এদেশে সবচেয়ে সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু কে জানেন? তা ছিলো, জামায়াত শিবির ।
শুধু শিবির করে সন্দেহে এই দেশে তাকে পিটানো বৈধ ছিলো । শিবির ট্যাগ দিতে পারলেই তার চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার জায়েজ হয়ে যেতো ।
মাত্র কয়েকমাস আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিবির সন্দেহ এক শিক্ষার্থীকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তবে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে শিবিরের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
গত বছর চমেকে শিবির সন্দেহে চার শিক্ষার্থীকে মারধর, দুজন আইসিইউতে ছিলো ।
কয়েক বছর আগে শিবির সন্দেহে নয়জন শিক্ষার্থীকে ছুরি ও লোহার পাইপ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে পুলিশে দিয়েছিলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এরকম হাজার হাজার ঘটনা । হয়তো বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে কোন একদিন শিবির সন্দেহে পিটুনি খেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকতো না ।
প্রধানমন্ত্রী পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক সেটা তিনি সহ্য করেছিলেন । কিন্তু সে যদি কোনভাবে শিবির প্রমাণিত হতো তাহলে চারশ কোটি কেনো চার হাজার কোটি টাকা উল্টো দেশের জন্য এনে দিতে পারলেও তার বিচার ঠেকায় কে?
ধর্ষণ, খুন, ডাকাতি, রাহাজানি এদেশে কোন অপরাধ এযাবৎকালে কোন ঘটনাই ছিলো না । ঘটনা ছিলো কেবল শিবির করে কি না ।
আজ আমাকে অনেকে প্রশ্ন করে, কিছু টাকা আছে , বিনিয়োগ করবো । আপনি তো স্টক মার্কেট নিয়ে স্টাডি করেন । একটু বলেন তো, শিবির কিংবা জামাতের কোন কোন কোম্পানী স্টক মার্কেটে আছে । একটু বিনিয়োগ করতাম আরকি!