কদুর কেজি ৫০ টাকা হিসেবে একটা ছোট লাউ ৮০ টাকা । পটল ৮০ টাকা । আর সব সবজির দাম ১০০ কিংবা তারও বেশী ।
মুরগীর দোকানে এক লোক এসে সোনালী মুরগীর অর্ডার দিয়ে গেছে । দামের কারণে মানুষ এখন ফার্ম ছাড়া এসব সোনালী/ টার্কি/ লেয়ারের দিকে নজর ই দিচ্ছে না তাই দোকানদারও আনে না ।
পুরো বাজারের আশি শতাংশ পাঙ্গাস আর তেলপিয়া মাছ দিয়ে ভরা । ইলিশ তো দূরের কথা মানুষ এখন রুই কাতলার দিকে জটলাও করতেছে না!
ডিম যদিও ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকার মধ্যে এসে স্থির হয়েছে । মজার বেপার হলো চিনিও ১৩০/১৩৫ টাকায় স্থির হয়েছে । খুব সহজে মানুষ বাধ্য হয়ে মেনে নিয়ে কিনে নিয়ে যাচ্ছে ।
কেজি ৪৫ টাকা ধরে এক ভদ্রলোক চাল নিয়ে যাচ্ছে তাতে ১০ ভাগের এক ভাগ অর্ধেক কালো পোকায় ভরপুর ।
পেঁয়াজের দাম তো এক ঘন্টা আগে ৮০ টাকা তার অল্প পরেই ১২০ টাকা । একঘন্টায় দেশে কি হয়েছে জানি না ।
সয়াবিন পলি নিলে লিটার প্রতি ১৬৫ টাকার নীচে পাওয়া দুষ্কর যদিও । তারমধ্যে এক দোকানদার সয়াবিন বিক্রী বন্ধ করে দিয়ে পাম তেল বিক্রী করে দেওয়া শুরু হয়েছে । মানুষ নাকি এখন এসবের ই খোঁজ করে ।
বাচ্চাদের জ্বরের সিরাপ এক লাফে ২০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা হয়ে গেছে । এটা যেহেতু নিত্যপ্রয়োজনীয় না তাই আপাতত মাথাব্যথা নেই এগুলো নিয়ে । কিন্তু পাশের ভদ্রলোক কনডম কিনতে গিয়ে প্রথমে ইশারা দিলো লুকিয়ে দিতে । নিত্যপ্রয়োজনীয় না হলে লেখায় এই প্যারা আনতাম না । পরে ১৫ টাকার জিনিস ২৫ টাকা হয়ে গেছে শুনে সে লজ্জা শরম ভুলে বলেই ফেললো, এতো দাম দিয়ে চেতনা নিরোধক কিনলে চেতনা দন্ড দাঁড়াবে কি না তা নিয়ে সন্দেহে আছি ।
সে গণতন্ত্রের চেতনার কথা বুঝালো নাতো আবার! মনে মনে বললাম, ‘শালা তুই রাজাকার!’ শাহবাগে আরেকটা স্লোগান হয়ে যাক্।