somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোট মুখে বড় কথা নয় বরঞ্চ সবিনয় নিবেদন : আতাউস সামাদ

১০ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘটনাচক্রে অথবা সময়ের দাবিতে কখনো কখনো একজন সাধারণ মানুষ বা আমাদের দেশে যাদের বলা হয়ে থাকে 'ছোট মানুষ' তাদেরও একটা-দুটি বড় কাজ করে ফেলতে হয়। নিবেদন করে রাখি, এখানে 'ছোট মানুষ' বলতে আমি বুঝিয়েছি যাদের হাতে কোনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা, সংঘ অর্থাৎ (দল বা গোষ্ঠী) এবং ধনদৌলত বা বিত্ত এগুলোর কোনোটিই নেই। এরা 'বড় মানুষ' অর্থাৎ যারা ক্ষমতা বা বিত্তের বলে বলীয়ান তাদের দ্বারা পদদলিত হলেও 'বড় মানুষরা' তো বটেই এমনকি আমাদের দেশের অন্য 'ছোট মানুষরাও' ফিরে তাকান না। আমি নিজেকে বাংলাদেশের 'ছোট মানুষদের' একজন বলে গণ্য করি। ঈশ্বরের ইচ্ছায়, বার তিন-চারেক আমার ঘাড়েও বড় কাজ করার কর্তব্যটি এসে পড়েছে। কাজগুলোতে ঝুঁকি ছিল, তবে তাঁর কৃপাতেই প্রতিবার বেঁচে গেছি। এজন্য আল্লাহর কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।

গত ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি বিকেলে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের মাধ্যমে যখন বাংলাদেশের ওপর জরুরি অবস্থা চাপিয়ে দিলেন উচ্চতম পর্যায়ের সেনা কর্মকর্তারা, তখনও হঠাৎ করেই ওই রকম একটা বড় কাজ করার দায়িত্ব বর্তালো আমার ওপর। আমি তখন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকায় সহকর্মীদের সঙ্গে টেলিভিশনের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়েছি। ছোট পর্দার নিচের দিকে স্ক্রল চলছে_ 'রাষ্ট্রপতি সারাদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।' এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে আমার সহকারী এসে জানালেন, বিদেশ থেকে আমার ফোন এসেছে। কোনো দেশের এ রকম সময়ে ভিন দেশি সাংবাদিকরা, উপদ্রুত দেশটির পরিচিত সাংবাদিকরা ফোন করেই থাকেন খবরের সত্যতা যাচাই করার জন্য অথবা সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে। ফোন ধরতে ওপাশ থেকে কথা বললেন বিবিসির লন্ডন অফিসের বাংলা সম্প্রচার বিভাগের আমার খুবই চেনা এক পুরনো সহকর্মী। তিনি বললেন, বাংলাদেশে সন্ধ্যায় বিবিসির যে বাংলা অনুষ্ঠানটি হয় তাতে সরাসরি প্রচারের জন্য টেলিফোন আলোচনায় অংশ নিতে হবে_ বিষয়বস্তু অবশ্যই এই জরুরি অবস্থা ঘোষণা। ভারতে ১৯৭৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জরুরি অবস্থার শাসন চাপিয়ে দেওয়ার সময় আমি নয়াদিলি্লতে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বিশেষ সংবাদদাতা ছিলাম।

ওই জরুরি শাসনের ফলে ভারতে তাৎক্ষণিকভাবে গণতন্ত্রের যে দুর্দশা ও ওই দেশটির সামগ্রিক যে দুর্ভোগ হয়েছিল তা ১৯৭৬-এর আগস্ট পর্যন্ত সরেজমিনে দেখার দুর্ভাগ্য আমি কাছ থেকে দেখেছি। সাংবাদিক হিসেবে বেশ কিছু যন্ত্রণাও সহ্য করতে হয়েছিল। ১১ জানুয়ারি ২০০৭ সালের শেষ বিকেলের ওই মুহূর্তটিতে আমার কেবলই মনে হচ্ছিল যে, বাংলাদেশের কপালে ওই দুর্যোগগুলোই জুটল। আর ভাবলাম, এ কথাটা বলা দরকার। বিবিসির অনুষ্ঠান প্রযোজিকা পুরনো বন্ধুকে বললাম, আমি ওই আলোচনায় অংশ নেব। ঘণ্টা দেড়েক পরে তারা অফিসেই ফোন করলেন। সংবাদ প্রচার শেষ করেই আলোচনা। বিবিসি থেকে সেদিন আমাকে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছিল তার উত্তরে আমার প্রথম কথা ছিল : ২২ জানুয়ারি ২০০৭ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি বাতিল করে দেওয়ার জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হলো। এতে হয়তো তখনকার উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির অবসান হবে, তবে একই সঙ্গে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠান অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

আমার দ্বিতীয় কথা ছিল : দেশে গণতন্ত্র ব্যাহত হবে, কারণ জরুরি অবস্থা চলার সময় নাগরিকদের অনেক মৌলিক অধিকার স্থগিত হয়ে যায়, আর এগুলোর সব ক'টিই বাকস্বাধীনতা ও রাজনৈতিক কাজকর্ম করার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য প্রণীত। কাজেই বাংলাদেশে গণতন্ত্রই স্থগিত হলো। এটাও একটা কারণ, যেজন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান অনিশ্চিত হয়ে গেল।

আমার তৃতীয় মন্তব্য ছিল : ভারতে ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর আমরা রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর যেসব নির্যাতন-নিপীড়ন দেখেছি তা থেকে আমার মনে হয়, বাংলাদেশের জন্যও রাজনৈতিক কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণার তলায় পড়াটা মঙ্গলজনক হলো না।

আজকে এখানে সেদিনের যে ঘটনার কথা লিখলাম তাতে আমার বক্তব্যগুলোর পুনরুল্লেখ করেছি স্মৃতি থেকে। তাই এতে ভাষার কিছু পার্থক্য এবং উক্তিতে সামান্য হেরফের হতে পারে; তবে এসব কথাই সেদিনের পরপরই আরও বেশ কয়েকবার বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা এবং বাংলাদেশে একুশে টেলিভিশনের একুশে সময় অনুষ্ঠানে বলেছি। বাংলাদেশের কোনো সম্প্রচার মাধ্যমে বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সামিয়া জামান এবং তার সহকর্মী স্নেহভাজন জুলহাজকে ধন্যবাদ জানাই।
তবে আমার জন্য 'বড় কাজ' সেদিনই শেষ হয়ে যায়নি। এই কাজটি খ্যাতনামা সাংবাদিক ও সাহিত্যিক ফয়েজ আহ্মদসহ কয়েকজন সাংবাদিক ও 'বিশিষ্ট নাগরিক' নামে বর্তমানে সুপরিচিত আসফউদ্দৌলাহসহ জনা দুই সাবেক আমলাকে ওই দুই বছর ধরেই চালিয়ে যেতে হয়েছিল।

২০০৭-এর জানুয়ারির পরবর্তী পুরো সময়টা জুড়ে আমরা বাংলাদেশের জনগণের মঙ্গলের লক্ষ্যে যেসব কথা বলে এসেছি তা ক্রমানুসারে ধরলে অনেকটা এ রকম : ১. জরুরি অবস্থা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক; ২. অবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক, প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট থেকে নির্দেশনা নেওয়া হোক; ৩. শৃঙ্খলা আনা এবং অবৈধ দখলদার হটানোর নামে হাটবাজার ভাঙা বন্ধ করা হোক; ৪. রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বন্ধ করা হোক; ৫. শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে হয়রানি করা এবং তাদের রাজনীতি থেকে নির্বাসিত করার অপচেষ্টা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে; ৬. দুর্নীতি দমন অভিযানের নামে যা চলছে তাতে দুর্নীতির সঠিক তদন্ত তো হচ্ছেই না, বরঞ্চ দুর্নীতি দমনের নামে রাজনৈতিক নিষ্পেষণ, ব্যবসায়ীদের ওপর অত্যাচার ও বিশেষ লেবাসধারীদের চাঁদাবাজি চলছে; ৭. বাংলাদেশে ভবিষ্যতে সঠিকভাবে দুর্নীতির তদন্ত ও বিচার করা আর সম্ভব হবে না; ৮. দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে ভয়ঙ্করভাবে, এতে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে; ৯. ওইসব অপকর্মে তৎকালীন সেনাপ্রধানসহ কিছু সেনা কর্মকর্তা সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে ফেলায় ওই বাহিনীর সুনাম নষ্ট হচ্ছে; ১০. তথাকথিত বেসামরিক সরকার গণবিচ্ছিন্ন থাকায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও খাদ্য সংকট সমস্যাগুলো বুঝতেও পারছে না, সামাল দিতেও পারছে না এবং ১১. উপরে ৯ ও ১০ বর্ণিত পরিস্থিতি দেশকে মারাত্মক সংকটে ফেলেছে।

তাই এখান থেকে বের হওয়ার জন্য প্রথমত, সামরিক বাহিনীকে রাজনৈতিক ও বেসামরিক কার্যকলাপ থেকে দূরে সরে আসতে হবে, না হলে তাদেরও পেশাদারিত্ব নষ্ট হবে। দ্বিতীয়ত, ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অবসান না হলে ভবিষ্যতে কেউ আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইবে না বা তাকে বিশ্বাস করবে না এবং তৃতীয়ত, এজন্য এক্ষুণি জরুরি অবস্থা তুলে নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেওয়া হোক।
ইতিমধ্যে আমাদের বারবার শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করতে হয়েছে। আমরা বলেছি, জামিন দিয়ে হলেও তাদের ছাড়তে হবে।

তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ তার চাকরির মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়ার পরপরই সম্পাদকদের আলুর নানা পদের মধ্যাহ্নভোজসহ আলোচনায় ডেকেছিলেন। বৈঠকের পর খাবার সময় তার পেঁৗছানোর কয়েক মুহূর্তের পর একটা সুযোগ এসে গেলে তাকে তিনটি অনুরোধ করেছিলাম : খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনাকে জনগণ ভোলেনি, কাজেই জামিন দিয়ে হলেও তাদের দু'জনকে ছেড়ে দিন, জরুরি অবস্থায় আর কাজ হচ্ছে না, তাই ওটা এক্ষুণি তুলে নিন এবং ডিজিএফআইর রাশ টানুন।
সাপ্তাহিক 'এখন' পত্রিকার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে (১১ সেপ্টেম্বর, ২০০৭ তারিখে প্রকাশিত) সুপণ্ডিত অধ্যাপক তালুকদার মনিরুজ্জামান ওই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন অবিলম্বে খালেদা জিয়া, শেখ হাসিনা, জেনারেল মইন উ আহমেদ এবং প্রধান উপদেষ্টা (বা সরকারপ্রধান) ড. ফখরুদ্দীনের মধ্যে আলোচনা আরম্ভ করতে। প্রখ্যাত প্রধান সাংবাদিক এবিএম মূসা ও তার বিভিন্ন লেখায় স্বভাবসুলভ অম্লমধুর ভাষায় জেনারেল মইনকে সাবধান করে দিতেন।

আমরা দেশের ও দেশের মঙ্গলের জন্য ওই কথাগুলো বলে গেছি সাহসে বুক বেঁধে। কিন্তু তখনকার ক্ষমতাধররা কর্ণপাত করেননি। এতে দেশের মানুষ চরমভাবে বিরক্ত হয়েছিল। সেই বিরক্তির প্রকাশ ঘটেছিল চ্যানেল আইতে জিল্লুর রহমানের বিখ্যাত 'তৃতীয় মাত্রা' অনুষ্ঠানে ফয়েজ আহ্মদের কণ্ঠে। এটা বোধহয় ২০০৭ সালের শেষ দিকের ঘটনা। জরুরি অবস্থার কুশাসন ও গণতন্ত্র দলনের কথা বর্ণনা করে ফয়েজ ভাই আঙুল তুলে বলেই ফেললেন, যেদিন নির্বাচন হবে সেদিনই সবগুলো বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও জলবন্দরকে জানিয়ে দিতে হবে, এই জরুরি আইনের শাসকরা কেউ যেন দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে। দেশের অপূরণীয় ক্ষতি করার জন্য ওদের সব ক'টার বিচার করতে হবে। সেদিন অপর অংশগ্রহণকারী হিসেবে আমি ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম।

ওই সতর্কতা বাণী উচ্চারণ, ওই দাবি তোলার পর এক বছরেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। এখন নতুন করে দাবি উঠছে, ইয়াজউদ্দিন, মইন উ আহমেদ, ড. ফখরুদ্দীনদের বিচার করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার আয়োজন চলছে। তবে জেনারেল মইন ও ড. ফখরুদ্দীন এখন দেশের বাইরে চলে গেছেন। জেনারেল মইন সস্ত্রীক দীর্ঘ 'বিশ্রাম ও বিনোদনের' জন্য গত মঙ্গলবার ঢাকা ত্যাগ করেছেন বলে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা বড় করে প্রথম পৃষ্ঠায় খবর দিয়েছে। তারা জবাবদিহি বা বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য দেশে ফিরবেন কি-না কে জানে!

তবে নিকট অতীতের কিছু কথা প্রধানত ব্যক্তি পর্যায়ের, মনে পড়ল মইন উ আহমেদের বিদেশ যাত্রার খবর পেয়ে। তাকে ও তার সামরিক এবং বেসামরিক সহযোগীদের দু'বছর ধরে আমার মতো কিছু 'ছোট মানুষ' প্রকাশ্যে বারবার আহ্বান করেছি বা অনুরোধ করেছি, তাদের বেআইনি, অগণতান্ত্রিক, অবাঞ্ছিত, অনাহূত ও ধ্বংসাত্মক কাজকর্মের পথ থেকে সরে এসে দেশে স্বস্তি ফিরে আসার পথ সুগম করতে সময়ক্ষেপণ না করে। তারা আমাদের কথায় তখন কান দেননি। এতে দেশের ক্ষতি হয়েছে এবং তাদেরও ক্ষতি হয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে এখন বাঁচানোর জন্য তো তার স্ত্রী 'আংশিক মানসিক ভারসাম্যহীন' বলে ঘোষণাই দিয়েছেন। সময় থাকতে আমাদের মতো 'ছোট মানুষদের' কথা কানে নিলে দেশও রেহাই পেত, তারাও নিরাপদে থাকতেন। আমার এই লেখাটির একমাত্র উদ্দেশ্য উপসংহারের কথাটি বলা। আর কিছুই নয়। তবে অন্য কেউ যদি এ থেকে কোনো শিক্ষা নেন তাহলে কৃতজ্ঞ থাকব।

লেখক : সম্পাদক, সাপ্তাহিক এখন (সুত্র, সমকাল, ১০/০৭/২০০৯)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×