-এইযে ভাই, ১ হালি ডিম দেন তো?
-জী ভাই, এই নেন।
আবীর চিন্তায় পরে গেল। সজীব তার মনে ঝড় তুলে দিয়েছে। সে মনে করছিল মুদি দোকানদার হওয়াই ছিল তার ভাগ্য। কিন্তু সে যে গানকে তার প্রানের চেয়েও ভালবাসে। তার সপ্ন, ভালবাসা সব কিছুই তার গান নিয়ে। গান গাওয়াই যে তার জীবনের সবচেয়ে বড় চাওয়া। তবে সে কি নিজেকে একবার সুযোগ দিবে না? কিন্তু সে কি পারবে? গান ছেড়েছে আজ প্রায় ৬ বছর। কার অনুপ্রেরনায় সে গান গাবে? পরিবার থেকে গান গাওয়ার জন্য কখনই প্রশংসা পায়নি বরং তিরস্কার পেয়েছে। তার পরিবার কি তাকে অনুমতি দিবে? কিন্তু সে কার সাথে কথা বলবে?
-মা। আমি মুদি দোকানে বসব না।
- কি করবি?
- আমি গান গাব।
- এখন?
- তোমরা সবসময় বলতা গায়ক হয়ে কোন লাভ নাই। সংসার চলতে টাকা লাগে। টাকা শুধু ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার হলেই পাওয়া যায়। কিন্তু এসব হতে গিয়েই আমি আজ মুদি দোকানদার ছাড়া আর কিছুই হতে পারি নি। এতদিন তো আমি তোমাদের জন্য বাঁচলাম। এবার আমাকে আমার মত বাঁচতে দাও।
- কিন্তু কি করবি?............ আচ্ছা থাক বলার দরকার নেই। তুই এগিয়ে যা।
আবীর খুশিতে সজীবকে ফোন করল।
-সজীব, আমি গান করব। রেজিস্ট্রেশন করতে কি করতে হবে বল।
-রেজিস্ট্রেশন করা লাগবে না। আমি করে দিয়েছি। তোর অডিশন শুক্রবার সকাল ৯ টায়।
শুক্রবার সকাল ৯টা।
সজীব ও আবীর লাইনে দাড়িয়ে আছে অডিশন দেওয়ার জন্য। আর ৫ মিনিট পরেই তাকে ডাকা হবে অডিশন দিতে।
-সজীব, আমি পারব তো?
-আবীর, আমি জানি না। কিন্তু আজকের পরে তুই কখনও আফসোস করবি না।
আবীরকে অডিশন দেবার জন্য ডাকা হল। সে ভিতরে গেল। পারবে তো সে?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




