somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের শিশুরা।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শিশুদের বিনোদনের জায়গা ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে । বিশেষ করে শহরে । শিশু বিনোদন গতানুগতিক ধারায় চলে যাচ্ছে । খেলার মাঠের অভাবের জন্য আমাদের শিশুরা ঘর মুখো বিনোদনে অভ্যস্ত হচ্ছে । খেলাধুলা নিয়ে একটু বলে নেই । আমরা সবাই জানি খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানুষিক বিকাশে সহায়ক ভুমিকা পালন করে । শিশু মানেই তো বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দে ছোটাছুটি চঞ্চল চরিত্র । বইয়ের পাতায় রূপকথার জগতে বিচরন । দাদা– দাদীর মুখে বিস্ময় চোখে গল্প শোনা । আজকের শিশুরা ঝিমানো চেহারা আর সহ্য হয় না । তাদের নিশ্চিন্ত জীবনে কেন হতাশার চাপ ? খেলার মাঠ নেই । কেন ? একটু লাভের আশায় মনের অজান্তে পরবর্তী প্রজন্মকে ঘরবন্দি রাখার পাকা ব্যবস্থা করে রেখেছি। মানুষিক ও শারীরিক ভাবে হতাশা নিয়ে এক প্রজন্ম গড়ে উঠছে ।
মাঠ নেই শহরে । তাই শিশুদের চোখ টেলিভিশনের পর্দায় । এখন প্রশ্ন কি দেখছে আমাদের শিশুরা ? আমাদের মিডিয়া শিশুদের নিয়ে কতটা ভাবছে ?
দ্বিতীয় প্রশ্নটা একটু বলি । আমি একজন মিডিয়ার ছাত্র হয়ে খুব বিরক্ত । সব চাইতে দুঃখ জনক আমাদের নাটকে শিশুরা হারিয়ে গেছে । লম্বা লম্বা সিরিয়ালে একটু জায়গা হয় না শিশুদের । শিশুদের জন্য যা দেখানো হয় তা নাম কা ওয়াস্তে ।
এখন আসি শিশুরা কি দেখছে । আমি বলব আমরা কি দেখাচ্ছি । সমাজের সব গুলো সমস্যা একটা আরেকটার সাথে জড়িত । আমাদের মায়েরা দেখেন হিন্দি সিরিয়াল ও রিয়েলিটি শো । সাথে সন্তান ও দেখছে । এই সিরিয়াল গুলোর সুক্ষ চাল আমাদের কোমল মতি শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশে বাঁধা সৃষ্টি করছে । রিয়েলিটি শোগুলোর ভাষা কুরুচিকর ও আমাদের শিশুদের ভাল কিছু শিখাচ্ছে না। তারা পরিবারে সমস্যা তৈরি করছে । পৃথিবীর একজন হিসেবে যে কোন সিরিয়াল আমার দেখবার অধিকার আছে কিন্তু তাই বলে যেটা আমার সমাজে বাঁধা সৃষ্টি করবে সেটা থেকে দূরে থাকাই ভালো । আমাদের দেশে এখন অনেক ভাল নাটক হচ্ছে এবং শুধু তাই নয় আমাদের রিয়েলিটি শোগুলো যেমন মার্জিত তেমনি উপভোগ করার মত। আমরা যদি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি যদি বদলাই, তবেই আমাদের এসব ভাল লাগবে।
শিশু বিনোদনের আরেক মাধ্যম হল কার্টুন । কার্টুন আমাদের শিশুদের সবচাইতে প্রিয়। এখন কার শিশুদের প্রিয় ডরিমন । এ কার্টুন নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনা । বিদেশী কাটুন কি বাচ্চারা দেখবে না । দেখবে কিন্তু সেটা যেন নেশা না হয়ে যায় । অন্য ভাষা শেখা দোষের নয় তবে সেটা মাতৃভাষা শিক্ষায় যেন ব্যাঘাত না ঘটে।
আপাতত দৃষ্টিতে ডরিমন কার্টুনে বেশ কিছু সমস্যা আমার চোখে ধরা পড়েছে ।
১। বাংলা শিক্ষায় আঘাত হানছে । যা মাতৃভাষার গুরুত্ব কমাচ্ছে ।
২।অবাস্তব জিনিসের সাথে পরিচিত হচ্ছে ।
৩।মিথ্যা শিখছে ।
৪।ঘরকুনো করছে ।
৫। জীবনকে ডরিমন কার্টুনের সাথে মিলিয়ে ফেলছে।
৬।হিন্দির চর্চা হচ্ছে যা প্রকাশ্যমান দৃষ্টিকটু ।
এভাবে বাস্তবের বাইরে বেড়ে উঠছে আমাদের শিশুরা ।
এখন আসি গেমস বিষয়ক ব্যাপারে । সব গেমস খারাপ ব্যাপারটা তা নয় । আমারা সঠিক গেমস বাচ্চাদের হাতে তুলে দিতে পারিনা। শিক্ষামূলক , পাজল গেমস বাচ্চাদের মেধা বিকাশে সহায়তা করে । এমন গেমস আমাদের বাচ্চাদের হাতে যাচ্ছে যা তাদের নেশা গ্রস্থ করছে ।
আমাদের শিশুদের বিশেষ করে শহরের শিশুদের বিনোদন বলতে টেলিভিশন ও গেমসের মধ্যে সীমাবদ্ধ । বাচ্চাদের ছোটা – ছুটি করার জন্য একটু জায়গা করে দিতে পারলে তারা শারীরিক ও মানুষিক ভাবে আরও উন্নত হয়ে বাঁচতে পারত । সকল শিশুর শুভ ভবিষ্যৎ কামনা করছি ।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×