আমেরিকাতে একটা ছেলে আর
একটা
মেয়ে হাত ধরাধরি বা গলাগলি
করে
রাস্তা দিয়া হাইটা গেলে
ব্যাপারটা খুব
স্বাভাবিক হিসাবে নেয়া হয়; কিন্তু
দুইটা
ছেলে অথবা দুইটা মেয়ে পরস্পর হাত
ধরাধরি অথবা গলাগলি করে রাস্তায়
হাটলে লোকজন একটু টেরা চোখে
তাকায়। এই ব্যাপারটা জানতে পারি
ড.জাফর ইকবালের একটা লেখা
থেকে....অথচ বাংলাদেশে এখনও
একটা
ছেলে আর একটা মেয়ে রাস্তায়
হাত
ধরাধরি করে হাটলে অনেক
লোকজনই
টেরা চোখে তাকায় কিন্তু দুইটা
ছেলে
অথবা দুইটা মেয়ে হাত ধরাধরি করে
হাটাটা খুবই স্বাভাবিক....তার মানে
বাংলাদেশের সাথে আম্রিকার শুধু
পথেরই দূরত্ব না,প্রতিটি ব্যাপারেই
যোজন
যোজন লক্ষ গুন দূরত্ব.....জাফর ইকবাল
স্যারের লেখাটা মনে হয় প্রায়
একবছর
আগে একটা পত্রিকার সম্পাদকীয়তে
পড়ছিলাম,লেখাটা ছিল বাংলাদেশ
থেকে যারা আমেরিকায় পড়তে
যাবে
তাদের উদ্দেশ্যে উপদেশমূলক একটা
লেখা; উপদেশটা ছিল এরকম, যেন
বাংলাদেশের কোন ছাত্র-ছাত্রী
আম্রিকা পড়তে গিয়ে তাদের
সমলিঙ্গের সাথে রাস্তাঘাটে খুব
ক্লোজ হয়ে না ঘোরে;যেমনটা
আমরা বাংলাদেশে করি। তার
মানে বাংলাদেশে গেইজম
ব্যাপারে অধিকাংশেরই ধারনা নাই
বা এ ব্যাপারটাকে তারা খুবই
অস্বাভাবিকভাবে দেখে ...
লেখাটা পড়ার পর আমি প্রথমে
ব্যপারটা বুঝতে পারিনাই যে কেন
দুইটা
ছেলে বা মেয়ে পরস্পর হাত
ধরাধরি
করে হাটলে আমেরিকাতে
ব্যাপারটা
একটু টেরা চোখে দেখা হয়...চিন্তা
করেন,যে কাজটা তারা করে সে
কাজটা
আমরা চিন্তাও করতে পারি
না....সম্প্রতি
আমেরিকা এই একই লিঙ্গের হাত
ধরাধরি
বৈধ কইরা দিছে তার মানে আগে
ব্যাপারটা হইত গোপনে এখন হইবো
ওপেনে.....তো যখন গোপনে হইত
তখন হয়ত
এ দেশের অনেকে জানতই না যে
আমেরিকাতে এগুলা হয় বা কেউ
জানার
আগ্রহ দেখাত না...হঠাৎ ব্যাপারটা
শিরোনাম হওয়াতে অনেকেরই
দেখি
মাথা ব্যথা,পেট ব্যাথা শুরু হইয়া
গেছে...অনেকের মাথা ব্যাথা
আবার
আরেকজনেরটা দেইখা দেইখা.....
.যেমন,একটু আগে দেখলাম আমার এক
বন্ধু
রংধনু মার্কা একটা প্রোফাইল
পিকচার
দিছে;তো তার পিকচারে আরেকজন
কমেন্ট করছে, " দোস্ত,এই ছবি রিমূভ
কর,তুই
এই ছবি দিলি কী জন্য,ছি:"; এরকম
আরো
কিছু কমেন্ট দেখলাম যেখানে এই
ছবির
সারমর্ম বর্ননা করা আছে,তখন ঐ
পিকচার
আপলোডওয়ালা কমেন্ট করছে,"
আরে
আমিতো কিছুই জানতাম না এই
ব্যাপারে,সবাই দিছে তাই...",
দেখেন
অবস্থা!!...যাইহোক,কথা হইছে
আমেরিকার
ধর্মে,সংস্কৃতিতে কি এডিট করা
হইলো
কী বাদ দেয়া হইলো আর কী বৈধ
বা কী
অবৈধ ঘোষনা করা হইলো তা নিয়া
আমাদের মাথা সহ পুরা শরীর
ঘামাইলেও
ওগো কিছু আইবো-যাইবো না। আর
এতো
সহজে আম্রিকার সংস্কৃতি বা ধর্ম
আমাদের সংস্কৃতিকে গ্রাস করতে
পারবে না কারন আমাদের সংস্কৃতি
এতোই দুর্বল না....আর একটা কথা
হইলো,যে
ব্যাপারটা আমাদের সমাজ বা
সংস্কৃতি
থেকে অনেক দূরে সেই ব্যাপারটা
আমাদেরকে গ্রাস করতে এখনও
অনেক
অনেক সময় নিবে,যদি দ্রুত সময় নেয়
তবে
সেটা আমেরিকার দোষে নয়
আমাদের
দোষেই নিবে...তাই আগে নিজের
চরকায়
তেল দেন,নিজের ধর্ম সংস্কৃতি
ভালো
কইরা লালন করেন,আরেকজনেরটা
নিয়া
লাফালাফির দরকার নাই,লাফালাফি
কইরা
ক্লান্ত হওয়া ছাড়া আর কোন লাভ
হইবো
না মনে হয়!...বরং অতিরিক্ত
লাফালাফির মানে এটাই বোঝায়
যে আমরা ব্যাপারটাতে
আগ্রহী,সেটা গ্রহন করার জন্য
আগ্রহীও হতে পারে অথবা বর্জন
করার জন্য আগ্রহী হতে পারে...যে
ব্যাপারটা আমাদের সমাজ-সংস্কৃতি
থেকে নিযুত নিযুত কোটি গুন দূরে
সেটা পছন্দ বা অপছন্দ কোনটারই
কারন হতে পারে না!!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৪:২০