somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওষুধের সাইড এফেক্ট বনাম প্রাকৃতিক খাদ্য : রোগ নিরাময় ও প্রতিরোধে কলার বিস্ময়কর ক্ষমতা

১৩ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৯:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




ঋতু বদলের শুরুতেই সব বয়সের রোগাক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে যায়। ফলে ওষুধ কোম্পানীগুলো নড়েচড়ে বসে কারণ ওষুধ বাণিজ্য কিছুটা তারুল্য প্রবাহ বৃদ্ধি প্রায় অর্থ্যাৎ ওষুধ ব্যবসা চাঙ্গা হয়। কিন্তু আপনি কখনও ভেবে দেখেছেন, ঋৃতু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সাধারণ অসুখগুলো নিরাময়ে উচ্চ মাত্রার ওষুধ যেমনঃ- এন্টিবায়োটিক অসুখ নিরাময়ের চেয়েও বড়মাত্রায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরী করতে পারে।

আপনি কী জানেন, অনেক ক্ষেত্রেই ওষুধ ব্যবহার করার পর উপকারীতার চেয়ে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বেশী হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ওষুধ ব্যবহার করার পর রোগ নিরাময় তো হচ্ছেই না বরং শরীর ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে শারীরিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরী করে। ওষুধ বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে রোগের লক্ষণ গুলো দূর করতে কাজ করে কিন্তু রোগের কারণ গুলোর বিরুদ্ধে কার্যকারীতা দেখাতে পারে না ফলে রোগের প্রকৃত অবস্থার কখনও উন্নতি হয় না এবং একই রোগে ঘুরে ফিরে আবারও রোগী আক্রান্ত হয়। সেজন্য দেখা যায় একজন মানুষ বছরের পর বছর পেপটিক আলসারে আক্রান্ত হয়ে ওষুধ খেয়েই যায় কিন্তু রোগের অবস্থার উন্নত হয় না। ওষুধ কোম্পানী গুলো সব সময় ডাক্তার ও রোগীদের ওষুধের উপকারীতা, সুবিধা, সফলতার হার ইত্যাদি বলে ওষুধ বিপনন করেন। কিন্তু প্রায় সব ওষুধ কোম্পানী তাদের ওষুধের মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সব তথ্য চিকিৎসকদের বলেন না। ফলে চিকিৎসক ও রোগীর ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কোন ধারণাই তৈরী হয়ে উঠেনা। যার ফলে ওষুধে রোগ নিরাময়ের চেয়ে অনেক সময় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাড়ায়।

সূতরাং রোগ নিরাময়ে কৃত্রিম রাসায়নিক ক্যামিকেলে প্রস্ত্ততকৃত ওষুধ ব্যবহারের চেয়ে প্রাকৃতিক গুন সম্পন্ন খাবার গুলোর কথা আবার চিন্তা করা উচিত। কারণ একজন মানুষের শরীর সুস্থ সবল রাখা তার দায়িত্ব্যের মধ্যেই পড়বে। সূতরাং শরীরের রোগ নিরাময় করার জন্য। শরীর সুস্থ সবল রাখার জন্য আপনি কৃত্রিম রাসায়নিক ক্যামিকেলে উৎপন্ন ওষুধ ব্যবহারের পূর্বে দু’বার চিন্তা করে দেখুন কারণ এসব ওষুধ খেলে আপনার দীর্ঘ মেয়াদে শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
সুস্থ শরীরের জন্য প্রাকৃতিক খাবারঃ- আজ থেকে ১০০ বছর পূর্বে মানুষের গড় আয়ুর কথা ভাবুন যখন চিকিৎসা বিজ্ঞানে এতো বেশী প্রয়োজনী অপ্রয়োজনীয় ওষুধের ছড়াছড়ি ছিল না। মানুষ তখন রোগ নিরাময়ে সুস্থ থাকার জন্য প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে দীর্ঘায়ু লাভ করতো। আমরা প্রতিদিন বেঁচে থাকার জন্য অনেক প্রাকৃতিক ফলমূল, সবজি, তরকারী ইত্যাদি খাই। কিন্তু আমরা নিশ্চয়ই এসব ফল, সবজি, তরকারীর ওষুধী গুন সম্পর্কে জানি না। পাঠকদের জানার জন্য আমরা বিষয় গুলো তুলে ধরছি।

কলাঃ কলা আমাদের দেশে সস্তা ও সহজলভ্য একটি ফল। সমাজের সর্বস্তরের লোকদের মধ্যে কলা সব ঋৃতুর জনপ্রিয় একটি ফল। কলার পুষ্টিগুন এবং রোগ নিরাময় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা । 'প্রায় সব বয়সের সবার জন্য কলা একটি প্রথম পছন্দের উপকারী খাবার।

কলার পুষ্টিগুনঃ যেহেতু কলা পটাসিয়াম সমৃদ্ধ সবচেয়ে ভাল ফল সূতরাং হাসপাতালে যে সমস্ত রোগীর রক্তে পটাসিয়ামের পরিমান কম তাদের জন্য চিকিৎসকরা দিনের ৩ বেলার খাবারে কলা খাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। তাছাড়াও অসুস্থ অবস্থা থেকে দ্রুত নিরাময়ের জন্য হাসপাতালের সকল রোগীদের প্রতিদিনের নাস্তায় দু’টি কলা পরিবেশন করা হয়। আকারে ৯ ইঞ্চি সাইজের একটি কলায় ৬০২ মি.গ্রা. পটাসিয়াম এবং ১০৪ ক্যালরি শক্তি মাত্রা থাকে। ঠিক একই আকৃতির একটি কলায় আরও থাকে ২ গ্রাম প্রোটিন, ৪ গ্রাম ফাইবার, ২ মি.গ্রা. সোডিয়াম এবং ৩৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। অপুস্টিতে আক্রান্ত শিশুদের অপুস্টির সমস্যা দূর করার জন্য কলা একটি সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ভিটামিন ও মিনারেলের উৎকৃষ্ট উৎস হিসেবে আমরা যে কয়েকটি ফলের কথা বলবো তার মধ্যে কলা হচ্ছে একটি।

কলায় রয়েছে-
ভিটামিন A 23 আই ইউ (I.U.)
সবধরনের বি ভিটামিন,

যেমনঃ থায়ামিন ০.০৭ মি.গ্রা.
রিবোপ্লাবিন ০.১৫ মি.গ্রা.
নায়াসিন ০.৮২ মি.গ্রা.
ভিটামিন বি৬ ০.৮৮ মি.গ্রা.
ফলিক এসিড ২৯ মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন সি ১৩.৮ মি.গ্রা.
ক্যালসিয়াম ৯.২ মি.গ্রা
ম্যাগনেসিয়াম ৪৪.১ মি.গ্রা.
এবং আয়রন ও জিংক রয়েছে।

কলায় সাধারণত তিন ধরণের সুগার পাওয়া যায়। কলায় পাওয়া প্রাকৃতিক চিনি গুলো হচ্ছে - (১) সুক্রোজ (২) ফ্রুকটোজ (৩) গ্লুকোজ। কলা খেলে শরীরের জন্য তাৎক্ষনিক ভাবে যে অাঁশ যুক্ত গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ এবং সুক্রোজ পাওয়া যায় তা শরীরে শক্তি উৎপাদনে কাজ করে যার প্রভাব দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত থাকে। গবেষনায় দেখা গেছে, মাত্র দু’টি কলা খেলে একজন মানুষ প্রায় ৯০ মিনিট পর্যন্ত হাটতে পারে। বিশ্বসেরা এথলেটসদের কাছে কলা একটি প্রথম পছন্দের উপকারী ফল। শুধুমাত্র শক্তি বৃদ্ধিতে কলার উপকারীতার সাথে সাথে শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরময়ে কলার বিভিন্ন ভূমিকা রয়েছে। যেমনঃ-

1. স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতায়ঃ কলায় প্রচুর পরিমান ভিটামিন বি রয়েছে যা স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনা প্রশমনে বা নিয়ন্ত্রনে কাজ করে।

2. এনিমিয়াঃ পাকা কলায় প্রচুর পরিমান আয়রন রয়েছে। কলা রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের জন্য উদ্দিপনা তৈরী করে যা এনিমিয়া রোগ নিয়ন্ত্রনে কাজ করে।

3. বিষন্নতা দূর করতেঃ নতুন একটি গবেষনায় দেখা গেছে, যারা বিষন্নতা রোগে আক্রান্ত হয়ে মানসিক রোগে ভোগেন তারা কলা খাবার পর বিষন্নতা তাৎক্ষনিক ভাবে দূর হয় এবং সুস্থ অনুভব করেন। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এর কারণ হচ্ছে- কলায় ট্রিপটোপান নামক এক ধরণের প্রোটিন থাকে। এই ট্রিপটোপান (Tryptophan) শরীরে রুপান্তরিত হয়ে সেরোটনিনে (Serotonin) এ পরিনত হয়। এই সেরোটনিন (Serotonin) বিষন্নতা দূর করতে সাহায্য করে।

4. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনেঃ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে কলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কলায় প্রচুর পরিমান পটাসিয়াম রয়েছে (যা লবন হিসেবে অল্প পরিমান) যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সবচেয়ে ভাল কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আমেরিকায় USFDA কলা উৎপাদনকারী ফার্মগুলোকে কলার পুষ্টিগুন সম্পকীর্ত তথ্য যেমনঃ- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানোর গুনাবলি উল্লেখ করার দাবি জানিয়েছেন।

5. ব্রেইন পাওয়ার বৃদ্ধিতেঃ ইংল্যান্ডের একটি স্কুলের বাচ্চাদের পরীক্ষার পূর্বে তাদের সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও বিকেলের নাস্তায় দু’টি কলা দিয়ে একটি গবেষনা করা হয়েছে। গবেষনার তথ্যমতে বাচ্চাদের ব্রেইন পাওয়ার বৃদ্ধিতে কলার অতুলনীয় ভূমিকা রয়েছে। গবেষনার তথ্যমতে, পটাসিয়াম সমৃদ্ধ ফল কলা খাবার পর বাচ্চাদের পড়াশোনার দক্ষতা বেড়ে যায়, মনোযোগ বেড়ে যায় এবং শেখার জন্য বাচ্চারা উদগ্রীব থাকে। সেজন্য কলাকে Brain Fuel বলা হয়।

6. গ্যাস্ট্রিক জনিত বুকের ব্যথাঃ যাদের গ্যাস্টিকের ব্যথা রয়েছে তাদের জন্য কলা একটি উপকারী ফল। গ্যাস্ট্রিকের বুকের ব্যথার জন্য কলা প্রাকৃতিক এন্টাসিড হিসেবে কাজ করে। সূতরাং কোন ব্যক্তি যদি গ্যাস্ট্রিকজনিত বুকের ব্যথায় আক্রান্ত হন তবে কলা খেলে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব হবে।

7. কোষ্টকাঠিন্যঃ কলা আশ সমৃদ্ধ একটি খাবার যা পরিপাক তন্ত্রের হজম প্রক্রিয়া ও মলের স্বাভাবিক গতি বিধি ঠিক রাখে। যে সমস্ত মানুষের কোষ্টকাঠিন্য থাকে তাদের জন্য কলা খুব উপকারী। সূতরাং কোষ্টকাঠিন্য হলে ল্যাক্সেটিভ ওষুধের পরিবর্তে কলা খেয়ে ও কোষ্টকাঠিন্য থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়।

8. আলসারঃ যেহেতু পাকা কলা খুব নরম ও মসৃন আশযুক্ত সূতরাং আলসার চিকিৎসায় ইহা অধিক কার্যকরী। তীব্র পেপটিক আলসার এর চিকিৎসায় কলার কার্যকারিতা গবেষনায় প্রমানিত। অতিরিক্ত এসিডিটি ও আলসার এর চিকিৎসায় কলা অতিরিক্ত পাকস্থলির এসিড নিস্ক্রিয় করে দেয় এবং আলসার এর ক্ষত নিরাময়ে আলসার এর উপর প্রলেপ বা আবরন তৈরী করে ফলে আলসারের ক্ষত ভাল হয়ে যায় এবং আলসার জনিত জ্বালা পোড়া কমে যায়।

9. শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনঃ কলা যেহেতু অনেক ঠান্ডা সূতরাং শরীরের অধিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে কলার ভূমিকা বৈজ্ঞানিক গবেষনায় প্রমাণিত। গর্ভবতী মহিলারা বাচ্চা প্রসবকালীন সময়ে শারীরিক ও মানসিক তাপমাত্রা, অস্থিরতা দূর করতে কলা খেলে কার্যকরী ফলাফল পাবেন। থাইল্যান্ডে গর্ভবর্তী মহিলাদের প্রসবকালীন সময়ে কলা খাওয়ানো হয় যাতে বাচ্চা স্বাভাবিক তাপমাত্রায় প্রসব হয়। কারণ প্রসবকালীন মহিলাদের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং অস্থিরতা তৈরী হয়।

10. সিজোনাল এফেক্টিভ ডিসঅর্ডারঃ ঋৃতু পরিবর্তনের সময় আমাদের দেশে বেশীর ভাগ মানুষ সিজোনাল এফেক্টিভ ডিসঅর্ডার এ আক্রান্ত হয়। যেহেতু কলা মানসিক অবসাদের বিরুদ্ধে কাজ করে এমন একটি প্রোটিন যেমনঃ- ট্রিপটোপান (Tryptophan) রয়েছে সূতরাং ঋৃতু পরিবর্তনের সময়কালীন অসুখ নিয়ন্ত্রনে ও নিরাময়ে কলার উপকারীতা প্রমাণিত।

11. ধুমপানের অভ্যাস দূর করতেঃ চেইন স্পোকার বা দীর্ঘ দিন ধরে ধুমপান করছেন এখন ধুমপান ত্যাগ করতে চান তারা কলা খেলে উপকার পাবেন। কারণ কলায় ভিটামিন বি৬ ও বি১২ রয়েছে এবং পটাসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। সূতরাং হঠাৎ করে ধুমপান ত্যাগ করলে নিকোটিন পরিত্যাগের প্রভাবে শারীরিক যে প্রতিক্রিয়া তৈরী হবে সে অবস্থা থেকে কলা খেলে পরিত্রান পাওয়া যাবে।

12. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রনেঃ পটাসিয়াম হচ্ছে আমাদের শরীরের জন্য উপকারী অতি প্রয়োজনীয় একটি মিনারেল। কলা হচ্ছে একটি পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। কলা খেলে আমাদের শরীরে পটাসিয়ামের অভাব দূর হয়। পটাসিয়াম আমাদের শরীরে হার্ট বিট নিয়ন্ত্রনে কাজ করে অর্থাৎ স্বাভাবিক রাখে, মস্তিস্কে অক্সিজেনের সরবোরাহ নিশ্চিত করে মস্তিস্কের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখে এবং শরীরে পানির ভারসাম্য নিয়ন্ত্রনে কাজ করে। যখন কোন কারনে আমাদের মানসিক চাপ বা অস্থিরতা বেড়ে যায় তখন আমাদের শরীরের মেটাবলিক একটিভিটি অর্থাৎ বিপাকীয় কাজের গতি ও বেড়ে যায়। তখন আমাদের শরীরে রক্তে পটাসিয়ামের পরিমান কমতে থাকে। সূতরা প্রচন্ড মানসিক চাপ, অস্থিরতা ও দূশ্চিন্তায় আক্রান্ত হলে আপনি যদি দু’টি কলা খান তবে মূহুত্বের মধ্যে আপনার রক্তে পটাসিয়ামের পরিমান স্বাভাবিক হবে, মানসিক অস্থিরতা, দূশ্চিন্তা, ক্লান্তি ইত্যাদি দূও হবে। সেজন্য যে কোন নাস্তায় কলা হচ্ছে পটাসিয়াম সমৃদ্ধ সবচেয়ে উন্নত খাবার।

13. হার্টের স্ট্রোক নিয়ন্ত্রনেঃ The New England Journal of Medicine এ প্রকাশিত এক গবেষনার তথ্য মতে, যদি প্রতিদিন কমপক্ষে দু’টি করে কলা খাওয়া যায় তবে হার্ট স্ট্রোকে মৃত্যুর ঝুঁকি ৪০% পর্যন্ত কমানো সম্ভব। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল এর তথ্যমতে, হার্ট স্ট্রোক নিয়ন্ত্রনে কলা হতে পারে প্রধান খাদ্যের একটি।

14. দূর্বলতা বা অবস্বাদগ্রস্ততা দূর করতেঃ খুব দ্রুত দূর্বলতা ও অবস্বাদগ্রস্ততা থেকে কাটিয়ে উঠতে কলার উপকারী ভূমিকা রয়েছে। শারীরিক দূর্বলতা মনে হলে আপনি দু’টি কলা খান অথবা কলা দিয়ে তৈরী করা এক গ্লাস শরবত খান, দেখবেন মূহুত্বের মধ্যে আপনি দূর্বলতা কাটিয়ে সবল হয়ে উঠছেন।

রোগ নিরাময়ে কলার মধ্যে বিস্ময়কর ক্ষমতা রয়েছে। আমরা যদি দু’টি প্রাকৃতিক ফল যেমন- একটি কলা ও একটি আপেলের পুস্টিগুন নিয়ে তুলনা করি তবে দেখা যায়- একটি আপেলের চেয়ে একটি কলায় চারগুন বেশী প্রোটিন, দুইগুন বেশী কার্বোহাইড্রেট, তিনগুন বেশী ফসফরাস, পাঁচগুন বেশী ভিটামিন এ ও আয়রন, দুইগুন বেশী অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেল আছে। প্রাকৃতিক খাবার ফলমুল ইত্যাদির মধ্যে সবচেয়ে বেশী পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে কলা এবং পৃথিবীব্যাপী ইহা সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সূতরাং পরিশেষে বলা যায়- একটি কলা আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য একজন চিকিৎসকের সমান উপকারী। তাই নিয়মিত কলা খান সুস্থ থাকুন।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×