গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরে যেতে পারেন ডি ডট ইউনূস
যে বাহনে চড়ে তিনি এতদূর এগুলেন, পেলন নোবেল শান্তি পুরষ্কার সেই বাহনটি থেকে নিজেই নেমে পড়বেন গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুই একদিনের মধ্যেই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ বিষয়ে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারেন বলেও জানা গেছে।
গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের দায়িত্ব পালন আইনগতভাবে বৈধ নয় বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন সিদ্ধান্তের পর বিষয়টি নিয়ে সোমবার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি। ওই বৈঠকে মরিয়ার্টি নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মানজনকভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এমন অনুরোধের প্রেক্ষিতেই মূলত সোমবার অনুষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৯২তম সভাটি চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই মুলতবি করা হয়েছে।
সোমবার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এবং গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয় গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের থাকাটা বৈধ নয়।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদন মতে গ্রামীণ ব্যাংকের চাকরি বিধিমালা অনুসারে অবসর গ্রহণের বয়স ৬০ বছর। মুহাম্মদ ইউনূসের বয়স ৬০ বছর উত্তীর্ণ হলেও গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে অনির্দিষ্ট মেয়াদে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে বহাল আছেন। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেয়া হয়নি। তাই গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে ড. ইউনূসের থাকাটা আইনসংগত নয়।
সোমবারে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৯২তম সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠির বিষয়টি উত্থাপন করেন পর্ষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মোজাম্মেল হক। এরপরই তিনি সভা মুলতবি করেন। গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্যদের সভা বিকেল সাড়ে তিনটায় শুরু হয়। দুই ঘণ্টা আলোচনার পর সভা মুলতবি হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা সভা থেকে বেরিয়ে এলেও সভায় মুহাম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে, তা তারা এড়িয়ে যান।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব থেকে মুহাম্মদ ইউনূসকে সরে যেতে চাপ সৃষ্টি করা হলেও দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিসরে তার পক্ষে অবস্থান নেন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বেশকিছু প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও নরওয়ে ইউনূসের পক্ষে অবস্থান নেয়। এছাড়াও আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসনের নেতৃত্বে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা তার সমর্থনে গড়ে তোলেন ফ্রেন্ডস অব গ্রামীণ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




