জুন মাসের ২৮ তারিখ। কি করি আজ ভেবে না পাই অবস্থার অবসান ঘটিয়ে অনেক দুঃখ কষ্ট সওয়া বিজন রয় কল্লোল পথিক-এর বেশে নীলপরির সন্ধানে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। চাঁদের দেশের গাজী মশাই হয়তো পথটা জানেন ভেবে তার সঙ্গে দেখা করবে সুমন করকে নিয়ে, এমন আশায় ফোন দেয় সুমনকে। কর অফিসে করের হিসাবে ব্যস্ত সুমন কলটা রিসিভ করে না। এরই মধ্যে শায়মা ফোন দিয়ে বায়না ধরে। ঈদে তাকে দুটো জামা কিনে দিতেই হবে। আশ্বাস দিয়ে ফোন রাখে বিজন। মনের কথা ভাবতে ভাবতে পার হয় কালনী নদী। দেখা হয় আরণ্যক রাখালর সঙ্গে। বাঁশির সুরের মূর্ছনায় সবাইকে অশ্রু কারিগর করতে ওস্তাদ রাখাল জানায় চাঁদগাজীর কাছে না গিয়ে কাজী ফাতেমার সঙ্গে দেখা করলে লাভ হবে। রাখালের কথা মতো বিজন কাজী ফাতেমার বাড়ি যায়। দেখে মোটা ফ্রেমের চশমা পরিহিতা ফাতেমা একটা মোটা বই পড়ছেন। বইটার নাম 'সুখী মানুষ'। মনিরা সুলতানার লেখা এই বইটা নাকি 'সুলতানা'স ড্রিমস' এর মতোই। এতসব জানার পর বিজন নীলপরির সন্ধান জানতে চায়। কাজী ফাতেমা একটু ভেবে বলল সামু পাগলা০০৭ কে সঙ্গে নিয়ে সাধুবাবা রূপক বিধৌত সাধুর সাক্ষাৎ কর। বিজন তার কথা মত কাজ করে। কিন্তু কারো নামের সঙ্গে শূন্য শূন্য সাত থাকবে কেন ভাবতে ভাবতে রাত হয়ে যায়। পথে সাইফুল১৩৪০৫-এর সঙ্গে দেখা হতেই সে বলে এত সাত-পাঁচ না ভেবে তোমার লক্ষ্যের দিকে হাঁটো। রাত গভীর হয়, অপূর্ব নীলে ভরে যায় আকাশ। বিজন ভাবে কিন্তু শুধু নীল হলে হবে না, পরিকেও চাই। ভাবতে ভাবতে বিজন পথ চলে। আলোর পাখির ডাকে ভোর হয়। ওরা পৌঁছায় সাহসী সন্তান-এর দেশে। দেবজ্যোতিকাজল নামক এক ফল বিক্রেতা ওদের কিছু ফল খেতে দেয়। তারপর সাধু বাবার ঠিকানায় নিয়ে যেতে নেয়। হঠাৎ বিদ্রোহের গান গাইতে গাইতে বিদ্রোহী ভৃগু আসে। বলে, না...না...না, নীলপরিকে নিয়ে যেতে দিব না। বিজন অবাক হয়। ইনি কি মাইন্ড রিড করতে পারেন! পরে দেবজ্যোতিকাজল তাকে কানে কানে কিছু বলে। ভৃগু শান্ত হয়। বিজনকে নিয়ে তারা এক রাজপ্রাসাদে যায়। মূল ফটকের সামনে দাড়িয়ে অপূর্ব সুন্দর নীল রঙের পোশাক পরিহিতা নারী। যেন নীলপরি! হঠাৎ দৃশ্যপট চেঞ্জ করে গেমচেঞ্জার বিন্দু বিসর্গ না ভেবে গ্রেফতার করেন বিজন। কোর্টে চালান হয় বিজন। বিচারক মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম সিদ্ধ ডিম খেতে খেতে বলেন, আরে বোকা নীলপরি সন্ধান করতে এখানে এসছো কেন! http://www.somewhereinblog.com এ যাও। তাকে পাবে। চমৎকার সব পোস্ট দেয়। বিজন ভুল বুঝতে পারে। বলে, আজ থেকে সুন্দর একটা ব্রত করলাম, নীলপরিকে শরীরী সত্তায় খুঁজব না, বরং তার সৃষ্টির মধ্যে তাকে খুঁজব। মানুষ তার শরীরী সৌন্দর্যে না, সৃষ্টিকর্মের সৌন্দর্যে বাঁচে।
বি.দ্র: লেখাটাকে এডিট করতে চেষ্টা করলাম কিন্তু কঠিন ব্যাপার। অামি এ কাজটায় খুবই দুর্বল। একবার যা লিখে ফেলি, তা কেবল ডিলিট করা ছাড়া অার কিছু করতে পারি না। সুতরাং এ গল্প এখানেই শেষ করছি। লেখা উৎসর্গ করলাম মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম ভাইকে। তার একটি পোস্ট দেখেই এমন কিছু লেখার উৎসাহ পেয়েছি। যাদের নাম গল্পে এল না, তাদের কাছে অামি ক্ষমাপ্রার্থী। পরবর্তী সময়ে ভিন্ন কোন ক্ষেত্রে তারা অবশ্যই অাসবেন। অার যাদের নাম বারবার উচ্চারিত হয়েছে তারা অাসলে গল্পের স্রোতেই হাইলাইেটড হয়েছেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:১৫