somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আন্দোলন নিয়ে বক্তৃতায় বিতর্ক বাধালেন ইউনূস

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নিউ ইয়র্ক সফরে গিয়ে ‘ক্লিন্টন গ্লোবাল ফাউন্ডেশন’-এর অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে উৎখাতের আন্দোলন নিয়ে নানা কথা বলেছেন। এই আন্দোলনের ‘নেপথ্যের মস্তিষ্ক’-কে তিনি মঞ্চে ডেকে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। তরুণ সমাজের প্রতিনিধি হিসাবে আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া দুই সাংবাদিককেও মঞ্চে তুলেছেন মুহাম্মদ ইউনূস, আমেরিকা সফরের ঠিক আগে যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে তাঁর সহকারী প্রেস সচিব হিসাবে। কিন্তু এ সব নিয়ে বিতর্কে এখন সরগরম বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনাকে উৎখাতের আন্দোলনকে অংশগ্রহণকারী সংগঠকরা কেউ বলছেন ‘গণ-অভ্যুত্থান’, কেউ বা ‘বিপ্লব’। দু’টি ক্ষেত্রেই বিষয়টিকে স্বতঃস্ফূর্ত এবং গণবিক্ষোভের আচমকা বিস্ফোরণ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু বিল ক্লিন্টনের সংগঠনের অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস বলেছেন, গোটা আন্দোলনটি আদতে ‘চমৎকার ভাবে পূর্ব পরিকল্পিত’। এতেই আপত্তি সংগঠকদের অনেকের। ইউনূসের কথা অনুসারে, তা হলে বিপুল ধ্বংসকাণ্ড এবং মৃতদেহের পাহাড় তৈরিও প্রাক পরিকল্পনার ফল। জেল ভেঙে জঙ্গি ও অপরাধীদের মুক্ত করাও আগেই ঠিক করা। ভারতীয় দূতাবাসের সংস্কৃতি কেন্দ্রে আগুন দিয়ে লুটপাটও ছক অনুসারে করা। নতুন সরকারে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পরে প্রাক্তন সেনাকর্তা এম সাখাওয়াত হোসেন সরেজমিন তদন্তের পরে বলেছিলেন, নিহতদের অধিকাংশের দেহ থেকে যে বিশেষ ধরনের বুলেট মিলেছে, তা পুলিশ ব্যবহার করে না। এমন বুলেটে নিহতের সংখ্যা পুলিশের বুলেটে নিহতের চেয়ে বেশি। আমেরিকার নেতৃত্বাধীন নেটোর ব্যবহৃত এই বিপুল পরিমাণ বুলেট কী ভাবে বাংলাদেশে এল, কারা ব্যবহার করে এত খুন করল, তা রহস্যের।

সেই বুলেট রহস্য সমাধানে তদন্তের পথে হাঁটেনি ইউনূস সরকার। গুরুত্বহীন দফতরে সরানো হয়েছে সাখাওয়াতকে। আজ যখন ইউনূস আমেরিকায় দাঁড়িয়ে বন্ধু ক্লিন্টনকে পাশে পেয়ে আবেগে বলে ফেললেন, আন্দোলনের প্রতিটি বাঁক ও পথ পূর্ব পরিকল্পিত, ফের সামনে চলে আসে সেই বুলেট রহস্য— যা নিয়ে রা কাড়েনি কোনও বিপ্লবী।

কোটা-বিরোধী আন্দোলনকে সরকার উচ্ছেদের আন্দোলনে পরিণত করা, মৌলবাদী ও জঙ্গি শক্তির তাতে অংশগ্রহণ থেকে অনেকেই দাবি করেছিলেন, নিষিদ্ধ ইসলামী ছাত্র শিবির এবং হিযবুত তাহরীরের নেতৃত্বে এই আন্দোলন হয়েছে। ‘ক্লিন্টন গ্লোবাল ফাউন্ডেশন’-এর অনুষ্ঠানে ইউনূস ডেকে নেন তাঁর বিশেষ সহকারী হিসাবে নিয়োগ পাওয়া মহফুজ় আলমকে। ক্লিন্টনকে বলেন, “এ-ই মাহফুজ় গোটা আন্দোলনের ‘নেপথ্যের মস্তিষ্ক’, নিজে অবশ্য স্বীকার করে না!” মাহফুজ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিযবুতের নেতা হিসাবে পরিচিত। লেখিকা তসলিমা নাসরিন সমাজমাধ্যমে তাঁর পোস্টে লিখেছেন, ‘আমেরিকায় দাঁড়িয়ে ইউনূস হাসিনাকে উৎখাতের আন্দোলনের প্রধান হোতা হিসাবে নিষিদ্ধ ইসলামি জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের নেতা মাহফুজ় আলমের নাম ঘোষণা করেছেন। বিল ক্লিন্টন পাশে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়েছেন। এই কি সেই আমেরিকা, যারা গণতন্ত্রের কথা বলে? ইসলামি সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলে?’

অন্য যে দু’জন তরুণ-তরুণীকে ইউনূস মঞ্চে ডেকে আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার কথা বলেছেন, তাঁরা হলেন সুচিস্মিতা তিথি ও নাইম আলি। এঁরা দু’জনেই দু’টি কাগজের সাংবাদিক ছিলেন। সম্প্রতি তাঁদের ইউনূসের সহকারী প্রেস সচিব নিযুক্ত করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, আন্দোলনে দু’জন রিপোর্টারের কী ভূমিকা ছিল। অনেকেই বলছেন, সেই সময়ে বেশ কিছু সংবাদপত্রে নানা অসত্য খবর ও গুজব প্রকাশিত হয়েছে, যা সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের জ্বালামুখীকে উস্কে দিয়েছে। ইউনূসের কথায়, যা ছিল পরিকল্পনার অংশ।
সূত্র : আনন্দ বাজার পত্রিকা
লিংক ঃ আন্দোলন নিয়ে বক্তৃতায় বিতর্ক বাধালেন ইউনূস
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫০
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×