somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফাঁক-সার-জমিন-বরবাদ

২১ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দিস ব্লগপোস্ট ইজ এবাউট ফাকিস্তান। জামতি ছাগুদের জন্যে অবশ্যপাঠ্য। যাহারা ছাগুদের ভালুবাসেন, তাহাদের জন্যেও অবশ্যপাঠ্য।

দেশটির ব্যুৎপত্তিগত ইতিহাসঃ
দেখতেই পারছেন, এদের নামটিই প্রমাণ করছে এদের তেমন কোন ইতিহাস নেই, বা থাকলেও সেটা জনসমক্ষে প্রকাশ করা যায় না। তাই আমরা ধরে নিতে পারি, ফাকিস্তানের ইতিহাস একটি উপ-রূপকথা থেকে জন্ম নিয়েছে। "ফাকিস্তান" শব্দটি মূলত "পাকি" ও "স্তান" শব্দমূল নিয়ে তৈরি। পাকি বলতে স্ল্যাং অর্থে মানব-বর্জ্য বুঝায় এবং স্তান মানে হলো জায়গা। আক্ষরিকভাবে, ফাকিস্তান মানে "মানব-বর্জ্যের পর্বত"। ফাকিস্তানের পতাকায় একটি ভিক্ষুকের বাটি দেখা যায় (বাঁকানো জিনিসটা) এবং একটি পয়সাও দেখা যায় (তারার মতো জিনিসটা)। মানতেই হবে, ফাকিস্তানের সবচেয়ে বড়ো রাজস্ব আসে বৈদেশিক সাহায্য থেকে।

জাপানিজরা যেমন ইলেকট্রনিক গ্যাজেট তৈরিতে সিদ্ধহস্ত, তেমনি ফাকিস্তানিরাও প্রজননে বিশেষ পারদর্শী। আরেকটি উল্লেখযোগ্য তথ্য হলোঃ ফাকিস্তান রাষ্ট্রটিকে তাদের সকল প্রদেশের মানুষ ঘৃণা করে। শুধুমাত্র পাঞ্জাব প্রদেশের লোকেরা ছাড়া। প্রতিটি প্রদেশের মানুষই নিজ নিজ স্বাধীনতা চায়। আরো জানার মত বিষয় হলো, ফাকিস্তানে মোট ৮টি প্রদেশ রয়েছে, যাদের সবাই ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় ধারণ করে। যেখানে ভারতে রয়েছে ২৮টি প্রদেশ যারা সকলেই ভারতের অংশ হতে পেরে খুশি। অবশ্য কাশ্মীর ভারতের অংশ হতে খুশি না কারণ তাদের প্রদেশে প্রচুর ফাকিস্তানি বাস করে। শুধুমাত্র তাদের কারণেই কাশ্মীরে এত গিয়ানজাম। তবে তারা আবার ফাকিস্তানকেও পছন্দ করে না, নিজস্ব আলাদা স্বাধীনতা চায়!


ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যঃ
ফাকিস্তানের আকার অনেকটা ডাইনোসরের মত। হয়তো এ কারণেই ওখানকার লোকজন ড্রাগনের মত আগুন ছুঁড়তে আর উড়তে পারে। ফাকিস্তানের চারপাশে তিনটা দেশ আছে, বিকট গণ্ডার (চীন), ভোম্বল ডায়মণ্ড (ভারত) আর ভুদাই-কাঁকড়া (আফগানিস্তান)। ওহ, আরেকজনের কথা ভুলে গেছি- বদখত বানর (ইরান)। এরা সবাই বড়োভুদাই (আমেরিকা)কে ঘৃণা করে (চীন বাদে)।


জন্ম-ইতিহাসঃ
ফাকিস্তানিরা বিশ্বাস করে যে তারা ঐতিহাসিকভাবে আরবের সাথে জড়িয়ে আছে। কিন্তু আরবরা সেটা মানতে চায় না। তারা ফাকিস্তানিদের হজ্জ্বের সময়ে দেখলেই বলে ওঠে, "আস্তাগফিরুল্লাহ্‌"! ফাকিস্তানের জন্ম হয়েছিলো যখন জিন্নাহের কাছে মনে হয়েছে যে ভারতের লুকজন বেশি নগ্ন হয়ে থাকে। গল্পটা অনেকটা এ'রকমঃ ১৯৪৬ সালে জিন্নাহ এবং গান্ধী দুইজন বন্ধু দেখা করেছিলেন। দু'জনেই বয়সের শেষপ্রান্তে, তারা ঠিক করলেন, চলো, ট্রেন ভ্রমণে যাই (তখনকার সেরা ভ্রমণবাহন--ব্রিটিশ ধলা মুরগীদের অবদান)। গান্ধীর পরনে ছিলো ইলাস্টিকের লুজ পাজামা আর উর্ধ্বাঙ্গ উদোম। ট্রেনে চড়ার পরে হুইশ করে একটা জোরে বাতাস আসলে কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেদিনই জিন্নাহ ঠিক করেন, নাহ্‌, ভারতে থাকলে তাকেও এই পোশাক পড়তে হবে। কখন কী হয় ঠিক নাই, এর চেয়ে ফাকিস্তান বানাই, সেইখানে যাই।


ভাষাঃ
অফিশিয়াল কম্পিউটার ল্যাংগুয়েজ 'সি' ছাড়া ফাকিস্তানের দুটা রাষ্ট্রভাষা আছে। ইংরেজি আর উর্দু। এই দুটা ভাষা মিশায়ে তারা একটা জগাখিচুড়ি ভাষা বানিয়েছে-- Euro-duh। ফাকিস্তানে আরো কিছু ভাষা চালু আছেঃ পাঞ্জাবি, সিন্ধি, ব্রাহুই, অ্যান্টি-অ্যামেরিকান, সালামি ইত্যাদি। এদের মধ্যে পাঞ্জাবি সবচেয়ে চালু, তবে এটা বললে মনে হয় তারা কাউকে গালি দিচ্ছে বা ঝগড়া করতেছে। এছাড়াও পাঞ্জাবিতে কথা বলার জন্য অন্তত তিন কেজি চিকেন কড়াই খাওয়া লাগে (না খাইলে হয় না)। এজন্যে অনেক পাঞ্জুর্দু (পাঞ্জাবি+উর্দু) ভাষায়ও কথা বলে!


অর্থনীতিঃ
ফাকিস্তানের মুদ্রা হলো রুপি। ভারতের মুদ্রার মতোই, খালি একটু বেশি 'শ্লীল'। ভারতের রুপির মত তাদের রুপির উপরে গান্ধীর ছবি নাই। আছে জিন্নাহ'র ছবি। ফাকিস্তানের মানুষ কম্পিউটার ও আইটি(ইন্টেলিজেন্ট টেরোরিজম) বিভাগে খুব উন্নতি করেছে। মুশাররফ যদিও টেরোরিজম পছন্দ করে না, এজন্যে তাকে বুশাররফ বলে ডাকা হয়ে থাকে। ফাকিস্তানের ইকোনোমি মূলত তিনটি শব্দ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়। ইকো মানে ইকো, নো মানে "না! না!" আর মি মানে 'শুধুই আমার'! পুরো অর্থটা বেশ লম্বাঃ "অর্থ? শুধুই আমার! তোমার তা পাওয়ার কোন যোগ্যতাই নাই"। ;)


সংস্কৃতিঃ
ফাকিস্তান বেশ শান্ত রাষ্ট্র। এজন্যে অবশ্য তাদের রাজনীতি (সামরিক) দায়ী। বেশি কথা বললে সমিস্যা আছে। সমিস্যাটা কি সেটা নিয়েও বেশি কথা বলা যায় না। এখানের ছেলেরা সবসময়ে লুজ সালোয়ার কামিজ পরে (প্রেশারের সময় সুবিধা হয়)। অন্যান্য প্রাইভেট সময়েও সুবিধা হয় কিন্তু সেগুলো এখন বলা যাবে না। ফাকিস্তানের মেয়েরাও লুজ জামা কাপড় পরে, যেমন 'বিকিনি বুরকা', এই পোশাক পরিহিতাদের "বিবি" বলে সম্বোধন করা হয় (বি.বি.)।



***
#লেখাটির কোন অংশ আপনার ভালো লেগে থাকলে ভ্রমণ করুন এই লিঙ্কে


সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৪৪
৬০টি মন্তব্য ৫৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×