somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুভি রিভিউ- Thanks Maa (Hindy)

১৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অন্যদের মুভি রিভিউ দেখে মনে হল কাজটি আমারও করা উচিত। আজ আমি ভারতীয় মুভি থ্যাংকস মা (Thanks Maa) নিয়ে কিছু কথা বলব। এটা আমার দ্বিতীয় মুভি রিভিউ।
প্রথম রিভিউ ছিল যুগ্ধ শিশু

ইরফান খানের পরিচালিত

মুভিটি ২০০৯ সালে মুক্তি পেয়েছে। তারপরও কেন জানি মনে হয় মুভিটি অনেকেই দেখেনি। ১২০ মিনিটের ছবিটিতে মূল ভুমিয়ায় রয়েছে কিছু পথশিশু, যারা তাদের জন্ম পরিচয় জানে না। আইডিএম এ মুভিটি ৭.৬ রেটিং পেয়েছে।

আসুন মূল কাহিনীতে আসা যাক।

ছবিটির প্রথমেই কিছু বস্তির বাচ্চাদের জীবিকার তাগিদে চুরি করতে দেখা যায়। যারা ভিন্ন সময়েই নানা জায়গায় চুরি করে পরে তা নিজেদের মাঝে ভাগ করে নেয়। একসময় একটি ছেলে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ও তাকে বাচ্চাদের নার্সিং হোমে রাখা হয়। নার্সিং হোমের তত্বাবধায়ক ছেলেটির সাথে সেক্স করতে নানাভাবে চেষ্টা করে, ভয়ে ছেলেটি রাতের আধারে নার্সিং হোম ছেড়ে পালিয়ে আসে।

কিন্তু পালানোর সময় সে মূল ফটকের সামনে গাড়ি থেকে এক মহিলাকে একটি বাচ্চাকে রেখে যেতে দেখে। কিছু কুকুর বাচ্চাটিকে কামড় দিতে চাইলে সে বাচ্চাটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। ছবিটির মূল ভুমিকা শুরু এখানেই।

একজন বাচ্চা যে নিজেই অবহেলিত তার পক্ষে অপর একটি নবজাতকের যত্ন নেয়া যে কী কঠীন তা ছবিতে ফুটে উঠেছে। এতো কষ্টের পরও সে বাচ্চটিকর তার কাছ থেকে হাতছাড়া হতে দেয়নি। নবজাতকটিকে নিয়ে চার পথশিশুর যে ব্যস্ততা তা ছবিটি না দেখলে বুঝবেন না।
বাচ্চটির মাকে খুজে পেতে চলে তাদের নানা কৌশল। যার মাঝে ফুটে উঠেছে পুরুষদের অন্য নারীদের প্রতি আসক্ততা, নানা অসামাজিক দিক, পতিতালয়ের বাস্তব কিছু দিক। যেমন সমাজে সবাই ছেলে সন্তান চাইলেও পতিতালয়ে সম্পুর্ণ ভিন্ন। কেননা তাদের সমাজে কোন অবস্থান নেই আর পতিতালয়ে সবাই একটা সময় পর্যন্তই কাজ করে তারপর তাদের আর কেউ খোজও নেয় না। এসময় একটি মেয়েই তাদের অন্য দিতে পারে। মা হয়ে মেয়েকে অন্যের কাছে বেচার মতো কিছু কষ্টকর ও অসামাজিক দিক যেমন ছবিটিতে আছে, তেমনি সমাজের অসৎ চরিত্রের মানুষকেও দেখানো হয়েছে যারা নিজ স্ত্রীকে ঘরে রেখে এমন কাজে লিপ্ত হয়।

অনেক পথ চলার পর অবশেষে বাচ্চাটির মাকে খুজে পেলেও, মাটি বাচ্চাকে নিতে অস্বীকার করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে দেখা যায় সন্তানটির জনক মেয়েটির নিজ বাবা।

অবাক করার মতো হলেও ২০০৯ এ মুক্তি পাওয়া ছবিটির কাহিনি আজ ভারতে বর্তমান। কেন জানি ভারতে অস্বাভাবিহ হারে নিজ ঘরেই নারী নির্যাতন বেড়ে গেছে।

ছবিটির শেষে ভারতে নারী নির্যাতনের উপর নানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এমন একটি ছবির নাম Thaks Maa রাখার যুক্তিটা অনেক সুন্দর। কেননা আমাদের সকলেরই উচিত নিজ মাকে ধন্যবাদ জানানো। কারণ তিনি আমাদের পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন, তার পরিচয়ে বড় করেছেন, জীবনের প্রতি মুহুর্তে তার মমতার হাত মাথায় রেখেছেন। যদিও আমরা অনেক সময়ই মাকে ভুলে নানা মানুষকে নিয়ে আনন্দে মেতেছি, কিন্তু মা সবসময়ই তার সন্তানকে আগলে রেখেছেন।

যারা ছবিটি দেখেননি তাদের দেখার অনুরোধ রইল।

আসুন আরও একবার বিশ্বের সকল মমতাময়ী মাকে স্বরণ করি, তাদের প্রতিদান দেবার ক্ষমতা বিধাতা আমাদের দেননি। তবে সেবা করার কিছু সুযোগ দিয়েছেন। যাদের মা গত হয়েছেন, তাদের কিছু বলার নেই। আসুন আমরা পৃথিবীর সব মাকেই সন্মান করি, কারণ মা তো মা ই হয়, হোক না সে আপনার বা আমার।

সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:২৬
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×