জনাব মুহাম্মাদ মামুনুল হক Mamunul Haque দাবী করেছেন, সেই নারী উনার বিবাহিতা স্ত্রী। অথচ, পত্রিকা মারফত জানা গেল, সেই নারীর পিতা এবং মাতা জানাচ্ছেন, তারা এই বিবাহের কিছুই জানেন না। এই বিষয়ে ইসলামী শরীয়িতের অবস্থান কী? উনাদের বিবাহের সময়ে সেই নারীর অভিভাবক হিসেবে কে উপস্থিত ছিলেন?
ইসলামী শরীয়তের পরিষ্কার বিধান হচ্ছে, স্বাধীনা নারীর ক্ষেত্রে অভিভাবক অর্থাৎ পিতামাতা জীবিত থাকলে পিতা, তাকে ছাড়া যেই নারী বিবাহ করে, বা স্বউদ্যোগে যেই নারী বিবাহ করে, সেই বিবাহ বাতিল এবং সেই কর্ম যেনা হিসেবে ইসলামের দৃষ্টিতে গণ্য হবে। তবে সেই নারীকে দাসী হিসেবে বা গনিমতের মাল হিসেবে যদি মামুনুল হক গ্রহণ করেন, তাহলে ভিন্ন কথা। সেই ক্ষেত্রে আসলে বিবাহেরও দরকার নেই। মামুনুল এমনিতেই ছহবত করতে পারেন। আসুন, দুইটি সহিহ হাদিস পড়ে নিই,
গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ৯/ বিবাহ
হাদিস নম্বরঃ [1882]
পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
পরিচ্ছদঃ ৯/১৫. অভিভাবক ছাড়া বিবাহ হয় না।
৪/১৮৮২। আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মহিলা অপর কোন মহিলাকে বিবাহ দিবে না এবং কোন মহিলা নিজেকেও বিবাহ দিবে না। কেননা যে নারী স্বউদ্যোগে বিবাহ করে সে যেনাকারিণী।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
সুনানে ইবনে মাজাহ
৯/ বিবাহ
পরিচ্ছেদঃ ৯/১৫. অভিভাবক ছাড়া বিবাহ হয় না।
১/১৮৭৯। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে নারীকে তার অভিভাবক বিবাহ দেয়নি তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল। স্বামী তার সাথে সহবাস করলে তাতে সে মাহরের অধিকারী হবে। তাদের মধ্যে মতবিরোধ হলে সে ক্ষেত্রে যার অভিভাবক নাই, শাসক তার অভিভাবক।
তিরমিযী ১১০২, আবূ দাউদ ২০৮৩, আহমাদ ২৩৮৫১, ২৪৭৯৮, দারেমী ২১৮৪, ইরওয়াহ ১৮৪০, মিশকাত ১৩৩১, সহীহ আবী দাউদ ১৮১৭।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)
এই হাদিসগুলোতে বিষয়টি পরিষ্কার। আশাকরি মামুনুল হকরা সঠিকভাবে ইসলামকে জানবেন, বুঝবেন এবং উপলব্ধী করবেন। উনার অবগতির জন্য বিষয়টি জানিয়ে রাখলাম।
সংগ্রহকৃত
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:৩৯