গুরুমার কাছে টাকা চাওয়ার পর হুমকি আসে হাড্ডি ভেঙ্গে ফেলার। তখনি আবার নেত্রজলে ভেসে উঠে জন্ম দেওয়া মায়ের ছবি,ভেসে উঠে বাবা,ভাই ও বোনের ছবি। ইস,যদি তাদের জন্য কিছু টাকা দিতে পারতাম,তাদের একটু তরকারি দিয়ে ভাত কপালে জুটতো। বিধাতা জন্ম দিয়ে পৃথিবী দেখালো তাও আবার হিজড়া করে যাদের কোন ঘর নাই,বাড়ি নাই , সমাজ নাই এমনকি দেশও নাই। দুনিয়াটাকে বুঝতে পারার পর হতে লাঞ্ছনা-বঞ্চনার স্খলিতচরণে চলন বন্ধি হতে হয়। নরক হতে সুখ খোজতে এসে আরেক নরকে ডুব দিতে হয়। জীবন জীবিকার তাড়নায় হিজড়া যে পথে নামে কেউ বুঝতে চায় না।
হিজড়া যে আকাশ হতে শিলা বৃষ্টি নয় তাও কেউ বুঝতে চায় না অথচ হিজড়ার মাকেই গালি দেয় উচু গলায়। নকল গুরুমা হিজড়া দিয়ে হাত পা টিপে দিতে ডাকে একদিন একজনকে আর কৌশল করে যৌন লালসা চরিতার্থ করে অবলীলায়। তাও বন্ধি থাকে গুরুমার ঝকঝকে কামরায়। কিন্তু কত দিন, নকল গুরুমার সংসার সন্তানের জন্য টাকার পাহাড় করে সাধারণ হিজড়ার রথে কামাই দিয়ে। যখনি গুরুমার সাথে বোঝাপড়া করতে সাধারণ হিজড়া একজোট হয় তখনি নেয়ে আসে নির্যাতন, বাহির হতে আসে
সন্ত্রাসী বাহিনী হাতে পায়ে পড়ে শিকল থাকতে হয় ভুখা। প্রতিটি গুরুমার থাকে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী থাকে থানা পুলিশে হাত যার কারণে প্রতিবাদ করার পর রাস্তাঘাটে নজর রাখে সন্ত্রাসী । রাস্তাঘাটে প্রচন্ড মেরে আহত করে ফেলে যায় যাতে অন্যরা গুরুমার সাথে কথা বলারও সাহস না পায়।
শুধু একটু ভাবুন গুরুমা তার মনোনীত ডাক্তার সন্ত্রাসী,পুলিশ দিয়ে যে মানুষটাকে অস্রোপাচার করে হিজড়ার আবরণে গণিকা বানাচ্ছে তার স্থান সমাজে কোথায় হবে। তার যখন বয়স হবে কে তার ভার বহন করবে। এমনিতে প্রাকৃতিকগত হিজড়ার ঘর পরিবার সমাজ দেশ এমনকি কবরের জায়গা হয়তো আকাশময়। দোকানপাট গাড়ি কিংবা রেলগাড়ী কোন কিছুই এখন বাদ যায় না চাঁদা তোলা হতে। যাত্রীদের গালি দেওয়ার সাখে সাথে শরীরে হাত দেওয়া এবং কাপড় ধরে টান দেওয়া যেন অতি সহজ হয়ে দাড়িয়েছে। হিজড়াদের এসবের কোন প্রতিবাদ করা
যায় না। সাংবাদিক ছবি তুলতে গেলে করে লংকা কান্ড,খোলে ফেলে পরনের কাপড় বলতে থাকে আমাদের কাজ চাই। তেড়ে আসে মারতে তাই সবাই ভয় পায়। কিন্তু প্রশ্ন হল কেন তারা টাকা উঠাবে।
হিজড়া বলে চাকরী পায় না বলে,নাকি আছে টাকার নেশা রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন। অফিস সহকারি পদে চাকরীর জন্য ত্রিশজনকে বাচাই করে সমাজসেবা অধিদপ্তর। ছয়টা প্রতিষ্ঠানে দুইজন করে মোট বারজনকে চুড়ান্ত করাও হয়। শেষ পর্যন্ত কারো চাকরী হয়নি কারণ ডাক্তারি পরীক্ষায় কেউ হিজড়া বলে প্রমান হয়নি। যেমন মিরপুরের গুরুমা রাখী যে গোপাল গঞ্জের রাকিবুল হাসান। কিন্তু তাকে দেখে বুঝার কোন উপায় নাই তিনি হিজড়া নয়। প্রচন্ড প্রভাবশালী রাখী যে কিনা সাংবাদিককে একবার মেরেছে। এদিকে আবার সমাজ বিজ্ঞানীরা ডাক্তারী পরিক্ষার সাথে একমত নয়। আমিও সমাজ বিজ্ঞানীদের সাথে একমত কারণ রাখীরও আছে ছেলে বন্ধু (পারিক)। সমাজ বিজ্ঞানী ড. আমানল্লা ফেরদৌস বলেন কিছু হিজড়ার female organ আছে কিন্তু female organ কাজ করে না আবার কিছু হিজড়ার male organ আছে কিন্তু male organ কাজ করে না।
এখন যদি সমাজসেবা অধিদপ্তর চলনে নারী হিজড়াকে male organ আছে বলে পুরুষ সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে হবে না। আর এই কারণে রাখী চাকরীর জন্য ডাক্তারি পরীক্ষায় বাদ পড়ায় প্রচন্ড ক্ষুব্ধ।সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যমকেও বিশ্বাস করে না হিজড়ারা। এই ক্ষোভ জমে তারা এখন অন্যায়কারী একে আইনের ভাষায় কি বলা যায়। অনেক হিজড়া বিত্তশালী বাবার সন্তান। তবে শুধু হিজড়া হওয়ার কারণেই বঞ্চিত হন বাবার কোটি কোটি টাকা হতে।আর এই অপমান অবজ্ঞা,অবহেলা ও না পাওয়ার বেদনায় ওরা গঠে তোলে নিজের অবৈধ সাম্রাজ্য আর জড়িয়ে বড় অপরাধে। নাজমা হিজড়া আশির দশকে ঢাকাতে এমন সাম্রাজ্যের একক অধিপতি ছিল এখন সে বৃদ্ধ। তারই শিয্যরা এখন ঢাকাকে ভাগভটোয়ারা করে চাঁদা তোলে।
এক সময় এত ক্ষমতাশালী ছিল যে কোন হিজড়া মাথা তুলে কথা বলার সাহসও করতো না। তবে গুরুমা হিসাবে শিয্যদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় এই নাজমা হিজড়া। এলাকা নিয়ন্ত্রণ বা দখলে নিতে চলে টার্গেট হত্যাকাণ্ড,বিষ খাইয়ে হত্যা করে পিংকি হিজড়াকে আরেকজনকে করা হয় গুম। রাখী এত বেপরোয় যে পুরো মিরপুর দখলে নিতে মরিয়া সে।আর এসব হত্যাকারী ও অপরাধীদের পুলিশ খোজে পায় না পুলিশ এসব দেখতে চায় না।
Picture # Twitter
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২০