২০২৩ সালে বন্ধুর সাথে দেখা । ২০১০ সালে তাকে ফ্রেন্ড রিকু পাঠিয়েছিলাম । ১ বছর ঝুলিয়ে রেখে ২০১১ সালে এক্সেপ্ট করেছিলো । অথচ খুব ভালো বন্ধু । এখনও বন্ধু । সবসময় বলতো তোর এই লেখা ঐ লেখা পড়ি । আজ হঠাৎ জিজ্ঞেস করলো, কিরে তুই শ্রীলেখাকে ছেড়ে দিয়েছিস?
আমি বললাম, বিয়ে করছি তিন বছর হয়ে যাচ্ছে । আমি আর ছাড়া লাগে! ওরা ই ছেড়ে চলে গেছে । সে বললো, আরে শ্রীলেখা না! সুন্দর লেখাগুলো ছেড়ে দিয়েছিস্ নাকি?
আরে না! ফেসবুক টাইমলাইন সিস্টেম পাল্টে গেছে । যারা লাইক কমেন্ট করে শুধু তাদের টাইম লাইনে লেখার দেখা মেলে । দেখা না দিলে বন্ধু কথা কইয়ো না টাইপ বেপার সেপার ।
তারপর সে আবার বললো, আমি তো তোর লাইক কমেন্ট সব আমার টাইমলাইনে নিয়মিত ই দেখি । উল্টো বললাম, দীর্ঘ তেরো বছর তোর লাইক কমেন্ট নেই বলে ফেসবুক তোকে আমার শত্রু মনে করে হয়তো তোর টাইম লাইন থেকে আমাকে লুকিয়ে রেখেছে ।
সে বড্ড হাসি দিলো । কলার উঁচিয়ে গর্ব সহকারে বললো, এক যুগেরও বেশী বন্ধুত্ব । ফেসবুকেও সেইম । তবুও কোনদিন তোর লেখা, পোস্ট কিংবা ছবি, কোনটাতে কখনো লাইক করিনি ।
আমিও আশ্চর্য হয়ে ভাবতে লাগলাম । কি পেলাম এতো বছর লেখালেখি করে! বললাম দোস্ত, কারণটা জানতে পারি? সে বললো, ‘জয়া আহসান নিয়ে তোর শত শত ফানি পোস্ট পড়েছি কিন্তু কোন দিন তাকেও তো তোকে লাইক করতে দেখিনি । সেই রাগে ক্ষোভে অভিমানে আমিও করিনা ।’

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




