
আজ ১৪ই জুন, ২০২৫। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বিশ্বজুড়ে "বিশ্ব রক্তদাতা দিবস" পালন হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ধরণের দিবসগুলো পালন হয় খুবই অগোচরে, অনেকটা লোকচক্ষুর আড়ালে। প্রতিনিয়তই রক্তের অভাবে মানুষ ছুটছে নানা জায়গায়, নানাদিকে। অথচ সামান্য সচেতনতা, সঠিক দিকনির্দেশনা হলেই রক্তদাতা জোগাড়ের কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে।
আমি ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত একজন নিয়মিত রক্তদাতা ও রক্তদান গ্রুপ্রে স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে কাজ করেছি। সেই সময়ে রক্তদান নিয়ে হাজারো অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। গল্পগুলো অন্যদিন সুযোগ করে বলার চেষ্টা করব, আজ রক্তদান নিয়ে অল্পকিছু সামাজিক দিক-নির্দেশনা দিয়ে শেষ করে ফেলব।
রক্তদানে সক্ষম কারা
১৮ বছর থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত বয়স্ক মানুষদের রক্তদানে সক্ষম বলে গণ্য করা হয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে রক্তদাতার ওজন ৫০ কেজির বেশি হওয়াকে আদর্শ বলে মানা হয়। রক্তদানের সময় উচ্চরক্তচাপ, জ্বর, গলাব্যাথা, ফ্লু থাকা যাবে না। সেই সাথে ১ মাসের মাঝে এন্টিবায়োটিক মেডিসিন গ্রহণকারীদেরও রক্তদানে নিরুৎসাহ করা হয়।
রক্তদানের মধ্য বিরতি বা সময়
মানব দেহে থাকা রক্ত সাধারণত পানি হয়ে প্রসাবের সাথে বের হয়ে যায়। রক্তদানের পর, সেই শুন্য জায়গা পুরণের স্বাভাবিক সময় ১০০ দিন। সেই হিসাব থেকে প্রতি ৪ মাসে একবার রক্তদান করা যায়, কিন্তু কোনভাবেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ৯০ দিনের নিচে রক্তদান করা উচিত নয়।
অনেক সময় কিছু বিশেষ রোগের নিরাময়ক হিসাবে রক্ত কণিকার দরকার হয়। যেমন ক্যান্সারে লাল/সাদা কণিকা, ডেঙ্গু রোগে প্লাটিলেট। আমাদের দেশে সাধারণ এই কণিকাগুলো ৪ ব্যাগ রক্ত থেকে সংগ্রহ করে ফলে কণিকা সংগ্রহের পর রক্ত তার মূল ধর্ম হারিয়ে ফেলে তথা নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় নেগেটিভ রক্তের বেলায় ৪ ব্যাগ রক্তদাতা খুজে পাওয়াও অনেক কষ্টের হয়ে দাঁড়ায়। এই ক্ষেত্রে আশা জাগানিয়া মাধ্যম হলো সরাসরি রক্ত কণিকা সংগ্রহ করা। তবে এই মাধ্যমে বেশকিছু অতিরিক্ত বিষয়ে নজর রাখতে হয়
ক) রক্তদাতার দুই হাতের রক্তনালী স্ট্রং ও মোটা হতে হবে।
খ) সরাসরি কণিকা দানের সময় ৩ ঘন্টার মতো লাগে, তাই মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকাও জরুরি।
পরিশেষে সবারই প্রতি ছোট্ট একটি অনুরোধ
নিজের ও পরিবারের সবারই রক্তের গ্রুপ জেনে নিন। প্রতিটি রক্তের গ্রুপের বিপরীতে ৪-৫ জন রক্তদাতার সাথে যোগাযোগ রাখুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




