উনি এক মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল। এই কাঠমৌল্লার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ করেছেন এক গৃহবধু। এর আগেও এই মৌল্লা ঝাড়ফুঁকের নামে একাধিক নারীকে ধর্ষণ করেছেন। কিন্তু লোক লজ্জার ভয়ে তারা ছিলেন নিরব। তবে এবারের ঘটনা প্রকাশ পেলে একে একে মুখ খুলতে শুরু করেন অনেকেই।
মাদ্রাসার দোতালার একটি কক্ষ ব্যবহার করে ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকী দীর্ঘদিন ধরে তাবিজ-কবজ আর ঝাড়ফুঁকের নামে নারীদের তার লালসার শিকার বানিয়ে আসছেন। গত ৪ জুলাই এক নারী ইউসুফ সিদ্দিকীর কাছে তাবিজের জন্য গেলে কৌশলে তার শ্বশুর-শাশুড়িকে আরেক কক্ষে পাঠিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালান তিনি। সেখান থেকে বের হয়ে ভুক্তভোগী নারী তার স্বজনদের জানান। ।ঘটনা সবাই জানার পর বিভিন্ন সময় যে সব নারী এমন আচরণের শিকার হয়ে লোকলজ্জায় বলেননি তারা এখন মুখ খুলতে শুরু করেন। এতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠে এলাকাবাসী। অবস্থা বেগতিক দেখে দোষ স্বীকার এবং ক্ষমা চেয়ে এই মাওলানা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।
কোনো ব্যক্তির অপকর্মের দায়ভার প্রতিষ্ঠান নেবে না বলে জানান মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল আমিন। এই ঘটনায় বুঝা যায় আমাদের সমাজ এখনো কত পিছিয়ে আছে। বর্তমান সময়ও গ্রামের নারী ঝাড়ফুঁকের উপর বিশ্বাস করে এইসব হায়েনাদের কাছে গিয়ে নিজের ইজ্জত হারাচ্ছে। এমন হাজারো ঘটনা মান সম্মানের ভয়ে প্রকাশ হচ্ছে না। একদিকে সাহেদ , আরিফ , ডাঃ সাবরিনার নগ্ন থাবা আরেক দিকে এইসব জানোয়ারের হিংস্র আচরণ কোথায় যাবে সাধারণ জনগণ ।
প্রকাশ হলেই কেউ সম্রাট,কেউ শাহেদ, কেউ পাপিয়া, আর ডাঃ সাবরীনা । কেউ মাওলানা সিরাজ ও কেউ মাওলানা ইউছুপ সিদ্দিক প্রকাশ না হলে সবাই জননেতা জনদরদী , পীর কিংবা আউলিয়া । এই মুখোশধারী তাবিজ বিক্রেতা মাদ্রাসা শিক্ষকের মরণই কাম্য।
(যখন দেখবে শিক্ষক আর চিকিৎসক অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছে,তখন ধরে নিও সমাজ অধঃপতনের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেছে।)
ইমাম গাজ্জালি ।
বিঃদ্রঃ ইউছুপ সিদ্দিক ফেনীর দাগনভূঁইয়ার ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯