সন্দ্বীপ সফরের ১ম অংশের পরের অংশ
প্রথমে আমার সফর সঙ্গীদের সর্ম্পকে বলি
আমরা ছিলাম ছয় জন তার মধ্যে আমাদের প্রিয়, বন্ধুভাবাপূর্ণ আহমেদ আমের মোস্তফা আবীর স্যার, তিনি শিক্ষক হলেও অতিউৎসাহী ভ্রমন প্রিয়সী ছোটদের সবগুণাবলী উপস্থিত ও অতি আনন্দ প্রিয় সহজ বিষয় সিরিয়াস,
আরেক জন হলো রাহিক ভাই তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের ছাত্র উনি সবাইকে সহজে হাঁসাতে পারে ও দুষ্টামির সব গুণ রয়েছে। খালেদ সাইফুল্লাহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমাদের মধ্যে সবচাইতে ভদ্র হুজুর এবং সর্ব ক্ষেত্রে পড়ালেখা অন্যকিছু না। এমরান তার দাদার বাড়ী সন্দ্বীপ কিন্তু সে সেখানে যায়নি সে একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সাধারণ টাইফের। আরেক জন হলো শরীফ তার বাড়ী কুতুবদিয়া সে সবসময় নিজ এলাকা দিয়ে সবকিছু মূলায়ন করে তার নামের সাথে তার মিল রয়েছে কিছুটা ভীতু হলেও ইংরেজী চর্চায় খুবিই পশ্রিরমি আর শেষ জন হলাম আমি বয়সের তুলনায় আকারে বড় হওয়া সবজায়গায় সহজে সম্মানিত হই যাক মূল কথায় আসি
টিকেট নেওয়ার পর স্প্রিট বোর্ডে উঠার পালা প্রথমে লম্বা একটা ব্রিজ শুরুতে আমি আবীর স্যার, এমরান দৌড় প্রোতিযোগিতা শুরু করি এতে আবীর স্যার প্রথম ইমরান ২য় আর আমি শেষ জন। যাক বোর্ডে উঠালাম সবাই এক সাথে এবং সামনের দিকে অন্য যাত্রিদের মধ্যে একজন আন্কেল ছিল যিনি মুক্তিযুদ্ধা বিমান বাহিনির অফিসার ছিলেন এবং উত্তর সন্দ্বীপের চৌধুরী পরিবারের সন্তান থাকেন ঢাকায় তিনি আমাদেরকে অনেক কিছু জানালেন একজন শহুরে ভদ্রলোক ও তার দুই সন্তান আধুনিক পোষাক পরিহিত কিন্তু স্প্রিট বোর্ডে ছিল অত্যান্ত ভীত আরও কয়েকজন স্থানিয় মানুষ ছিল। বোর্ড ছাড়তেই আবীর ভাই আর রাহিক ভাই লাফা লাফি আর ছবি তোলা শুরু করা মাত্র ডাইভার নিষেধ করে এতে কিছুটা শান্ত হলেও শরীফ খালেদের ইংরেজি বলা আবীর ভাই রাহিক ভাইয়ের সেলফি ছবি তোলা চলতে চলতে দারুণ উপবোগ করছিলাম সমুদ্রকে দেখতে দেখতে বিশ মিনিটে সন্দ্বীপ চলে আসলাম।অনেক বেশি সুন্দর ছিল দুপুরের রোদের মধ্যে সমুদ্রটা অনেক সুন্দর.....। ঘাট এলাকে সবুজ গাছ এ খুব বেশি সুন্দর লেগে ছিল যা বলে বুঝাতে পারবো না। ঘাটে উঠে ঝামেলায় পড়লাম সেখানে টিকেটর ছিড়া অংশ দেখাতে হবে কিন্তু আমরাতো জানি না আমাদেরকে জেতে দিচ্ছে না কারকাছে তা ছিল না ভুলে গেছি অবশেষ আবীর ভাই পকেট থেকে কয়টি বাহির করলো আমরা নতুন বললাম তারপর ছেড়ে দিল ব্রিজে ব্যানগাড়ী ডাকলো আমরা উঠলাম কিন্তু সামান্য গিয়ে বলে শেষ বাড়াদিতে গিয়ে সবাই অবাক হাঁটলে পাঁচ মিনিটের পথ তা জন প্রতি বিশ টাকা তখন শহরের রিক্সাওয়ালাদের কথা মনে পড়ে গেলো যাক বাড়া দিয়ে টেক্সি স্টেশনে দাঁড়াইলাম আর সভাই ডাকা ডাকি শুরু করলো কিন্তু আমাদের জন্য গাড়ী আগে থেকে এমরানে চাচাতো ভাই ঠিক করে রেখেছিল আমরা ঐটাতে উঠলাম।সেই টেক্সি যার খট কট কট আওয়াজ, ছোটকালে এই টেক্সিগুলো দেখছিলাম অনেক দিন পর আবার সেই বেবী টেক্সিতে ছড়লাম । যেতে যেতে সন্দ্বীপ এর গ্রামীণ পরিবেশ আর নব্বান্নের ধানকাটা আর টেক্সিতে কথা কাটা কাটি করেতে করতে ঘাট থেকে এমরানের দাদার বাড়ী সেনের হাট নিউ কমপ্লেকসে আসতে প্রায় ৪০ মিনিট লেগেছে টেক্সিতে বসে আমরা গ্রামীণ সন্দ্বীপের সুন্দরয্য দেখে মুগদ্ধ্য এর মধ্যে আবীর ভাই বাজী ধরলো আজকে দিনের বিতর সন্দ্বীপের মেয়ে ঠিক করে দিতে পারলে তিনি বিয়ে করবে........... .
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭