somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওপেন অফিস

২৭ শে আগস্ট, ২০০৭ দুপুর ১২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা যারা উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করি তাঁরা এতদিনে নিশ্চয়ই মাইক্রোসফট অফিস ২০০৭ এর সাথে পরিচিত হয়ে গেছেন। আমার অপারেটিং সিস্টেমে মাইক্রোসফট ২০০৭ অফিস নেই। কারণটা হচ্ছে এর অসাধারণ সব ফিচারের জন্য হার্ডডিস্কে আমাকে অসাধারণ পরিমাণ মেমরি স্পেস বরাদ্দ রাখতে হয়, প্রায় ৫৫০ মেগাবাইট। আর চমত্কার সব গ্রাফিক্স এবং এ্যানিমেশন দেখার জন্য ৫১২ মেগাবাইটের চমত্কার একটা র‌্যাম লাগে। আমার পিসিতে র‌্যাম মাত্র ২৫৬ মেগাবাইট। বিল্ট ইন গ্রাফিক্স কার্ডে ইফেক্টগুলো ভালই আসে কিন্তু আপনি যদি সাবলীল গতি চান তো এর মিনিমাম রিকোয়ারমেন্ট আপনাকে পূরণ করতে হবে। কিন্তু সবার পক্ষে তো আর সেটা সম্ভব না। তো উপায়! উপায় একটা আছে। আপনি কি কখনো ওপেন অফিস অর্গানাইজেশনের নাম শুনেছেন? এটাও মাইক্রোসফট অফিস এর মত একটা এডিটর কিন্তু মাইক্রোসফট এর চেয়ে অনেক শক্তিশালী।

এতদিন ওপেন অফিস এর ক্ষেত্রে অপারেটিং সিস্টেম ছিল একটি বড় সমস্যা। কারন এটি লিনাক্সের নিজস্ব সফটওয়্যার। কিন্তু এই সমস্যা সমাধান করতে এগিয়ে এসেছেন লিনাক্স ডেভোলাপারগণ। তাঁরা আমাদের উপহার দিয়েছেন ওপেন অফিস অর্গানাইজেশন এর উইন্ডোজ ভার্সন। উপহার বলছি এইজন্য যে, চমত্কার এই সফটওয়্যারটি আপনি ইন্টারনেট থেকে বিনামূল্যে ফুল ভার্সন ডাওনলোড করতে পারবেন। শুধু সফটওয়্যারটি মাত্র ৯৬ মেগাবাইট। এর সমস্ত সুবিধা পেতে এর সাথেই দেয়া হচ্ছে জাভা ভার্চুয়াল মেশিন। সেক্ষেত্রে এর সাইজ হবে মাত্র ১০২ মেগাবাইট।

ওপেন অফিস এ আছে অনন্য সব ফিচার। টেক্সট ডকুমেন্ট, স্প্রেডশিট, প্রেজেন্টেশন এবং ডাটাবেজ এর মত সাধারণ ফিচারগুলো তো থাকছেই সাথে থাকছে একটি ড্রইং এডিটর। এছাড়া এইচ.টি.এম. এল, এক্স.এম.এল. ও ফরমুলা নিয়ে কাজ করার ব্যাপক সুবিধা। এইচ. টি এম. এল এর জন্য প্লেইন টেক্সট দেয়া হয়েছে। সেভ করলে সরাসরি .html এক্সটেনশন এ চলে যাচ্ছে। এটি অবশ্য মাইক্রোসফট অফিসে ও আছে কিন্তু আপনি কাজ করতে গিয়ে আরও ছোটখাট বেশ কিছু সুবিধা পাবেন যা আপনার কাজ করার গতি বাড়াবে। ম্যাথমেটিকাল ফরমুলা নিয়ে কাজ করতে প্রায়ই ঝামেলায় পড়তে হয়। এক্ষেত্রে ওপেন অফিস এর ফরমুলা এডিটর একটি সমাধান হতে পারে।

এবার একটি বেশ বড় সর সুবিধার কথা বলি। ওপেন আফিস থেকে আপনি সরাসরি পি.ডি.এফ ফরমেটে ফাইল সেভ করতে পারবেন। আগে যে কাজটা করতে আপনার আলাদা একটি সফটওয়্যারের প্রয়োজন হতো এখানে তাঁর দরকার নেই।

এছাড়াও রয়েছে ওপেন অফিস এর নিজস্ব ফিচার। এগুলোর মধ্যে ফ্লোটিং ফ্রেম এবং গ্যালারি হচ্ছে আমার প্রিয় দুটি ফিচার। আপনার ডকুমেন্টকে একটু স্মার্ট ভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন ফ্লোটিং ফ্রেম এর সাহায্যে। এর সাহায্যে অনেক কম জায়গায় অনেক বেশি ইনফরমেশন দেয়া যায়। অবশ্য ফ্লোটিং ফ্রেম যাদের কাছে ঝামেলা মনে হয় তাদের কথাও ভুলেননি ডেভোরাপারগণ। আপনি চাইলে যে কোন জায়গায় জুড়ে দিতে পারবেন একটি চমত্কার নোট। খুব বেশি জটিল কোন টপিক বা টেকনিক্যাল শব্দকে সহজ করে বণর্না করতে আপনি এই নোট ব্যবহার করতে পারেন। আর গ্যালারি হচ্ছে ব্যাকগ্রাউন্ডকে সুন্দর করার অসাধারণ এক টুলস্। এর সাহায্যে আপনি চাইলে প্রতিটা প্যারাগ্রাফের জন্য আলাদা আলাদা ব্যাকগ্রাউন্ড সেট করতে পারবেন। এতে দেয়া আছে শ্রুতিমধুর বেশ কিছু সাউন্ড ক্লিপ, অল্প কিন্তু আকর্ষণীয় কিছু বুলেট, চমৎকার কিছু রুলার এবং দৃষ্টিনন্দন কিছু ব্যাকগ্রাউন্ড। এগুলো দিয়ে আপনি সহজেই তৈরী করতে পারবেন আপনার পছন্দের থিম।

আমরা অনেক সময় কাজ করতে করতে গান শুনি। একই সাথে একাধিক সফটওয়্যার চালালে যাদের পিসি ধীর্ হয়ে যায় তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে - ওপেন অফিসে একটা অসম্ভব হালকা মিডিয়া প্লেয়ার দেয়া আছে। তবে এর সমস্যা হচ্ছে এতে একেবারে একাধিক গান সিলেক্ট করা যায় না। তবে জরুরি কাজ করার সময় আমরা কে ই বা গান শুনি।

এবার দেখা যাক একে আমরা নিজের মত সাজাতে পারি কি না। অর্থাত কাস্টোমাইজেশন। জ্বী হ্যাঁ পারি। এর টুলস মেনুতে পাবেন অপসন ও কাস্টোমাইজ নামে দুটি সাব মেনু। এখান থেকে আপনি নিজের ইচ্ছে মত সাজিয়ে নিতে পারবেন মেনুবার থেকে আরম্ভ করে এক্সটেনশন, ল্যাঙ্গুয়েজ, ফন্ট, সিকিউরিটি, ভিউ, পাথ, কালার, জাভা, লোড, সেভ এবং এক্সপোর্ট – ইমপোর্ট অপসন। সবশেষে একটি কথা না বললেই নয়। ওপেন অফিস এর হেল্প ফাইল অন্য যেকোন এডিটরের হেল্প ফাইলের চেয়ে অন্ততঃ ১০ গুন বেশী শক্তিশালী এবং হেল্পফুল। আপনার অনেক সমস্যার সমাধান হেল্প ফাইলে ক্লিক করলেই পেয়ে যাবেন। তো এবার বসে যান ইন্টারনেটে এবং নামিয়ে নিন ওপেন অফিস। কেমন লাগল জানাবেন কিন্তু।

এক নজরে ওপেন অফিস অর্গানাইজেশন

নাম: ওপেন অফিস . অর্গ
ভার্সন: ২.২.০
টাইপ: ফ্রিওয়্যার
সাইজ: ৯৬.৮ মেগাবাইট
সর্বশেষ রিলিজ : ১৯ এপ্রিল
লিংক: Click This Link
http://www.openoffice.org
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×