

৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম বা শেষবার লীগের হিটলিস্টে থাকা না।
আমাদের একটা ভুল হয়েছে, আমরা ৫ তারিখের পর হাতে অস্ত্র তুলে নেই নাই। আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বেসামরিক সরকারকে বিশ্বাস করেছিলাম। ওসমান হাদীর রক্তের মাধ্যমে এটাই প্রতিষ্ঠিত হলো যে আমাদের বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে সেনাবাহিনী ও বেসামরিক সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
৫৭ জন সেনা অফিসারকে খু/ন করে ফেলার পর যারা কিছু করতে পারে নাই, এই ৩০ জনকে মেরে ফেলার পরেও তারা কিছু করতে পারবে না। দেশের পলিটিক্যাল ও সিকিউরিটি এস্ট্যাবলিশমেন্টের প্রধান সমস্যা, লো টেস্টোস্টেরন লেভেল। পুরুষত্ব নাই, জ্ঞানবুদ্ধিও নাই। লো টেস্টোস্টেরন পুরুষেরা নির্বোধ প্রকৃতির হয়।
যাই হোক, আল্লাহ যদি আমাদের রক্তকে কবুল করে নেন, আমাদের আফসোস থাকবে না। দুইটা বাকী কাজ আছে আমার জীবনে, সানজাক ই উসমানের বাকি দুই সিক্যুয়েল শেষ করা, আর একটা অসম্ভব সুন্দর সীরাতে মুস্তাফা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হৃদয়গ্রাহী ভাষায় বাংলাভাষী পাঠকের জন্য রেখে যাওয়া। এই কাজগুলো শেষ করতে ১৫ বছর সময়ের দরকার। আল্লাহ চাইলে সময় দেবেন অথবা দেবেন না।
কিন্তু আমরা লড়াই বন্ধ করবো না। এই লড়াই চলবে ইনশা আল্লাহ। আমাদের চলে যাওয়ার পর আপনাদের জীবন আরো কঠিন হবে, কুকুরের জীবনযাপন করতে হতে পারে। তাই সময় থাকতে জেগে ওঠেন।
আমাদের মধ্যে আর কেউ আক্রান্ত হবার আগেই ছাত্র-জনতা ঘরে বসে নিজের মৃত্যুর অপেক্ষা না করে যার যার জুলাই এক্টিভিজম গ্রুপ রিস্টার্ট করবেন এবং চুড়ান্ত, ক্ষমাহীন, বিপ্লবের কাজ শুরু করেন। এই বিপ্লব প্রয়োজনে সশস্ত্র হবে।
স্টেট যদি জনগনের পক্ষে শত্রু দমন না করতে পারে, রক্ত ঝরাবার অধিকার জনতা নিজের হাতে নিয়ে নেবে ইনশা আল্লাহ।
আল্লাহু আকবার!!
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ!!
Muhammad Sajal
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


