somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রতিবেশীরাই ভাল জানে তার প্রতিবেশী কেমন? কপি পুষ্ট না করে পারলাম না।আমরা মুসলিমরা না হয় খারাপ কিন্তু ওনারা..........?

২৯ শে মে, ২০১১ রাত ১০:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমেরিকা
সাম্রাজ্যের অযৌক্তিক অবস্থান

ফিদেল কাস্ত্রো


যখন সাম্রাজ্যের অন্তর্জ্বালা চলতে থাকে, তখন সেই সাম্রাজ্য যে মানবজাতিকে কোনো বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেবে না, সে কথা কেউ হলফ করে বলতে পারে না।
মানবজনমের ধারা যত দিন জারি থাকবে, তত দিন প্রতিটি মানুষের পবিত্র দায়িত্ব আশাবাদী হওয়া। অন্য রকম আচরণ অগ্রহণযোগ্য। আমার মনে পড়ে, আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগের একদিনের কথা, যেদিন আমি বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা এক প্রজাতির কথা বলেছিলাম। সেই প্রজাতির নাম মানুষ।
একদল বুর্জোয়া শাসক, যাঁদের মধ্যে ছিলেন সিনিয়র বুশের (জুনিয়র বুশের চেয়ে কম অনিষ্টকর) অনুগত, নিষ্ঠাবান বিশালদেহী ও ভোজনবিলাসী জার্মান নেতা হেলমুট কোহল এবং তাঁর মতো স্বভাবের আরও কিছু রাষ্ট্রনেতা। সাম্রাজ্যের প্রতি প্রেমে তাঁরা পতিত হওয়ার আগেই আমি সেই সত্য কথাটা না বলে পারিনি। যদিও এখনো সেই সময় আসার অনেক দেরি, তবু আমার আন্তরিক বিশ্বাস, আশঙ্কাটি পুরোপুরি বাস্তব।
দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ টেলিভিশন খুলে বসলাম। কেউ একজন বলেছিলেন, পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে বারাক ওবামা তখন বক্তৃতা শুরু করেছেন। ওবামার কথা শোনায় মনোযোগ দিলাম।
প্রতিদিন আমি একগাদা খবর পড়ি অথচ কেন জানি না, তিনি যে এ সময় বক্তৃতা দেবেন, সে ব্যাপারে কোনো প্রতিবেদন আমার নজরে পড়েনি। পাঠকদের আশ্বস্ত করতে পারি, প্রতিদিন নাটকীয় সত্য ও নানা ধরনের ঘটনার ভেতর যেসব হাস্যকর ব্যাপার ও মিথ্যা আমি পড়ি, শুনি কিংবা ছবি হিসেবে দেখি, তার পরিমাণও কম নয়। এবারের বক্তৃতার গুরুত্ব ছিল অসামান্য। সমগ্র দুনিয়া যখন সাম্রাজ্যের নানা অপকর্ম, গণহত্যা, মানববিহীন বিমান থেকে প্রাণনাশী বোমা নিক্ষেপের ভার বহন করছে, সেই সময় কী বলেন ওবামা, সেটা দেখার বিষয়। এসব অপকর্মের কথা ওবামা হয়তো ভাবতেও পারেননি কিছুদিন আগে, যখন তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। এখন তো কিছু জীবন ও মৃত্যু তাঁর সিদ্ধান্তের অধীন।
ওবামা পরিস্থিতির নিয়ন্তা নন। তিনি শুধু কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দের শাসন চালান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘সাংবিধানিক প্রেসিডেন্ট’কে সেই ক্ষমতা দিয়েছে দেশটির দীর্ঘকাল ধরে টিকে থাকা ব্যবস্থা। স্বাধীনতা ঘোষণার ২৩৪ বছর পর পেন্টাগন ও সিআইএর হাতে এখন সাম্রাজ্যিক শক্তির তৈরি মৌলিক হাতিয়ারগুলো—কয়েক মুহূর্তে মানব প্রজাতিকে ধ্বংস করতে সক্ষম এমন প্রযুক্তি, বিদেশি সমাজের গভীরে ঢোকার উপায়, প্রয়োজনে অন্য রাষ্ট্রকে নির্লজ্জভাবে ভাঁওতা দেওয়া। তারা মনে করে, সাম্রাজ্যের শক্তি সীমাহীন। তারা এক শান্ত, বশীভূত দুনিয়া শাসন করতে চায়, যেখানে কোথাও কোনো গোলযোগ থাকবে না।
এই সেই আজগুবি ধারণা, যার ওপর ভিত্তি করে তারা আগামীর দুনিয়া দাঁড় করাতে চায় ‘সেখানে স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার, সমান সুযোগ ও মানবাধিকারের শাসন’ কায়েম করার কথা বলা হয়। দারিদ্র্য, প্রাথমিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থানের (অথবা খাদ্য, খাওয়ার পানি, বাসস্থানের মতো মৌলিক চাহিদার) ঘাটতির নিদারুণ বাস্তবতা তারা দেখতে অক্ষম।
একটি উদাহরণ দিই। কেউ হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন, প্রতিবছর মাদকসংশ্লিষ্ট সহিংসতায় যে ১০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে (মূলত মেক্সিকোতে) তা ভবিষ্যতে কী রূপ নেবে। মেক্সিকো ছাড়াও মধ্য আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি রাষ্ট্রে এ ধরনের সহিংসতায় অনেক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এসব দেশের মানুষের মনে আঘাত দিতে চাই না। আমার উদ্দেশ্য, শুধু প্রায় প্রতিদিন ঘটে যাওয়া বাস্তব চিত্র তুলে ধরা।
এখনই যে প্রশ্নটি তোলা দরকার তা হলো, স্পেনে তাহলে কী ঘটতে যাচ্ছে? স্পেনের প্রধান প্রধান শহরে এখন বিক্ষোভ চলছে। এমন সংগ্রামী চেহারায় জনগণ আবির্ভূত হওয়ার শুধু একটা কারণই বলি, ৪০ শতাংশ তরুণ কর্মসংস্থানহীন। ন্যাটোর সদস্য এই রাষ্ট্রে বোমা হামলা শুরু হওয়ার কোনো আশঙ্কা কি আছে?
ইংরেজি থেকে অনূদিত
ফিদেল কাস্ত্রো: কিউবার বিপ্লবের নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০১১ রাত ১০:৩২
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পশ্চিমা ইসলামবিদ্বেষ থেকে বাংলাদেশের ইসলামপন্থি রাজনীতি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৬


আমি যখন কানাডায় বসে পাশ্চাত্যের সংবাদগুলো দেখি, আর তার পরপরই বাংলাদেশের খবর পড়ি, তখন মনে হয় - পশ্চিমা রাজনীতির চলমান দৃশ্যগুলো বহু পথ পেরিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে আলো-ছায়ায় প্রতীয়মান... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×