যতদিন অন্তত কিছু মুসলিমের চরিত্র নিন্মের দুটো ঘটনার মতো হবে না ততদিন বিজয় আসার সম্ভবনা নেই। অন্তত ইসলামের ইতিহাস তা বলে।
.
রূপ ও সৌন্দর্য, মাধুর্য ও কমনীয়তার মূর্ত প্রতীক ছিলেন ইউসুফ আ. । চেহারা ছিল চন্দ্র ও সূর্যের মতো দীপ্তিমান। বলা হয়ে থাকে মহানবী স. এর অর্ধেক সৌন্দর্য তার ছিলো।
.
সেসময় আজিজে মিসরের স্ত্রী জুলেখা ইউসুফের রূপে আকৃষ্ট হয়ে তাকে খারাপ কাজের প্রতি আহ্বান করেন। ইউসুফকে একা ঘরে পেয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে পাপের দিকে আহ্বান করল। একমাত্র আল্লাহর ভয়ে জুলেখার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করলেন।
.
পরে জোর করে ইউসুফকে নিয়ে কামনা চরিতার্থ করার চেষ্টা করলে তিনি দৌড় দেন। অনেক কাহিনী, পরবর্তীতে উল্টো থাকে অপবাদ দিয়ে বিচারের সম্মুখীন করা হলো। সত্যতা যাচাইয়ে ছিঁড়া জামার প্রমাণ পেশ করা হলো। জামার পেছন দিক ছিঁড়া থাকায় জুলেখা অপরাধী সাব্যস্ত হলো। তবুও জুলেখার সম্মান রক্ষায় মিথ্যা মামলায় ইউসুফকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
.
প্রথম পয়েন্ট হলো, যতদিন মুসলিমদের চরিত্র পরনারী লোভ থেকে দূরে থাকার সামর্থ্য লাভ করবে, নারীদের দেখলে আল্লাহর ভয়ে এমনকি গোপনেও চোখ নামিয়ে ফেলবে সেদিন বিজয়ের অর্ধেক প্রত্যাশা করা যায়। গোপনে কিংবা প্রকাশ্য নারী সে যত রূপবতী কিংবা সমৃদ্ধশালী হোক না কেনো।
.
দ্বিতীয় পয়েন্ট হলো, আবু তালিব মোহাম্মাদ সা.কে তার গোত্রের বাপ দাদার ধর্মে অবিচল থাকার ব্যাপারে গোত্রের নেতাদের মতামত বারংবার বোঝানোর চেষ্টা করলেন। তাদের অভিযোগ ব্যাখ্যা করলেন। সাথে দেব দেবীর উপাসনার বিরুদ্ধে অবস্থান না করার জন্য অনুরোধ করলেন। বিনিময়ে কুরাইশরা নবীর যা যা চাওয়া তা তা দিবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দিলেন। তার সব কথা শোনার পর রাসুলুল্লাহ সা. বললেন, ‘হে চাচা, আল্লাহর কসম, তারা যদি আমার ডান হাতে সূর্য এবং বাম হাতে চাঁদ এনে দেয়—এ শর্তে যে, আমি ইসলামকে ছেড়ে দেব, যতক্ষণ না আল্লাহ তাকে বিজয়ী করেন কিংবা এ পথে আমার জীবনের যবনিকাপাত হয়, তবুও আমি কিছুতেই তাকে পরিত্যাগ করব না।’ এ কথা বলে রাসুলুল্লাহ সা. কেঁদে ফেললেন।
.
বর্তমানে আমাদের মুসলিম শাসকরা নারী এবং টাকা/ক্ষমতার কাছে জিম্মী। যতদিন না ইউসুফ কিংবা মহানবী স. এর মতো চরিত্র ধারণ করতে পারবে না ততদিন বিজয় অসম্ভব অসম্ভব এবং অসম্ভব। ইসলামের ইতিহাস তা ই বলে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

