somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

~ ~ শুরু অথবা শেষের গল্প ~ ~

২৬ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কেতাদুরস্ত ভঙ্গিতে দাড়িয়ে আছে ধ্রুব । রোজকার মতই মতিঝিল শাপলা চত্ত্বরকে ঘিড়ে কর্মব্যাস্ত ঢাকার চিত্রটা দেখছে সে । আর দাড়িয়ে থেকে গ্যালন গ্যালন ধোয়া গিলছে । কাধে ঝুলানো ব্যাগটার উপর এক হাত আলতো করে ছুঁয়ে দাড়িয়ে আছে সে । ব্যাগের ভিতরে কাপড় ছাড়াও তার অতি প্রিয় ল্যাপটপটা আছে । ঢাকা শহরে জান মালের কোন ভরষা নেই একদম । কখন যে টান দিয়ে ব্যাগ নিয়ে যাবে টের পাওয়াটাই মুশকিল । দরদর করে ঘামছে ধ্রুব । মাসটা ডিসেম্বর । পরন্ত বিকেলে গৌধূলির আলোয় পাক খেয়ে উপরে উঠছে ধোয়া বালু আর কুয়াশা । মানুষের ভীড় আর গাড়ির ধোয়ার শীতটা তেমন গায়ে লাগছে না , তবে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়বে শীতের প্রকোপ । ধ্রুব ঘেমে নেয়ে উঠেছে , টেনসন হচ্ছে তার । ছোট থেকেই টেনসন করলে অতিরিক্ত ঘামে ধ্রুব , সেই সাথে তলপেটে চাপও অনুভব করে । ইতিমধ্যেই তলপেটের চাপ অনুভব করা শুরু করেছে সে । সায়দাবাদ যেতে হবে তাকে , কিন্তু কোন বাস নেই । অথচ প্রতিদিন এখানে বাসের হেল্পারদের ডাকাডাকিতে কানের পর্দা নড়ে উঠে । বিরক্ত লাগছে ধ্রুবর , গায়ে চড়ানো হালকা জ্যাকেটটার দিকে বিরক্তি নিয়ে তাকালো সে । একবার ভাবলো খুলে ফেলবে নাকি , কিন্তু পরক্ষনেই বাতিল করে দিল চিন্তাটা । ঘাড় ব্যাথা করছে উচু করে রাখতে রাখতে । বাম হাতে পড়ে থাকা ঘড়িটাতে চোখ বুলালো ধ্রুব , এখনই সাড়ে পাঁচটা বেজে গেছে , চিটাগাং এর বাস ছাড়বে সাড়ে ছয়টায় । রেলক্রসিং এ নেমে আরো কমপক্ষে দশমিনিট হাটার পর ইউনিক এর কাউন্টার । কয়েকটা বাস চোখের সামনে দিয়ে চলে গেলো , কোনটাই সায়দাবাদ যাবে না । বিরক্তির মাত্রা আরো একটু বাড়লো ধ্রুবর । মাগরিবের আযান শোনা গেলো , ধ্রুব তখনো বিরক্তি নিয়ে দাড়িয়ে আছে । মুড়ির টিন বাসটা যখন এলো , ধ্রুব দৌড় দিল , ভিতরে মোটেই যায়গা নেই , তবুও এটাই তার শেষ ভরষা । বহুকষ্টে বাসে উঠে , ভিতরের জনসমুদ্র ঠেলতে হলো তাকে । মানিব্যাগটা অনেক কষ্টে বের করে সামনের পকেটে পুড়লো ধ্রুব । ব্যাগটা তখন পায়ের কাছে একটা সীটের পাশে রেখেছে সে । বাসের হেল্পার ঠ্যালা গুতো দিয়ে এগিয়ে আসলো তার দিকে , পান খাওয়া মুখের এক পাশে রস গড়াচ্ছে ব্যাটার , লাল দাত বের করে বলল "মামা ভাড়াটা দেন ।" ভাড়া জিজ্ঞেস করতেই হেল্পার দুটাকা বেশি বাড়িয়ে চাইলো । কিছু বলতে গিয়েও বলল না ধ্রুব । শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাড়াটা মিটিয়ে দিলো সে । কম্পিউটার ইন্জিনিয়ারদের আজকাল তেমন একটা চাহিদা নেই । যে চাকরিটা ধ্রুব করে তাতে যে খুব ভাল আয় হয় তা নয় তবে একরকম চলে যায় ভালই । বাস রেলক্রসিং আসতেই নেমে পড়লো ধ্রুব । জনপদের দিকে হাটতে থাকলো সে , ইতিমধ্যেই সোয়া ছয়টা বেজে গেছে । সাড়ে ছয়টার একটু আগে কাউন্টারে এসে বুঝলো যে বাস এখনো আসেনি । ধ্রুবর তলপেটে চাপ এখন তুঙ্গে । কিন্তু ওয়াশরুমে যাওয়ার লাইনটা কম নয় । আবার বিরক্ত হলো ধ্রুব । আপনমনেই ভাবলো "ধুর শালা সব জায়গায়ই খালি লাইন ।"

ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে ধ্রুব শুনলো যে বাস একটু আগেই রওনা হয়েছে । ধ্রুব ব্যাগটা উঠিয়ে নিয়েই দৌড় দিলো , কিছু দূর যেতেই বাসটাকে ধরে ফেলল সে । হাচড়ে পাচড়ে উঠে এলো ভিতরে । এটেন্ডেন্ট তাকে সিট দেখিয়ে দিল । ডি থ্রি তার সিট নম্বর । সন্ধ্যা নেমে এসেছে ততক্ষনে । বাসের ভিতরে সবকটা লাইট নিভানো , অন্ধকার হয়ে আছে ভিতরটা । ধ্রুব ক্যারিয়ারে ব্যাগ ঢুকিয়ে বসলো সিটে । পাশের সিটে একজন মেয়ে বসা । সারা শরীর চাদরে ঢাকা , মুখের উপরে প্রায় আধহাত চাদর টানা , চেহারা বোঝা গেলো না । ধ্রুব সিট একটু পিছিয়ে নিলো । তারপর পকেট থেকে সেলফোনটা বের করে হেলান দিলো সিটে । বাংলাদেশের খেলার খবরটা জানা হয়নি , ইন্টারনেটে জেনে নিতে হবে । কিন্তু তাকে হতাশ করলো স্কোর । ভাল অবস্থানে নেই দল । বিরক্ত হয়ে ফোনটা পকেটে রেখে দিল সে । বাস তখন যাত্রাবাড়ি পাড় হচ্ছে । ভাঙ্গা রাস্তায় চলতে গিয়ে ভীষন দুলছে বাস , সেই সাথে ধুলোর মেঘ উড়াচ্ছে চারপাশে । জানালা দিয়ে ধুলো আসছে ভিতরে । ধ্রুব দেখলো মেয়েটা এখনো ঘুমিয়ে আছে । অবাক হয়ে ভাবলো এই ভয়াবহ অবস্থায় কিভাবে ঘুমাচ্ছে মেয়েটা ! চিন্তাটা দূর করে দিয়ে জানালা বন্ধ করতে চাইলো সে , তার হাতের ঘষায় মেয়েটার মাথার উপর থেকে চাদর একটু সরে গেলো । ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো ধ্রুব মেয়েটাকে দেখে । ভালভাবে খেয়াল করলো আবার । না ভুল হয়নি তার । মেয়েটা স্পর্শই । এই মায়াবি মুখটা তার অতি পরিচিত । দ্রুত বাসের ভিতরটা দেখে নিলো ধ্রুব । কোন সিট খালি নেই আর । এক হাতে নিজের কপাল ঘষলো সে । এতোদিন পর তাকে দেখে স্পর্শর প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে ভাবতে লাগলো । এক পর্যায়ে হাল ছেড়ে নিয়ে হেলান দিলো সিটে ।
চশমাটা ঠিক করে নিলো ধ্রুব । কয়েকবার মিট মিট করলো চোখের পাতা । তারপর বাসের ছাদের দিকে তাকিয়ে থাকলো । পাঁচ বছর আগে ফেলে আসা দিনগুলো যেন লাফ দিয়ে উঠে এলো চোখের সামনে । ধানমন্ডি লেকের পাড়ে বসে থাকা , কিংবা বৃষ্টির দিনে হাতে হাত ধরে হেটে চলা দিনগুলোর কথা মনে পড়লো ধ্রুবর । আরেকবার তাকালো সে স্পর্শের দিকে । নাহ মেয়েটা একদম আগের মতই আছে । জড়োসড়ো হয়ে ঘুমাচ্ছে স্পর্শ , মাথাটা বাম দিকে কাত হয়ে আছে তার । কি অদ্ভুত নিষ্পাপ লাগছে মেয়েটাকে ! ধ্রুবর খুব ইচ্ছে হলো স্পর্শর গালে হাত বুলিয়ে আদর করে দিতে । কিন্তু চিন্তাটা বাতিল করে দিল সে পরক্ষনেই । আবার স্মৃতিচারনে ব্যাস্ত হয়ে গেলো সে । চোখ বন্ধ করলো সে । চোখের সামনে যেন দেখতে পেলো ফেলে আসা দিনগুলো । স্পর্শ হাসছে তার সামনে , তার বাম সাড়ির উপরে দিকে একটা দাঁত সামান্য উচু , হয়তো সেজন্যই তার হাসিটা খুব সুন্দর । দৃশ্যপট পাল্টে গেলো , স্পর্শকে বড় বড় চোখ মেলে তাকিয়ে থাকতে দেখলো ধ্রুব । চশমার আড়াল থেকে একজোড়া অদ্ভুত সুন্দর চোখের অস্তিত্ব টের পেলো সে । কাজল রাঙ্গানো চোখজোড়ায় অদ্ভুত মায়াময় দৃষ্টি । সে চোখজোড়ার গভীরতার মাঝে প্রতিবার হাড়িয়ে যেত ধ্রুব । দৃশ্যপট পাল্টে গেলো আবার । স্পর্শ ধ্রুবর কাধে মাথা রেখে ধ্রুবর হাত জড়িয়ে ধরে আছে , আর ধ্রুব অবাক বিস্ময়ে চুপ করে আছে । তারপর দেখলো স্পর্শ তার বাহু আকড়ে ধরে হাটছে , পিচ ঢালা পথে তাদের অদৃশ্য পদচিন্হ ফুটে উঠেছে । বাস ছুটে চলেছে অসম দ্রুতিতে । নিকষ কালো আধাঁরের মাঝে হটাত্‍ই দু একটি মিটিমিটি আলো জনপদের অস্তিত্ব ঘোষনা করছে । বাস মেঘনা ব্রীজের উপর উঠেছে । ব্রীজের জয়েন্টের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় মৃদু একটা ধাতব শব্দ হচ্ছে । ব্রীজের কয়েক ফুট দূরে দূরে উজ্জ্বল হলুদ আলো বিতরন করছে সোডিয়াম লাইটগুলো । হলুদ আলো বাসের ভিতরে অদ্ভুত আলো আধাঁরীর সৃষ্টি করেছে । স্পর্শ একটু নড়ে উঠলো । কাধ থেকে চাদরটা খসে পরলো নিচে । মেয়েটার চুলগুলো হু হু করে উড়ছে বাতাসে । ধ্রুব তখন নদী দেখছে আপনমনে । নদীর বুকে দাড়িয়ে থাকা স্টিমারগুলো থেকে বালু খালাস করা হচ্ছে । স্টিমারগুলোতে মিটমিট করে জ্বলছে কয়েকটা বাল্ব । বাল্বের অস্পষ্ট আলোয় নদীর পানি অদ্ভুত সুন্দর লাগছে ধ্রুবর । স্পর্শ আবার নড়ে উঠলো । ওর শরীরটা একটু বাকা হয়ে গেলো বাম দিকে । ধ্রুব বুঝলো মেয়েটার ঠান্ডা লাগছে । কিন্তু চাদরটা স্পর্শর শরীরের নিচে চাপা পড়েছে । সোডিয়াম লাইটের আলোয় স্পর্শর মায়াবী মুখটা আরো বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে । ধ্রুবর খুব ইচ্ছে হলো নিজের গায়ের জ্যাকেটটা খুলে স্পর্শের গায়ে জড়িয়ে দিতে । ভাবাবেগ সামলে নিল সে । একটু দাড়িয়ে ডান দিকে উবু হয়ে জানালাটা বন্ধ করে দিল সে । জানালা বন্ধ করার সময় ধ্রুবর হাত স্পর্শের কপালে সামান্য একটু ছুঁয়ে গেলো । চমকে উঠলো সে , স্পর্শের কপাল আগুনের মতো গরম । সন্দেহ হলো ওর , খুব সাবধানে ডান হাতের উল্টো করে স্পর্শের কপালে রাখলো সে । সাথে সাথে বুঝলো স্পর্শের প্রচন্ড জ্বর । মেয়েটার অস্বাভাবিক ঘুমের কারনটাও স্পষ্ট হয়ে গেলো তার কাছে । হটাত্‍ করেই খুব কষ্ট হলো ধ্রুবর । মনে পরে গেলো অতীতের কিছু কথা । স্পর্শ একবার জ্বর নিয়েই চলে এসেছিল ধ্রুবর সাথে দেখা করার জন্য । সেদিন সারাক্ষন ধ্রুবর কাধে মাথা রেখে চুপ করে বসে ছিল সে । ধ্রুব একহাতে শক্ত করে ধরে রেখেছিল স্পর্শকে । ধ্রুবর মনে হলো নিয়তি আসলেই অনেক নিষ্ঠুর । কতো কাছে আজকে স্পর্শ অথচ তাকে ছুঁতে পারছে না সে আপন করে । ভয়াবহ কষ্ট হচ্ছে ধ্রুবর । রিমলেস চশমার আড়ালে তার চোখজোড়া চিকচিক করে উঠলো অস্পষ্ট আলোয় । চশমাটা খুলে শার্টের পকেটে গুজে রাখলো ধ্রুব , তারপর বাম হাত চোখের উপর রেখে ঘুমাতে চেষ্টা করলো সে ।

(২)

কতক্ষন ঘুমিয়েছে বলতে পারবে না ধ্রুব । হটাত্‍ করেই ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো ওর । কেন ভাঙ্গলো বুঝতে পারলো না সে । চোখ মিট মিট করে বুঝতে চেষ্টা করলো এখন কোথায় আছে সে । মনে পরলো সে বাসে আছে , আর বাসটা এখন থেমে আছে । পকেট থেকে চশমা বের করে পরলো সেটা , তারপর সামনে তাকিয়ে বুঝলো বাসে কোন যাত্রী নেই । একটা ফিলিং স্টেশনে দাড়িয়ে আছে বাস । কুমিল্লা বিশ্বরোডে যাত্রাবিরতি দেওয়া হয়েছে । হটাত্‍ স্পর্শের কথা মনে পরতেই ঝট করে পাশে ফিরেই জমে গেলো ধ্রুব । এক জোড়া অদ্ভুত মায়াবী চোখ তাকিয়ে আছে তার দিকে । চিক চিক করছে চোখজোড়া , ডান চোখের কোন থেকে একটা সরু জলধারা গাল বেয়ে নেমেছে , স্পর্শ কাঁদছে । দৃশ্যটা সহ্য করার ক্ষমতা নেই ধ্রুবর , তাই মুখ ফিরিয়ে সামনে তাকালো সে । "কেমন আছো ?" , প্রশ্নটা শুনে একটা ঢোক গিলল ধ্রুব । আবারো তাকাতে বাধ্য হলো সে স্পর্শর দিকে । স্পর্শের ঠোটের কোনে এক টুকরো হাসি লেগে আছে । এতো পরিচিত এই হাসি কতোদিন দেখেনি ধ্রুব ! "এই তো । তুমি ?" আস্তে করে জবাব দিলো ধ্রুব । "তুমি যেমন রেখেছো , চলে যাচ্ছে তো দিন ।" ঠোটের হাসিটা না মুছেই জবাব দিল স্পর্শ । হটাত্‍ তীব্র একটা অপরাধবোধ গ্রাস করলো ধ্রুবকে । স্পর্শকে সেই তো দূরে সরিয়ে দিয়েছিল । ধ্রুবর ঠোটের কোন বিকৃত হয়ে গেলো । কেউ কোন কথা বলছে না , অস্পষ্ট অন্ধকারের মাঝে নিস্তব্ধতা অসহ্য লাগলো ধ্রুবর কাছে । ব্যাকুল চোখে স্পর্শের দিকে তাকালো ধ্রুব । কিন্তু মেয়েটা জানালার দিকে তাকিয়ে আছে , জানালার কাচ বেয়ে একটা সরু পানির রেখা ধীরে ধীরে নিচে নেমে যাচ্ছে , নিরবে কাঁদছে স্পর্শ । প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে ধ্রুবর , অসহ্য লাগছে সবকিছু । যাত্রাবিরতী শেষে বাসে ফিরে আসছে যাত্রীরা । একটু পর বাস আবার চলতে শুরু করলো । রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে , ঢাকা চট্ট্রগ্রাম মহাসড়ক প্রসস্থ করা হচ্ছে , একটু পর পরই রাস্তা ছেড়ে মাটির তৈরি রাস্তায় নেমে যাচ্ছে বাস । স্পর্শ তখনো তাকিয়ে আছে বাহিরে । ধ্রুব অপরাধীর মতো তাকিয়ে আছে ওর দিকে । হটাত্‍ খুব আস্তে ডাকলো সে "স্পর্শ" । মেয়েটা তখনো তাকিয়ে আছে বাহিরে । ধ্রুব আরেকবার ডাক দিতে যাবে , ধীরে ধীরে ঘাড় ফিরালো স্পর্শ । চোখজোড়া লাল হয়ে আছে তার , ফুলে আছে ভীষনভাবে । মেয়েটার মায়াবী চোখদুটোয় নিরব প্রশ্ন আর অভিমান মিশে আছে । ধ্রুব আরেকবার ভাষা হারিয়ে ফেলল । অপরাধীর মতো মুখ নিচু করে রইলো সে । স্পর্শ তাকিয়ে আছে ধ্রুবর দিকে । আশ্চর্য হয়ে খেয়াল করলো যে ছেলেটাকে এখনো তার আগের মতোই ভাল লাগে । ধ্রুবর চুলগুলো বেশ বড় , জানালার ফাঁক গলে আসা বাতাসে উড়ছে । স্পর্শের মনে পরে , ধ্রুবর এই চুলগুলো অপার বিস্ময়ে ছুঁয়ে দেখতো সে । চুলগুলো যখন উদ্দাম হাওয়ার উড়তো মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতো স্পর্শ । হটাত্‍ করেই আজকে ইচ্ছাটা আবার জেগে উঠছে । আবার কেঁদে ফেলল স্পর্শ । টপটপ করে পানি পড়ছে দু সিটের মাঝখানে হাতলটাতে । বাস তখন ফেনীর উপর দিয়ে ছুটে চলেছে । নিজেকে সংবরন করলো স্পর্শ । হ্যান্ডব্যাগ থেকে একটা টিস্যু বের করে চোখ মুছলো । ধ্রুব তখনো চুপচাপ নিজের নিচের দিকে তাকিয়ে আছে । "কি করছো এখন ?" স্পর্শের প্রশ্নে ধ্রুব সামান্য কেঁপে উঠলো । তারপর আস্তে করে জবাব দিলো "এই তো একটা আইটি ফার্ম আছে ।" । কিছুক্ষন কোন কথা হলো না । তারপর আবার স্পর্শই জিজ্ঞেস করলো "বিয়ে করেছো ?" । ঠোট দুটো শক্ত করে একটার সাথে আরেকটা চেপে আছে ধ্রুব । প্রশ্নটার জবাবে একবার ঢোক গিলে মাথা নাড়লো এদিক ওদিক । আরো কিছুক্ষন নিরবতা । ধ্রুব এবার মুখ তুলে তাকালো স্পর্শের দিকে । তারপর অস্ফুট কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো "আর তুমি ?" । জবাবে সামান্য একটু হাসলো স্পর্শ । তারপর কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল "একবার স্বপ্ন দেখে সেটা ভেঙ্গে যেতে দেখেছি । সেই ভাঙ্গা স্বপ্ন যে ক্ষত সৃষ্টি করেছে তার ব্যাথাই এখনো সামলে উঠতে পারিনি । আরেকবার স্বপ্ন দেখতে চাই না । স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে যে অনেক কষ্ট হয় ।"
জবাবটা কাঙ্খিতই ছিল , কিন্তু ধ্রুবর মনে হলো তার বুকে কেউ যেন ধারালো একটা ছুড়ি গেঁথে দিয়েছে । নিজের অজান্তেই মুখ বিকৃত হয়ে গেল তার , অসহ্য একটা কষ্ট হটাত্‍ তাকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে । বাস তখন মিরসরাই পাড় হচ্ছে । নিঃশব্দে কাঁদছে স্পর্শ । তার গাল বেয়ে ফোটা ফোটা পানি এসে পড়ছে ডান হাতের উপর , বাহিরে প্রচন্ড শীতল বাতাসে তপ্ত অশ্রুকণা নিমিশেই বরফ শীতল হয়ে যাচ্ছে । চশমাটা ঝাপসা হয়ে এলো ধ্রুবর । তার মনে পরলো আগে যখন স্পর্শর সাথে ঝগড়া হতো , অথবা মেয়েটা অভিমান করতো , স্পর্শ কেঁদে কেঁদে অস্থির হয়ে যেতো । আর ধ্রুব রাগ করে স্পর্শের সাথে কথা বলতো না । বেশিক্ষন হতো না স্পর্শ মেসেজ পাঠিয়ে ধ্রুবকে বলতো "আমি আর কাঁদতে পারবো না । ক্লান্ত হয়ে গেছি ।" যতই রাগ করে থাকুক , মেসেজটা পাওয়ার পর ধ্রুব হেসে ফেলতো । ধ্রুব খেয়াল করতো মেয়েটা কাঁদলে তার একদমই ভাল লাগে না । মাঝে মাঝে স্পর্শ জিজ্ঞেস করতো "আচ্ছা তুমি কি আমার জন্য কাঁদো ?" ধ্রুব হেসে উড়িয়ে দিত প্রশ্নটা । স্পর্শ হয়তো কষ্ট পেতো তার কথায় । যদিও কষ্ট পাওয়ার কিছুই নেই হয়তো । কিন্তু হয়তো ভালবাসার সম্পর্কের মাঝে এই ছোট ছোট বাচ্চাসুলভ প্রশ্ন অথবা উত্তরগুলোওর অনেক বলিস্ঠ ভূমিকা থাকে । কিন্তু স্পর্শকে বলা কথাটা ঠিক না । ধ্রুব কাঁদে , খুব নিরবে । যেমনটা এখন কাঁদছে , তবে তার কান্না চশমার কাঁচ ঝাপসা হয়ে যাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে । মাঝে মাঝে ধ্রুবর খুব ইচ্ছা হয় স্পর্শের মতো কাঁদতে । মন খুলে হাসলে অথবা মন খুলে কাঁদলে মন হালকা হয়ে যায় । চশমাটা খুলে মুছে নিলো ধ্রুব । স্পর্শ তখনও কাঁদছে । মেয়েটা মাঝে মাঝে কাশছে । ধ্রুবর খুব ইচ্ছা হলো স্পর্শের গাল মুছে দিতে । কোন কিছু একেবারে না পাওয়ার কষ্টের চেয়ে , কোন কিছুর অনেক কাছে থেকে না পাওয়ার কষ্টটা যে কতোটা ভয়াবহ হতে পারে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে ধ্রুব । ভাটিয়ারিতে এসে পড়েছে বাস । রাস্তার দু পাশে জাহাজের বিভিন্ন অংশ , লাইফবোট অথবা বাতিল মালামাল বিক্রয়ের দোকান দেখা যাচ্ছে । স্পর্শ জানালা দিয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছে । ধ্রুব একটু পর নেমে যাবে বাস থেকে । স্পর্শকে একটু ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে হলো খুব । কিন্তু পারলো না সে । অবাক হয়ে ভাবলো ভাগ্যের লিখন আসলেই অদ্ভুত । প্রিয় মানুষটাকে দেখতে পাওয়ার আনন্দের চেয়ে তাকে ছেড়ে যাওয়ার বেদনার মাত্রা অনেক বেশি । কি দরকার ছিল এভাবে আবার দেখা হয়ে যাওয়ার ? ধ্রুবর প্রশ্নের উত্তর কেউ দিবে না কখনো । ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সীট থেকে উঠতে গেলো সে । হটাত্‍ ঠান্ডা একটা হাত তার ডান হাত আলতো করে ধরলো । চমকে ফিরে তাকালো ধ্রুব । অবাক হয়ে দেখলো স্পর্শ তার হাত ধরে রেখেছে । সে তাকাতেই স্পর্শ ব্যাকুল কন্ঠে বলল "ধ্রুব । একবার তোমাকে হারিয়ে ফেলেছি । আরেকবার হারাতে চাই না প্লিজ ।" স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে রইলো ধ্রুব । হটাত্‍ করেই মাথার ভিতরটা ফাঁকা লাগছে তার । বাস্তবে ফিরে আসলো সে হেল্পারের চিত্‍কারে "সিটি গেইট , সিটি গেইট , যারা নামবেন সামনে আসেন ।" হটাত্‍ তীব্র একটা অপরাধবোধ গ্রাস করলো ধ্রুবকে । যখন প্রয়োজন ছিল সে স্পর্শের পাশে দাড়াতে পারেনি । কাপুরুষের মতো স্পর্শকে একা রেখে সড়ে গিয়েছিল । মেয়েটাকে সে কথা দিয়েছিল কখনই তাকে একা ফেলে যাবে না । কথা রাখতে পারেনি ধ্রুব । পরিবারের চাপে , ভবিষ্যত্‍ এর কথা ভেবে সড়ে গিয়েছিল সে । একবার সে ধোকা দিয়েছে মেয়েটাকে , আজকে আবার মেয়েটাকে ধোকা দেওয়ার কোন মানে হয় না । নিজেকে শক্ত করলো ধ্রুব । বাম হাত দিয়ে আস্তে করে স্পর্শর হাতটা সড়িয়ে দিল সে । তারপর সীট ছেড়ে এগিয়ে গেলো সামনে । স্তব্ধ হয়ে গেলো স্পর্শ । বিস্ময়ের মাত্রাটা এতোটাই বেশি যে কাঁদতে ভুলে গেছে মেয়েটা । ধ্রুব প্রথম যখন চলে গিয়েছিল স্পর্শের জীবনটা বিক্ষিপ্ত হয়ে যায় । কিন্তু সব কিছু গুছিয়ে এনেছিল সে । কিন্তু আজকে সেই ধ্রুবই আবার তাকে বিক্ষিপ্ত করে দিল । স্পর্শ চুপচাপ বসে আছে , এখনো তার ঠিকমতো বিশ্বাস হচ্ছে না ব্যাপারটা । সামনে থেকে হেল্পারের চিত্‍কার ভেসে এলো "বাস অলংকার পর্যন্ত যাবে । আপনারা আস্তে আস্তে সামনে আসেন ।" বাস থামছে । কিন্তু স্পর্শ বসে আছে তখনো । একে একে সব যাত্রী নেমে গেলো । হেল্পারের ডাকে বাস্তবে ফিরে এলো স্পর্শ । বাস থেকে নামলো সে । সাথে সাথে শীতল বাতাস ঝাপটা মারলো তার মুখে । গায়ের চাদরটা ভালমতো জড়িয়ে নিল স্পর্শ । জ্বর এখন আর নেই । শুধু মৃদু মাথা ব্যাথা করছে স্পর্শর । বাসটা তার সামনে দিয়ে হুশ করে বের হয়ে গেলো রাস্তার অপর প্রান্তে । আকাশের চাঁদটা গোল । চাঁদের ম্লান আলো ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশে । এখন রাত সাড়ে এগারোটা । নির্জন হয়ে আছে চারপাশ । চাঁদের আলোয় ঘন কুয়াশাদের উড়ে যাওয়া দেখছে স্পর্শ । জোত্‍স্না রাত ধ্রুবর খুব পছন্দ ছিল । প্রায়ই সে বলতো স্পর্শের সাথে এমন একটা জোছনা রাতে পাশাপাশি হাটবে । জোছনার ঠান্ডা আলোয় সিক্ত হবে দুজনে । ধ্রুব এতো সুন্দর করে কথাগুলো বলতো যে স্পর্শ সত্যি সত্যিই কথাগুলো বিশ্বাস করতো । আজকে বিস্তৃত রাজপথ শূন্য , জোছনার আলোয় সিক্ত পৃথিবী অথচ ধ্রুব নেই । কথাগুলো মনে হতেই আবারও ডুকরে কেঁদে উঠলো স্পর্শ । হটাত্‍ই নিজেকে খুব একা লাগছে তার । হাত ব্যাগের মধ্যে মোবাইল ভাইব্রেট করছে । ফোন ধরতে ইচ্ছা করছে না স্পর্শর । আজকে সে কাঁদতে চায় , নিঃসঙ্গতাকে সঙ্গী করে একাকী হাটতে চায় স্পর্শ । হটাত্‍ কাধে আলতো হাতের ছোয়ায় চমকে উঠলো স্পর্শ । পিছনে ফিরতেই ধ্রুবর হাসি মাখা মুখটা দেখতে পেলো সে । হাসি মুখে ধ্রুব বললো "অশ্রুবর্ষন বেগাম । এতোবার ফোন দিলাম অথচ ধরলা না কেনো ? কাঁদতে কাঁদতে মোবাইলও ভাসায়ে ফেলছো নাকি ?" স্পর্শ আরেকবার ডুকরে কেঁদে উঠে জাপটে ধরলো ধ্রুবকে । স্পর্শের চোখের পানিতে ধ্রুবর শার্টের বুকের কাছটা ভিজে যাচ্ছে । ধ্রুব অবাক হয়ে দেখলো মেয়েটা কাঁদলে সবসময় খারাপ লাগে না তার । আরো অবাক হয়ে ভাবলো জীবনের কষ্টের গল্পটা কি এখানেই শেষ হয়ে গেলো ? নাকি সুখের গল্পটার শুরু হলো ? বেশি চিন্তা করতে পারলো না ধ্রুব , তার মুখের হাসিটা আরো একটু প্রসস্থ হলো । শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো সে স্পর্শকে । কুয়াশার আবরন যেন একটু হালকা হয়ে এলো , চাঁদের আলোটার উজ্জ্বলতা যেন আরো একটু বাড়লো । হয়তো নতুন একটা জীবনগল্প শুরু ইঙ্গিত সেটা ।

কিছু কথা ও উত্‍সর্গঃ

হ্যাপি এন্ডিং গল্পে লেখার মতো ভয়াবহ কঠিন কাজ মনে হয় দুনিয়াতে দ্বিতীয়তা নাই । কেমন যেন কাতুকুতু লাগে । মিরাক্কেল দেখে একটা ডায়লগ শিখেছিলাম "আজিব চিজ হ্য ইয়ে মাগরমাছ , জিতনা ভি খা লে ভুখা হি রেহতা হ্যায় ।" হ্যাপি এন্ডিং গল্পের ক্ষেত্রে ডায়লগটা এমন হতে পারে "আজিব চিজ হ্য ইয়ে হ্যাপি এন্ডিং কাহানি , জিতনা ভি লিখলে সিনেমা হি রেহতা হ্যায় ।" আমাকে অনায়াসে তেনজিং নোরগে অথবা নীল আমর্স্টং এর সাথে তুলনা করা যায় । আরে ভাই অসম্ভবকে সম্ভব কইরালাইছি ! বুঝা যাচ্ছে আমার সিনেমা লেখার হাত অতি ভাল । হে হে । ইয়ে মানে একটা রিকোয়েস্ট করুম । ভাই ও বোনেরা আমি লেখক না , এই মানে একটু লেখতে চেষ্টা করলাম আর কি । ইয়ে মানে গালিগালাজ মনে মনে করলে আমার ৩৬০ ওয়াট বাল্বের চেয়েও ফকফকা এলাচি ভেটকিটা ফিউজ হওয়া থেকে বেচে যেতো আর কি । হে হে . .

গল্পটা উত্‍সর্গ করবো "মেঘ মেঘা" আপাকে । আপা একবার আমাকে তার একটা
স্ট্যাটাসে ট্যাগ দিয়ে বলেছিলেন যে আমি নাকি "চির বিষন্ন ছেলে" । এতো মহান একটা পদবি পেয়ে তো আমার অবস্থা বেগতিক । এতোটাই উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম যে "মন খারাপের ফ্যাক্টরি" নামক একটা কাল্পনিক ফ্যাক্টরিই খুলে ফেললাম একদম । লেখালেখি আমাকে দিয়ে হবে না জানা কথা । তবুও মাঝে মাঝে এই ফ্যাক্টরিতে কিছু ট্র্যাজিডি তৈরি করার চেষ্টা করি । এই গল্পটাও ট্র্যাজিডিই ছিল । কিভাবে যেনো ট্যাকনিক্যাল মিসটেক হইয়া গেছে । আমি সুবিধাবাদী । তাই সব দায় মেঘা আপার পায়ে চাপায় দিলাম (ঘাড়ে চাপাই নাই কারন আপা বড় মানুষ হে হে । আমি আবার বড়দের স্নেহ করি !) ।
ধ্রুব ধ্রুবক আমার সব গল্পের নায়কের নাম । আমার সবসময়ই নায়িকার নাম নিয়ে কনফিউশন হয় । "মায়াবী স্পর্শ" নামে আমার ফ্রেন্ডলিস্টে একটা আইডি আছে । সেখান থেকেই নায়িকার নামটা নেওয়া । সুতরাং মেঘা আপার সাথে কিছু দায় তার উপরও চাপানো হলো ।
২৪টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×