একসময় মনে করা হতো, পৃথিবী থালার মতো সেটা ভেবে মানুষগুলো ভয়ে বেশীদূর ঘুরতে যেতো না যদি থালার কিনারা থেকে পড়ে যায় তাহলে খবর আছে ৷
.
তারপর মানুষ সত্যের নিকটে আসলো যে আসলে পৃথিবী গোল আরো সত্যের কাছে আসলে বলা হলো, পৃথিবী পুরো গোল না, উট পাখির ডিমের মতো ৷
.
শুধু যে সাধারণ মানুষ মনে করা নিয়ে থাকে বেপারগুলো তেমনও না, বিজ্ঞানীরাও যুগে যুগে অনেক ভুল বিশ্বাস নিয়ে মেতে ছিলেন ৷ সত্য প্রমাণের চেষ্টা চালিয়ে গেছেন কিংবা তাদের যুক্তিকে সত্য হিসেবে মেনে নিয়েছেন ৷
.
টলেমি ছিলো একজন খ্যাতনামা গ্রিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী যিনি বলেছিলেন 'পৃথিবী স্থির থাকে, সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে ৷'
.
অনেকে বলেন বিজ্ঞানীরা যা বলে তা একদম ঠিক, বেপারটা আসলে তেমন না ৷ যুগে যুগে বিজ্ঞানীদের অনেক অনুমান ধারণা প্রমাণ মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে ৷
.
তারপর প্রায় দুইশত বছর পর নিকোলাস কোপারনিকাস এসে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে , 'সূর্য স্থির থাকে, পৃথিবী বরং সূর্যের চারপাশে ঘুরে ৷'
.
কে কার পাশে ঘুরে সেটা প্রমাণ করতেই বিজ্ঞানীদের শত শত বছর চলে গেছে ৷ বিজ্ঞান বললেই যে সেটা নির্ভুল সেটা কিন্তু ঠিক না ৷ আমি আবারো বলছি, শেষ কথা বলে একটা কথা থেকে যায় ৷
.
ঘুরাঘুরি নিয়ে তর্ক বিতর্ক এভাবেই চলতেছিলো, অতপর বিজ্ঞান আবিষ্কার করলো, সূর্য পৃথিবী কেউ স্থির থাকে না তারা উভয়ে তাদের আপন কক্ষ পথে ঘুরতে থাকে ৷
.
অথচ আজ থেকে চৌদ্দশ বছর আগে আল্লাহ সূরা ইয়াসিনে জানিয়ে দিয়েছেন, 'সূর্য প্রবাহিত হয়, বহমান হয়, জারি হয় তার মুস্তাক্বার্র এর উদ্দেশ্যে।'
.
অনেক মনে করে বিজ্ঞান মানেই একদম সঠিক তাহলে তারা মূর্খের সাগরে বসবাস করছে। ভুলের মধ্য দিয়ে বিজ্ঞান শুদ্ধের পথে এগুতে থাকে। আর সেই শুদ্ধতার সর্বশেষ ধাপ অবশ্যই আল কোরআন। সেটাকে বলে বিশ্বাস কিংবা ইমান।