somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

৩ টি চুটকি

০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


হাসি না আসলে আমার কিছু করার নাই কারন সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো মানুষ হাসানো। তাছাড়া আজকাল তো লাফিং ক্লাবের সদস্যরাও মন খুলে হাসেনা। তারা কিত্রিম হাসি হাসে। অল্পতে ই যারা হাসে তাদের অনেক রোগ হয়না তাই আসুন সুস্থ্য থাকার জন্য হাসি...:D

চুটকি নং (১) ঃ সুপার কঞ্জুস

এক ছিলো সুপার কঞ্জুস (হাড়কিপটে) । দিন দিন সুপার কঞ্জুস টাকা পয়সার মালিক হতে শুরু করছে। তাই তার বন্ধু বান্ধবের লেবেলটা ও পরিবর্তন হয়ে সব টাকা ওয়ালা বন্ধু জুটছে। সুপার কঞ্জুস দেখলো তার সকল বন্ধুরা প্রায়ই চাইনিজ (ফুড) খায়। তাই সেও চিন্তা করলো স্ট্যাটাস বজায় রাখার জন্য তাকেও একদিন চাইনিজ খেতে হয় যে চিন্তা সেই কাজ আগামীকাল সকালে ব্রেকফাস্ট সে চাইনিজ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিল। সকালে চাইনিজ খাবে তাই রাতে কিছু খেলোনা। পরদিন সকাল বেলা ৫০টাকা নিয়ে সুপার কঞ্জুস চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এ গেলো। ওয়েটার যখন খাবর মেন্যু এনে দিলো তখন তার চোখ বড় হয়/:) গেলো। ৫০ টাকায় তো একবাটু স্যুপ ছাড়া কিছুই হয়না। সে চিন্তা করলো এসেই যখন পড়েছি একবাটি স্যুপ খেয়ে ই যাই। ওয়েটার কে না হয় আর একদিন এসে বকশিস ডাবল দিয়ে যাবো। যেই ভাবা সেই কাজ অর্ডার করা হলো স্যুপের। নিয়মানুযায়ী প্রস্তুত হতে লাগলো স্যুপ কিন্তু সুপার কঞ্জুস তো রাতে কিছু খায়নি তার আর ক্ষুদা সয়না। ঠিক সে সময় দেখলো পাশের টেবিলে এক ভদ্র লোক তার স্যুপের বাটি সামনে রেখে টেবিলে মাথা রেখে ঘুমাইতেছে। সুপার কঞ্জুস চিন্তা করলো আমি আপাতত ওই লোকের বাটি খেয়ে নেই তারপর আমার টা তৈরি হলে ঐ টেবিলে রেখে দিবো। যা ভাবা সেই কাজ শুরু করলো পাশের ভ্দ্রলোকের স্যুপের বাটি এনে খাওয়া। কিন্তু কেমন যেন টক টক, ভাতের মাড়ের মত লাগলো। তারপর সে খাইতে শুরু করলো মনে মনে ভাবলো কখনও তো স্যুপ খাইনি এরকমই বোধহয় স্যুপের স্বাধ। কিন্তু লাস্ট চামচ যখন ওঠালো দেখলো ওটার ভিতর একটা তেলাপোকা X(( । ওমনি সুপার কঞ্জুস ঐ বাটির ভিতর ওয়াক থু.... করে বমি করে দিলো। আবার বাটি আগের মত ভরে গেলো। এবার সুপার কঞ্জুস ঐ ভদ্র লোককে ডেকে সব ঘটনা খুলে বল্ল। ভদ্রলো দুঃখিত ভাব করে বল্ল ভাই এই একই ঘটনা একটু আগে আমিও ঘটাইয়া ওই বটি ভরে রাখছি :P;);):D:D

চুটকি নং (২)ঃ চাঁপাবাজ

একছিলো চাঁপাবাজ তার গ্রেট ছিলো ১২। আর পাশের গ্রামে ছিলো এক চাঁপাবাজ তার গ্রেট ছিলো ১৩। একদিন সকালবেলা ১২ চাঁপাবাজ গেলো ১৩ চাঁপাবাজ এর বাড়িতে। ১২ চাঁপাবাজ গিয়ে বল্লো দোস্ত বাড়ি আছো নাকি? তখন ১৩ চাঁপাবাজ এর ছোট্ট্ মেয়ে পিংকি এসে বল্লো আংকেল আব্বু তো বাসায় নাই। তো এতো সকাল বেলা কি জন্য এসেছিলেন? তখন ১২ চাঁপাবাজ বল্লো না থাক তুমি ছোট মানুষ তোমাকে বলে লাভ নাই। তখন পিংকি বল্লো আমার কাছে বলেন আব্বু বাসায় আসলে আমি আব্বুর কাছে বলবো। ১২ চাঁপাবাজ বল্লো এসেছিলাম তোমাদের পুকুর পাড়ের তালগাছটা কিনবো বলে সকাল বেলা মেছওয়াক করার জন্য কিছু পাইতেছি না তো তাই। পিংকি তখন বল্লো ওটা তো বিক্রি করা যাবেনা আংকেল। ১২ চাঁপাবাজ জি্জ্ঞাসা করলো কেন বিক্রি করা যাবেনা? তখন পিংকি বল্লো ওটা দিয়ে আমার আব্বু নাস্তার পরে দাঁত খিলাল করবে।

১৩ চাঁপাবাজ যখন বাড়িতে আসলো তখন তার মেয়ে পিংকি তাকে বল্লো যে আব্বু ১২ চাঁপাবাজ আংকেল আসছিলো তাল গাছটা কেনার জন্য ওনি নাকি ওটা দিয়ে সকালবেলা মেছওয়াক করব। ১৩ চাঁপাবাজ বল্লো তা তুমি কিছু বলোনি? পিংকি বল্লো আমি ছোট মানুষ আমি কি বলবো? ১৩ চাঁপাবাজ তো রাগেতে ফায়ার হয়ে গেলো মনে মনে ভাবলো আমি হইলাম ১৩ চাঁপাবাজ আর আমার মেয়ে হয়ে ১টা চাঁপা মারতে পারলোনা এই মেয়েতো আমার ইজ্জত সব খোয়াইছে। ও কে আর বাচায় রেখে কোন লাভ নাই এক্ষনই ও নদীতে ফেলে দেবো এই বলে মেয়ে কে ঘাড়ে করে নিয়ে নদীর কিনারায় নিয়ে গেলো। একমাত্র মেয়ে ফেলে দেবার আগে আর একবার জিজ্ঞাসা করা দরকার তাই সে আবার ও জিজ্ঞাসা করলো সত্যি করে বলো তো মা তুমি কিছু বলেছো কি না? তখন পিংকি বল্লো যে আমি বলেছি ওটা বিক্রি করা যাবে না ওটা দিয়ে আমার আব্বু নাস্তার পর দাঁত খিলাল করবে। ১৩ চাঁপাবাজ তখন হাপ ছেড়ে বল্লো এতোক্ষন কেন এই কথ বলিস নি এক্ষনই তো আমি তোকে নদীতে ফেলে দিতাম...
পিংকি তখন বল্লো আব্বু অনেক দিন তোমার ঘাড়ে ওঠে নদীর কিনারায় আসি না তো তাই..........:D

চুটকি নং (৩) ঃ রিসিপশান

গ্রাম থেকে একটি কুকুর ট্রেনে করে ঢাকায় আসছে। ঢাকায় আবার তার দুইটি বন্ধু কুকুর থাকে। বন্ধু কুকুরদুটি গ্রামের কুকুর দুটিকে কমলাপুর স্টেশনে রিসিপ করতে গেলো। যখন গ্রামের কুকুর টি ট্রেন থেকে নামলো তখন শহুরে কুকুর দুটি তাদের স্বভাবসুলব লেজ নেড়ে অভ্যর্থনা জানালো। কিন্তু গ্রামের কুকুরটি খেয়াল করলো তার বন্ধু কুকুর দুটি ডানে-বায়ে লেজ না নেড়ে উপরে-নিচে লেজ নাড়ছে। কারন জিজ্ঞাসা করায় শহুরে কুকুর দুটি বল্লো দোস্ত গ্রামে তো বহুত জায়গা ডানে বাড়ে লেজ নাড়ানো যায় কিন্তু ঢাকার শহুরে তো জায়গা কম তাই .......B-)

কমন পড়লে আমার কোন দোষ নাই।


সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৪
২৪টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

মন যদি চায়, তবে হাতটি ধরো
অজানার পথে আজ হারিয়ে যাব
কতদিন চলে গেছে তুমি আসো নি
হয়ত-বা ভুলে ছিলে, ভালোবাসো নি
কীভাবে এমন করে থাকতে পারো
বলো আমাকে
আমাকে বলো

চলো আজ ফিরে যাই কিশোর বেলায়
আড়িয়াল... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকরি বয়সসীমা ৩৫ বৃদ্ধি কেনো নয়?

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪২



চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি এটা ছাত্র ছাত্রীদের/ চাকরি প্রার্থীদের অধিকার তবুও দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ভোটের সময় ঠিকই এই ছাত্র ছাত্রীদের থেকে ভোটের অধিকার নিয়ে সরকার গঠন করে। ছাত্র ছাত্রীদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×