| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহাজাগতিক চিন্তা
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ৪২ শূরা, ১৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৩। তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন দ্বীন। যার নির্দেশ তিনি দিয়েছিলেন নূহকে। আর যা আমি ওহী করেছি তোমাকে। আর যার নির্দেশ দিয়ে ছিলাম, ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসাকে, এই বলে যে, তোমরা দ্বীনকে কায়েম কর। আর তাতে মতভেদ করবে না।তুমি মুশরিকদেরকে যার প্রতি আহবান করছ তা’ তাদের নিকট দূর্বহ মনে হয়। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা দ্বীনের প্রতি আকৃষ্ট করেন। আর যে তাঁর অভিমুখী তাকে তিনি দ্বীনের দিকে পরিচালিত করেন।
সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু, তবে যা তোমরা যবেহ করতে পেরেছ তা’ ব্যতীত, আর যা মূর্তি পুজার বেদির উপর বলি দেওয়া হয় তা এবং জুয়ার তীরদ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা, এ সব পাপ কাজ। আজ কাফেরগণ তোমাদের দ্বীনের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হয়েছে; সুতরাং তাদেরকে ভয় করবে না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম। তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
* আল্লাহ দ্বীন কায়েম করতে বলেছেন।দ্বীন হলো ইসলাম। এ ইসলাম কায়েম করতে হলে ইসলামী আইন জানা প্রয়োজন।একেক জন ইসলামী আইন একেক রকম বলে। কোন ইসলামী আইনে দেশ চালানোর জন্য লোকেরা ইসলাম কায়েম করতে চায় এটা ইসলামী ভোটারদের প্রধান জিজ্ঞাসা। এ প্রশ্নের উত্তর প্রদানের জন্য বেসরকারী ইসলামী নির্বাচন কমিশন গঠন করে, বেসরকারী ইসলামী সংসদ গঠন করে, ইসলামী আইন প্রণয়ন করে তারপর ইসলাম কায়েম করার চেষ্টা করতে হবে।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।
* আল্লাহ ঐক্যের কথা বলেছেন। ঐক্যের আহবায়ক মাওলানা খলিলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুর। তিনি সকল ইসলামী দলের নেতা/প্রতিনিধি নিয়ে একটি ইসলামী সম্মেলন আয়োজন করবেন। সকলের মতামত নিয়ে মাওলানা খলিলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুর বেসরকারী ইসলামী নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।সেই বেসরকারী ইসলামী নির্বাচন কমিশন ইসলামী ভোটার তালিকা প্রণয়ন করবেন।উক্ত নির্বাচন কমিশন রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দিবেন।প্রত্যেক দল তিনশত আসনে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র দাখিল করবে। ইসলামী ভোটারগণের ভোটে তিনশত জন ইসলামী সাংসদ নির্বাচিত হবেন। ইসলামী সাংসদে গঠিত ইসলামী সংসদ ইসলামী আইন প্রণয়ন করবেন। তারপর সেই আইন কায়েমের মাধ্যমে ইসলাম কায়েম করার চেষ্টা করতে হবে। ইসলামী ভোটার কারা?
সূরাঃ ২৫ ফুরকান, ৭৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৪। আর যারা প্রার্থনা করে, হে আমাদের প্রতি পালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যারা হবে আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্য ইমাম কর।
সূরাঃ ৪১ হা-মীম আস-সাজদা, ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৩। কথায় কে উত্তম ঐ ব্যক্তি থেকে যে আল্লাহর দিকে মানুষকে ডাকে, আমলে সালেহ করে এবং বলে, আমিতো মুসলিমদের মধ্যে গণ্য।
# সূরাঃ ৪১ হা-মীম আস-সাজদা, ৩৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩৩। এ আয়াত দ্বারা মুয়াজ্জিনকে বুঝানো হয়েছে। যিনি সৎকর্মশীলও বটে। সহিহ মুসলিমে রয়েছে, কিয়ামতের দিন মুয়াজ্জিনগণ সমস্ত লোকের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উচ্চ গলা বিশিষ্ট হবেন।
* ইসলামী ভোটার হওয়ার জন্য শুদ্ধ ইসলামী লোক হওয়া দরকার। কোরআন অনুযায়ী এমন লোক ইমাম ও মোয়াজ্জিনগণ। তাঁদের ভোটে বেসরকারী ইসলামী সংসদের সাংসদ নির্বাচিত হবেন। বেসরকারী সাংসদগণের ভোটে বেসরকারী ইসলামী সংসদের নেতা নির্বাচিত হবেন। তিনি হবেন ইসলামী ঐক্যজোট নেতা।তাঁর নেতৃত্বে বেসরকারী ইসলামী সংসদের সকল সদস্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী সংসদের দুই তৃতীয়াংশ সাংসদ নির্বাচিত হলে তাঁরা ইসলামী আইন অনুযায়ী জাতীয় সংবিধান সংশোধন সংশোধন করে ইসলামী আইনে দেশ প্ররিচালনা করে ইসলাম কায়েম করতে পারবেন।
# ইসলামী বিপ্লব কিভাবে করবেন?
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬৫ ও ৬৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৫। হে নবি! মু’মিন দিগকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ কর। তোমাদের মধ্যে কুড়িজন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজনের উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে একশত জন থাকলে এক হাজার কাফিরের উপর জয়ী হবে।কারণ তারা বোধশক্তিহীন সম্প্রদায়।
৬৬। আল্লাহ এখন তোমাদের ভার লাঘব করলেন।তিনিতো অবগত আছেন যে তোমাদের মধ্যে দূর্বলতা আছে।সুতরাং তোমাদের মধ্যে একশত জন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজন উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে এক হাজার থাকলে আল্লাহর অনুমতিক্রমে তারা দুই হাজারের উপর বিজয়ী হবে।আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৯। আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দীন সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।অতঃপর যদি তারা বিরত হয় তবে তারা যা করে আল্লাহতো এর দর্শক।
* দেশের ৩৪% জনগণকে ইসলামী অনুশাসন পালনকারী হিসাবে গড়ে তুলুন। তাদেরকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করুন, যেন যুদ্ধে পৃষ্ঠ প্রদর্শন না করে। নিজের ও আল্লাহর শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার অস্ত্র সংগ্রহে রাখুন। তারপর বিপ্লবের ঘোষণা প্রদান করুন। বিদ্যমাণ ক্ষমতাসীন যুদ্ধে লিপ্ত হলে আল্লাহর দীন সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে জান। ইসলাম কায়েম হয়ে গেলে ইসলাম কায়েম রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:৩৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন:
হিকমাত ও ফিকাহ একত্রে থাকলে কেউ আলেম হয়, নতুবা জাহেল থাকে
সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমাত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। ঐ কিতাব; যাতে কোন সন্দেহ নেই, যা হেদায়াত মোত্তাকীদের জন্য।
সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩। পৃথিবীতে অহংকার প্রকাশ এবং কূট ষড়যন্ত্রের কারণে (অকল্যাণ)।কূট ষড়যন্ত্র এর আহলকে(এর সাথে সংযুক্ত সকল ব্যক্তি) পরিবেষ্ঠন করে। তবে কি এরা অপেক্ষা করছে পূর্ববর্তীদের সুন্নতের? কিন্তু তুমি আল্লাহর সুন্নাতে কখনও কোন পরিবর্তন পাবে না এবং আল্লাহর সুন্নতে কোন ব্যতিক্রমও দেখবে না।
সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।
সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
* আল্লাহর পথে ডাকতে হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজ লাগে বিধায় আলেম হতে এ দু’টি লাগবে।রাসূল (সা.)কিতাব ও হিকমাত শিক্ষা দেওয়ায় উত্তম ওয়াজ হলো কিতাব।এটি ফিকাহ। কারণ আল্লাহ ফিকাহের মাধ্যমে ভয় দেখাতে ও সাবধান হতে বলেছেন।ফিকাহ হলো আল্লাহর সুন্নাত। কারণ এতে পরিবর্তন ও ব্যতিক্রম নাই।এর পরিবর্তে আয়াত মানসুখ ও হাদিস বাতিল।আল্লাহর সুন্নাত ও এলেম এর সূত্র-(কোরআন+হাদিস)-মানসুখ=ফিকাহ+আমির=আল্লাহর সুন্নাত+হিকমাত=এলেম। হিকমাত কি?
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।
সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৭৮ নং ও ৭৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৮। আর স্মরণ কর দাউদ ও সুলায়মানের কথা, যখন তারা বিচার করতেছিল শস্যক্ষেত্র সম্পর্কে, তাতে রাত্রিকালে প্রবেশ করেছিল কোন সম্প্রদায়ের মেষ; আমরা প্রত্যক্ষ করতেছিলাম তাদের বিচার।
৭৯। আর আমরা এ বিষয়ে সুলায়মানকে মীমাংসা বুঝিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাদের প্রত্যেককে আমরা দিয়ে ছিলাম প্রজ্ঞা ও জ্ঞান। আমরা পর্বত ও পাখীদেরকে অধীন করে দিয়েছিলাম, উহারা দাউদের সঙ্গে আমাদের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করতো; আমরাই ছিলাম এ সমস্তের কর্তা।
সূরাঃ ৩১ লোকমান, ১২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২। আমরা লোকমানকে হিকমাত দান করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তা’ করে নিজের জন্য। আর কেউ অকৃতজ্ঞ হলে আল্লাহ তো ধনি ও প্রশংসিত।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৯। আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে কিতাল (যুদ্ধ) করতে থাকবে যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দ্বীন সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।অতঃপর যদি তারা বিরত হয় তবে তারা যা করে আল্লাহতো এর দর্শক।
* নিজের শত্রু ও আল্লাহর শত্রু এবং অদৃশ্য শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার হিকমাত ছিল হযরত সোলায়মানের (আ.) মধ্যে, প্রকৌশল হিকমাত ছিল হযরত দাউদের (আ.) মধ্যে, চিকিৎসা হিকমাত ছিল হযরত লোকমানের (আ.) মধ্যে। প্রযুক্তি হিকমাত ছিল হযরত আদম (আ.) ও হাওয়ার (আ.) মধ্যে।ব্যবসায় হিকমাত ছিল ইমাম আবু হানিফার (র.) মধ্যে। আধ্যাত্বিক হিকমাত ছিল হযরত খিজিরের (আ.) মধ্যে। সামরিক হিকমাত ছিল মহানবি (সা.) ও তাঁর সাহাবায়ে কেরামের (রা.) মধ্যে। হিকমাত ও ফিকাহ মিলে হয় এলেম। এ এলেম এখন উঠে গেছে বললেই চলে। কারো মধ্যে হিকমাত থাকলে ফিকাহ থাকে না। কারো মধ্যে ফিকাহ ধাকলে হিকমাত থাকে না। কারো মধ্যে হিকমাত ও ফিকাহ কোনটি নাই।এরা হলো জাহেল। জাহেল ধরে আলেম ও আল্লামা খেতাব প্রদান করায় এরা জনতাকে কায়দামত পথভ্রষ্ট করে। এরা জনতাকে মতভেদ ও ফিতনা উপহার দেয়। এরা কথা বলতে চিৎকার করে।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১।প্রশংসা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর, যিনি বার্তাবাহক করেন মালাইকাকে (ফেরেশতা) যারা দুই-দুই, তিন-তিন অথবা চার-চার পাখা বিশিষ্ট। তিনি তাঁর সৃষ্টিতে যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।
# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।
সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।
সহিহ আল বোখারী, ৬৫৭২ নং হাদিসের (কিতাবুল ফিতান)-
৬৫৭২। হযরত ওসামা ইবনে যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবি করিম (সা.) মদীনার এক সুউচ্চ অট্টালিকার উপর আরোহন করে বললেন, আমি যা কিছু দেখছি, তোমরা কি তা’ দেখছ? তারা বলল, জী না। তিনি বললেন, আমি দেখছি যে, তোমাদের ঘরের ভিতরে বৃষ্টি পাতের ন্যায় ফিতনা পতিত হচ্ছে।
* রাসূল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম (রা.) হিকমাত ও ফিকাহ সংকলন ও শিক্ষার সুব্যবস্থা না করায় রাসূলের (সা.) ইন্তেকালের সময় তাঁর ঘর থেকে মতভেদ ও ফিতনা শুরু হয়।পরে সাহাবায়ে কেরাম (রা.)লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হন। এমতাবস্থায় ঈমান পৃথিবীতে থাকতে না পেরে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট চলে যায়। কারবালায় জান্নাতের যুব নেতা ইমাম হোসেন (রা.) তাঁর প্রতিপক্ষে কোন মুমিন খুঁজে পাননি। তারা তাঁর মাথা কেটে ইয়াজিদকে উপহার দেয়। মদিনাবাসী এর প্রতিবাদ করলে ইয়াজিদ তাঁদেরকে লাঞ্চিত করে। তখন মদীনার ঘর সমূহে বৃষ্টি পাতের ন্যায় ফিতনা পতিত হয়। অবশেষে পারসিক ইমাম আবু হানিফা (র.) ফিকাহ সংকলন ও শিক্ষার ব্যবস্থা করায় ঈমান সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থেকে ফিরে আসে। সবচেয়ে পরাক্রান্ত কুরাইশ খলিফা আব্বাসীয় আমির হারুনুর রশিদ ইমাম আবু হানিফার (র.) ফিকাহ পরিশোধন করে অনুমোদন করলে ফিকাহের সাথে পরাক্রম মিলে ইসলামের স্বর্ণ যুগ শুরু হয়। মঙ্গলদের থেকে আব্বাসীয়দের পরাক্রম কমে যেতেই খেলাফত শেষ হয়ে সালতানাৎ শুরু হয়। সালতানাতের পরাক্রম কমে যেতেই মুসলিম অমুসলিমের তাবেদারে পরিণত হয়। পরাক্রম ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ গ্রহণ না করে এ বেকুবগুলা অহেতুক চিৎকার করে।অথচ গাজা যুদ্ধে আল্লাহ পাঁচ হাজার ফেরেশতা পাঠিয়ে দিলে তাদের সাথে ইসরায়েল বহু আগে হেরে যেত। অমুসলিমরা বাড়াচ্ছে পরাক্রম, আর মুসলিমরা বাড়ায় মতভেদ। ফলে তারা আল্লাহর মহাশাস্তিতে গ্রেফতার আছে। তাদের অযথা চিৎকারে মূলত কোন কাজ হবে না। মতভেদ ও চিৎকার ছেড়ে পরাক্রম বাড়ালেই তাদের থেকে আল্লাহর শাস্তি দূর হবে।
২|
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৮
নকল কাক বলেছেন:
ফিতনা-এ-মওদূদিয়াত_(০)
ফিতনা-এ-মওদূদিয়াত_(১)
ফিতনা-এ-মওদূদিয়াত_(২)
ফিতনা-এ-মওদূদিয়াত_(৩)
ফিতনা-এ-মওদূদিয়াত_(৪)
ফিতনা-এ-মওদূদিয়াত_(৫)
ফিতনা-এ-মওদূদিয়াত_(৬)
ফিতনা-এ-মওদূদিয়াত_(৭)
ফিতনা-এ-মওদূদিয়াত_(৮)
ফিতনা-এ-মওদূদিয়াত_(শেষ)
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৪০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ফেতনা-ফাছাদ জিনিসটাই খারাপ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২২
পলপ বলেছেন: A truly enlightening read! The information is presented with such clarity and precision E-ZPass in Maryland