নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহ রাজত্ব/ক্ষমতা কাকে দান করেন?

২৬ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১১



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে নাও। তুমি যাকে ইচ্ছা ইজ্জত দান কর, আর যাকে ইচ্ছা বেইজ্জতি কর।তোমার হাতেই মঙ্গল।নিশ্চয়ই তুমি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬৫ ও ৬৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৫। হে নবি! মু’মিন দিগকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ কর। তোমাদের মধ্যে কুড়িজন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজনের উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে একশত জন থাকলে এক হাজার কাফিরের উপর জয়ী হবে।কারণ তারা বোধশক্তিহীন সম্প্রদায়।
৬৬। আল্লাহ এখন তোমাদের ভার লাঘব করলেন।তিনিতো অবগত আছেন যে তোমাদের মধ্যে দূর্বলতা আছে।সুতরাং তোমাদের মধ্যে একশত জন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজন উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে এক হাজার থাকলে আল্লাহর অনুমতিক্রমে তারা দুই হাজারের উপর বিজয়ী হবে।আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।

* রাজত্ব/ক্ষমতা লাভের শর্ত হলো নিজের শত্রু/আল্লাহর শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার শক্তির সঞ্চয়। অমুসলিমগণ নিজের শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার শক্তির সঞ্চয় করলেই ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়। ইসরায়েল রাষ্ট্র এ শর্তে গঠিত। তাদের থেকে আত্মরক্ষায় তাদের নিকটস্থ মুসলিম জাতি সমূহের নিজের শত্রু/আল্লাহর শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার শক্তির সঞ্চয় করতে হবে। আমরাও এ একই শর্তে আবদ্ধ। এ শর্ত পূরণে সক্ষম হওয়ায় মহানবি (সা.) রাষ্ট্র গঠন ও তা’ টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হন। আব্বাসীয়গণ এশর্তে পিছিয়ে পড়ায় মঙ্গল আক্রমনে ক্ষমতা হারায়। এশর্তে এগিয়ে গিয়ে তুর্কীরা ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়। অমুসলিম মুসলিম থেকে এ শর্তে এগিয়ে যাওয়ায় মুসলিম অমুসলিমের তাবেদারে পরিণত হয়েছে।এ শর্তে সমৃদ্ধ হওয়ায় পাকিস্তান আত্মরক্ষায় সক্ষম হচ্ছে। এ সংক্রান্ত এলেম সবচেয়ে বড় দ্বীনি এলেম। এদেরকে আলেম না বলে কওমীদেরকে কেন আলেম বলা হয় সেটা বুঝা মুশকিল। যে এলেমে মুসলিমদের আত্মরক্ষার সক্ষমতা অর্জীত হয় না সে এলেমকে খুববেশী গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নাই।আর কোন অঞ্চলে ইসলামী শাসন আসতে হলে সে অঞ্চলের এক তৃতীয়াংশ নাগরিক ইসলামী অনুশাসন পালনকারী হতে হবে। নারীর মসজিদে যেতে হয় না বিধায় যদি প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকের ১৭% ফয়জরের জামাতে হাজির থাকে তাহলে কোন এলাকায় ইসলামী শাসনের সম্ভাবনা তৈরী হয়। বাংলাদেশে ফয়জরের জামায়াতে প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকের ৫% হাজির হয় কি না এ বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। সংগত কারণে এখানে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়া এবং তারপর ইসলামী শাসন টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব। যারা এখানে ইসলামী শাসন চায় তাদের প্রথম কাজ ১৭% নাগরিককে নিয়মিত ফয়জরের জামায়াতে হাজির রাখা এবং নারীদের ১৭% কেউ ওয়াক্তমত ফয়জরের নামাজ আদায় করতে হবে। ৩৪% নাগরিকের সব নামাজ আল্লাহর দরবারে গৃহিত হতে হবে। তারমানে এরা হারামখোর হবে না। তারপর ইসলামী শাসনের ঘোষণা আসলে এরা পৃষ্ঠপ্রদর্শ করবে না এদের অবস্থা এমন হতে হবে। এদের নেতাগণ বেয়াক্কেল হলেও এদের দ্বারা ইসলামী শাসন আসবে না। ইসলামী শাসনের শর্ত পূরণের কিছুই নাই, তথাপি এখানে ইসলামী শাসনের আশা কিভাবে করা যায় এটা বোধগম্য নয়। এখানে এখন ইনসাফ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করতে হবে। এদেশের জন্য এখন এটাই উপযুক্ত।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:



পৃথিবীতে আপাতত কোন মুসলিম রাষ্ট্র নাই

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।

১।প্রশংসা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর, যিনি বার্তাবাহক করেন মালাইকাকে (ফেরেশতা) যারা দুই-দুই, তিন-তিন অথবা চার-চার পাখা বিশিষ্ট। তিনি তাঁর সৃষ্টিতে যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

* কেউ কোন মুসলিম রাষ্ট্রের মুসলিমদের সাথে একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধরতে চাইলে কোন মুসলিম রাষ্ট্র কারো এমন ইচ্ছায় বাধাসৃষ্টি করতে পারে না, যদি সেটি মুসলিম রাষ্ট্র হয়। তারমানে মুসলিম রাষ্ট্রে বিশ্বের যে কোন প্রান্তের মুসলিমদের ভিষামুক্ত প্রবেশাধিকার থাকবে এবং মুসলিম রাষ্ট্রে বিশ্বের যে কোন প্রান্তের মুসলিমদের নাগরিক অধিকার থাকবে। বিশ্বের সকল স্থানের মুসলিমের জন্য এমন অধিকার যে রাষ্ট্রে নেই সেটি মূলত কোন মুসলিম রাষ্ট্র নয়। সুতরাং বিশ্বে মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ ৫৭ টি রাষ্ট্র থাকলেও এসব রাষ্ট্রের কোনটি মুসলিম রাষ্ট্র নয়। কারণ এসব রাষ্ট্রের কোনটিতে বিশ্বের যে কোন মুসলিমের ভিষামুক্ত প্রবেশ অধিকার নাই এবং এসব রাষ্ট্রের কোনটিতে বিশ্বের যে কোন মুসলিম নাগরিক অধিকার পায় না। সংগত কারণে এসব রাষ্ট্রের কোনটি বিপদে পড়লে আল্লাহর সাহায্য পায় না। নতুবা ফিলিস্তিনের পক্ষে যুদ্ধ করতে আল্লাহ পাঁচ হাজার ফেরেশতা পাঠালে তাদের ইসরাইলের বিপক্ষে জয়ী না হওয়ার কথা নয়।

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পৃথিবীতে মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ রাষ্ট্র থাকলেও মূলত এসব রাষ্ট্রের কোনটি মুসলিম রাষ্ট্র নয়।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: চাচাজ্বী, কেমন আছেন?

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ।

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


এখন পৃথিবীতে আফগানিস্থান ও ইরান ছাড়া আর কোন ইসলামী রাষ্ট্র নেই।
সামনে বাংলাস্তান হবে।

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অনিসলামী লোক ক্ষমতার যোগ্য হলে আল্লাহ তাদেরকেও ক্ষমতা প্রদান করেন। ইসলামী লোক ক্ষমতার অযোগ্য হলে আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমতা প্রদান করেন।

৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:২০

নকল কাক বলেছেন:
ফিতনা-এ-মওদূদিয়াত_(০)
ফিতনা-এ-মওদূদিয়াত_(১)
ফিতনা-এ-মওদূদিয়াত_(২)
ফিতনা-এ-মওদূদিয়াত_(৩)
ফিতনা-এ-মওদূদিয়াত_(৪)
ফিতনা-এ-মওদূদিয়াত_(৫)
ফিতনা-এ-মওদূদিয়াত_(৬)
ফিতনা-এ-মওদূদিয়াত_(৭)
ফিতনা-এ-মওদূদিয়াত_(৮)
ফিতনা-এ-মওদূদিয়াত_(শেষ)

০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তা’ আপনি নকল কাক হতে গেলেন কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.