somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দিনাজপুর হতে ঢাকা, আমার জীবনের দীর্ঘতম রেলভ্রমন

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশের এক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষরত আছি, বর্ষ পরীক্ষা শেষে গিয়েছিলাম দেশের মানুষগুলোকে একটু দেখে আসতে। বেসরকারী মানেই নিয়ম-রীতি এক বড় পাহাড়, তাই এখানে ভর্তি হবার পর গত তিন বছরের কখনোই কোন ঈদেও এতো দীর্ঘ সময় বাসায় কাটাতে পারেনি। তাই বাসায় থাকার সময়টুকুতে যেটুকু সময় ছিলাম কিছুটা ঝামেলাহীন থাকার চেষ্টা করেছি, এমনকি ফেসবুক, সামু কেও এড়িয়ে গেছি, আর ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম এ দেশের মহান-রাজনৈতিক নেতা ও আমাদের দুই মহান নেত্রীকে।

আমি বরাবরই বাসা যাবার ব্যপারে রেলপথটাকেই বেছে চলেছি, কিন্তু এবারতো বাধ্যই ছিলাম। আর আসার সময় দেখেছি মানব জীবনের ভয়াভ কিছু কষ্ট ও নির্মমতা। ঈদের ছুটি শেষে আসার সময় রেলের ভীড় সামলানোর অভিঞ্জতা আমার ভালোই, কিন্তু ঈদের দ্বিগুন নয়, তারও বেশী মানুষ এবার কষ্ট করেছে। যারা রেলেগাড়ীতে ছিল তাদের জীবন ধাক্কায় আর চাপে শেষ, আর যারা প্লাটফর্মে রেলের অপেক্ষায় ছিলেন তাদের রেল ছুটে যাবার এক ভয়। ঈদের সময় চেষ্টা করা হয় মহিলাদের একটু জায়গা করে দেবার কিন্তু এবার মহিলারাও কোন সুবিধার মুখ দেখেননি, বরং সবার মাঝে কে মহি আর কে পুরুষ তা ভাবার সুযোগ কারোই হয়নি। আমি নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি তারাও সেই ভাবনাটা ভেবে উঠতে পারেনি।
গত ১০ তারিখের ঢাকাগামী একতার ধরতে কিছুটা আগেই এসেছিলাম। সময় ছিল রাত ৯:৫০ আর তা আসল কখন জানেন, পরদিন বিকাল ৪টায়। আবার ১০-১২ঘন্টার ভ্রমন হয়ে দাড়াল ৩২ঘন্টারও বেশী।

কথা তা নয়, সবাই জানে আমাদের রেল কতোটা দেরী করে। কিন্তু সেই মানুষের চাপ, আর দিনাজপুরের মতো জায়গায় একটি রাত প্লাটফর্মে কাটানো তাও এমন শীতে ভাবতে পারেন?
এতো কষ্ট কিশের জন্য? আজ দুই দল গনতন্ত্র গনতন্ত্র বলে আমাদের পিশে চলেছে, আর আমরা?
যারা বের হন না, বা এখন দীর্ঘ ভ্রমণ করছে না তারা তো ভাবছেন, যাক না দিন তো কেটেই যাচ্ছে। ভাই এভাবে আর কতোদিন? আমি আপনাদের অন্যদের পাশে গিয়ে তাদের দলভারী করতে বলব না। কিন্তু আসুন না নিজের জন্য, আমাদের পরিবারের জন্য নিজের দাবী আদায় করে নেই।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×