছ থেকে দূর হয়ে যাও। ইব্রাহীম বললেনঃ তোমার উপর শান্তি হোক, আমি আমার পালনকর্তার কাছে তোমার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করব। নিশ্চয় তিনি আমার প্রতি মেহেরবান।" —সূরা মারইয়াম, আয়াত:৪৬-৪৭।

যথারীতি যদি কোনো ব্যক্তি কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে আচরণ করবেন সে সম্পর্কে অনিশ্চিত থাকে, তবে তার কেবল পবিত্র কুরআন শরীফের পরামর্শ, আল্লাহর নির্দেশনা এবং নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আমাদের ধার্মিক পূর্বসূরিদের দিকে নজর দেওয়া দরকার যাতে সর্বোত্তম উপায়ে কাজ সমাধা করা যায়।

ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত এ জাতীয় আরেকটি ঘটনার কথা হযরত মুহাম্মদ (সা।) - এর জীবনে উল্লেখ করা হয়েছে, যখন একজন ব্যক্তি তার আত্মীয়র হত্যাকারীর সাথে তার কাছে এসেছিল।

আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি তার এক ঘনিষ্ঠজনের হত্যাকারীকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট নিয়ে আসল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে বললেনঃ তাকে ক্ষমা করে দাও। সে ব্যক্তি তা অস্বীকার করল। তিনি বললেনঃ যাও তাকে হত্যা কর, আর তুমিও তার মত হবে। সে চলে গেল। এক ব্যক্তি তার সাথে মিলিত হয়ে বললোঃ রাসূলুল্লাহু (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যদি তুমি তাকে হত্যা কর তবে তুমিও তার মত হবে। একথা শুনে ঐ ব্যক্তি তাকে ক্ষমা করে দিল। তখন সে আমার সামনে দিয়ে রশি টেনে নিয়ে চলে গেল।
—সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৪৭৩০

পবিত্র কুরআন অন্যত্র ক্রোধ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে বলা হয়েছে এবং সাথে ক্রোধ নিয়ন্ত্রণকারীকে আল্লাহ তাআলা কতটা ভালোবাসেন সেটাও উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

"অতএব, তোমাদেরকে যা দেয়া হয়েছে তা পার্থিব জীবনের ভোগ মাত্র। আর আল্লাহর কাছে যা রয়েছে, তা উৎকৃষ্ট ও স্থায়ী তাদের জন্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও তাদের পালনকর্তার উপর ভরসা করে।যারা বড় গোনাহ ও অশ্লীল কার্য থেকে বেঁচে থাকে এবং ক্রোধাম্বিত হয়েও ক্ষমা করে...।"—সূরা শুআরা, আয়াত:৩৬-৩৭।

ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করা ধার্মিকতার লক্ষণ। একজন ধার্মিক ব্যক্তিকে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সুতরাং আসুন আমরা আপনার ক্রোধকে সংযত রাখি এবং এমন কোনও কথা বলি যা ফিরিয়ে নেওয়া যায় না। আল্লাহ তাআলা বলেন,"... ক্ষমা করুন এবং তাদের সাথে সহ্য করুন যতক্ষণ না আল্লাহ তাঁর সিদ্ধান্ত না দেন…।" —সূরা আল বাকারা, আয়াত:১০৯।


সুন্নাহর আলোকে ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ

রাগ শয়তানের অন্যতম কুৎসিত ফিসফিস যা অনেক দুরাচরণের দিকে পরিচালিত করে, যার ব্যাপ্তি আল্লাহ তাআলা জানেন। এজন্য, এই খারাপ বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ইসলামের যথেষ্ট বক্তব্য রয়েছে এবং নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই রোগের নিরাময়ের বর্ণনা দিয়েছেন এবং এর প্রভাবসমূহ সীমাবদ্ধ করার উপায়সমূহ নীচে উল্লেখ করা হচ্ছে:

১. শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করা

মুআয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সামনে দুই লোক পরস্পরকে গালি গালাজ করে। এমনকি তাদের একজনের মুখমণ্ডলে রাগের ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠে। সে সময় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ নিশ্চয় আমি এমন একটি বাক্য জানি, এ ব্যক্তিটি যদি তা উচ্চারণ করত তবে অবশ্যই তার ক্রোধ চলে যেত। তা হলঃ “আমি বিতাড়িত শাইতান হতে আল্লাহ তা'আলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি।”

—জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৪৫২

২. চুপ থাকা

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,"যদি কেউ রাগান্বিত হয়, সে যেন চুপ থাকে।"—মুসনাদে আহমাদ

এর কারণ হল ক্ষুব্ধ ব্যক্তি আত্ম-নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং অবিশ্বাস বা অভিশাপের কথা বলতে পারে, বা বিবাহবিচ্ছেদের শব্দগুলো (তালাক) যা তার সংসার ধ্বংস করে দেয় বা অপবাদ প্রচারের শব্দগুলি যা তাকে অন্যের শত্রুতা এবং বিদ্বেষ এনে দেয়। সুতরাং, নীরব থাকা একটি সমাধান যা কুৎসিত পরিস্থিতি এড়াতে সহায়তা করে।

৩. স্থির থাকা

আবু যার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কারোর যদি দাড়াঁনো অবস্হায় রাগের উদ্রেক হয় তাহলে সে যেন বসে পরে। এতে যদি তার রাগ দুর হয় তো ভালো, অন্যথায় সে যেনো শুয়ে পরে।
—সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৭৮২

৪. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপদেশ মেনে চলা

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

এক ব্যক্তি নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বললো, আমাকে উপদেশ দিন। তিনি বললেন, “রাগ করো না।” সে কয়েকবার একই কথার পুনরাবৃত্তি করলো। আর তিনি বললেন, “রাগ করো না।”
— সহিহ্ বুখারী ৬১১৬

৫. রাগান্বিত হবেন না এবং জান্নাত আপনার হবে

ক্রোধের শিখা নেভানোর অন্যতম কার্যকর উপায় হল, আল্লাহ তাআলা সৎকর্ম সম্পাদনকারীদের যে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন তা বেশি বেশি স্মরণ করা। এই ব্যাপারে হাদিসে এসেছে:
যে তার ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণ করার উপায় রাখে সে নিয়ন্ত্রণ করে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার অন্তরে তৃপ্তিতে পূর্ণ করবেন।
—সহিহ্ আল-জামে'

৬. প্রস্তাবিত উচ্চ স্থিতি জানা

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "শক্তিশালী সেই ব্যক্তি নয় যে তার শক্তি দ্বারা জনগণকে পরাভূত করে না,শক্তিশালী সেই ব্যক্তিই রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে।"
— সহিহ্ বুখারী

যার যত রাগ সে যদি সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সে তত শক্তিশালী।

৭. নবীর উদাহরণ অনুসরণ করা

সায়্যিদীনা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্রোধ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ উদাহরণ উপস্থাপন করেছেন।

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে পথ চলছিলাম, তাঁর পরনে ছিল নাজরানের তৈরি মোটা আঁচল বিশিষ্ট চাদর। এক বেদুঈন তাঁর কাছে আসলো। সে তাঁর চাদর ধরে তাকে সজোরে টান দিল। আমি দেখলাম ফলে তাঁর ঘাড়ে দাগ পরে গেল। সজোরে তার এ টানের কারণে চাদরের আঁচলও পরে গেল। সে (বেদুঈন) বলল, হে মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ্‌র দেয়া যে সব মাল তোমার কাছে আছে এ থেকে আমাকে কিছু দেয়ার জন্য নির্দেশ দাও। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার দিকে তাকিয়ে হেসে দিলেন এবং তাকে কিছু মাল দেয়ার নির্দেশ দিলেন।
—সহিহ্ মুসলিম, হাদিস নং ২৩১৯

৮. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে

আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি আদর্শ গ্রহণ করতে পারি। সেটা হল আল্লাহ বিধান লঙ্ঘিত হওয়ার দরুন রাগান্বিত হওয়া। এ ধরনের রাগ প্রশংসনীয়।

আয়িশাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার নিকট (হুজরায়) আসলেন। সে সময় আমি একটি মসৃণ বস্ত্রের পর্দা লাগিয়ে রেখেছিলাম, যাতে কোন ছবি ছিল। যার দরুন তার চেহারা বিমর্ষ হয়ে গেল। অতঃপর তিনি পর্দাটি হাতে নিয়ে তা ছিঁড়ে ফেললেন; তারপর বললেনঃ কিয়ামতের দিবসে ভয়ঙ্কর শাস্তি ভোগকারী ব্যক্তিদের মধ্যে ওরাও থাকবে, যার আল্লাহ্‌র সৃষ্টির সাথে তুলনা কার্যে অগ্রসর হয়।
—সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৫৪১৮


আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ক্বিবলার দিকে (দেয়ালে) কফ দেখে তা নিজ হাতে মুছে ফেললেন আর তাঁর চেহারায় অসন্তোষ প্রকাশ পেল। বা সে কারনে তাঁর চেহারায় অসন্তোষ প্রকাশ পেলো এবং এর প্রতি তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ পেল। তিনি বললেনঃ যখন তোমাদের কেউ সালাতে দাঁড়ায়, তখন সে তার প্রতিপালকের সাথে চুপে চুপে কথা বলে। অথবা (বলেছেন) তখন তার প্রতিপালক, ক্বিবলা ও তার মাঝখানে থাকেন। কাজেই সে যেন ক্বিবলার দিকে থুথু না ফেলে, বরং (প্রয়োজনে) তার বাম দিকে বা পায়ের নীচে ফেলবে। অতঃপর তিনি চাদরের কোণ ধরে তাতে থুথু ফেলে এক অংশের উপর অপর অংশ ভাঁজ করে দিলেন এবং বললেনঃ অথবা এমন করবে।
—সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪১৭


৯. প্রার্থনা

দুআ হচ্ছে সবসময়ই বিশ্বাসীদের প্রধান অস্ত্র। এর দ্বারা বান্দা আল্লাহর কাছে শয়তানের অনিষ্ট, জীবনের নানা সমস্যা ও ক্রোধ থেকে পরিত্রাণ চায়। এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি দুআ আছে।

"হে আল্লাহ! আমি আপনাকে গোপনে এবং প্রকাশ্যে ভয় করি। আপনি আমাকে সত্যবাদী বানান আনন্দ ও রাগের সময়।..."
—সুনানে আন–নাসায়ী

ক্রোধ মানুষের স্বভাবসমূহের একটি অংশ এবং মানুষের ক্রোধের তারতম্য হয়। মানুষ রাগান্বিত হবে না সেটা অত্যন্ত কঠিন। তবে বিপদে মুমিনদের মহান আল্লাহকে স্মরণ রাখা উচিৎ। আল্লাহ আমাদের দ্বীনের বুঝ দান করুন এবং সৎকর্ম সম্পাদনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৪
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×