প্রায় এক যুগ আগে আব্দুল্লাহ আল নোমানের বাসায় ফুল নিয়ে গেছিলাম কারণ জাসাসের কমিটি আসছিলো আমির খসরুর মাধ্যমে। উনি এই কারণে একটু রাগ করেছিলেন।
ফুল নিয়ে যাওয়াটা, আমরা অন্য প্যানেলের শুধু এই জন্যে উনি খুব ভালোভাবে নেননি। যাই হোক, চট্টগ্রাম ভিআইপি টাওয়ারো যে রুমে থাকতেন তার সামনের একটি রুমে বিশাল জটলা ছিলো। সবাই এসে গেস্ট রুমে বসে আছেন নেতার সাথে দেখা করার জন্য।
আমরা একটি টিম নিয়ে বসে আছি। সদ্য পোস্ট প্রাপ্ত। নিজেদের মধ্যে একটা নেতা নেতা ভাব। যাই হোক, উনি ঘুম থেকে উঠলেন। এখন নাস্তা করবেন। সামনে হরেক রকমের আইটেম । দরজার ফাঁক দিয়ে দেখা যাচ্ছে। উঁকিঝুঁকি মেরে দেখতেছি কি কি খাচ্ছেন। কত সুখী মানুষ মনে হচ্ছিলো।
সেই মানুষটি মারা গেছেন। চট্টগ্রামের বাঘা নেতাদের মধ্যে অন্যতম। নামের সাথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ, সাবেক সংসদ সদস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এবং খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। কি নেই!
তার সাথে এই ছোট স্মৃতিটুকু থাকার কারণে তার মৃত্যুতে হুট করে একটি কথা মাথায় এসেছে কেনো আমরা দুনিয়ার এই সাময়িক মোহের মধ্যে দৌড়াচ্ছি। ইশ্ তিনি যদি আজ মহান সৃষ্টিকর্তার দ্বীন নিয়ে কাজ করতেন কতই না ভালো হতো।
কেউ বেঁচে থাকতে পারবে না। আমার দাদা নানা বাবা দাদী কেউ তো বেঁচে থাকতে পারেনি।
তাই রাজনীতি যদি করতে হয় তাহলে যিনি সৃষ্টি করেছেন তার দেখানো পথে ই করা উচিত। আনন্ত জীবন বাদ দিয়ে সাময়িক এই মরীচিকার জীবনে কেনো দৌড়াবো? এসব বিভিন্ন কারণে আমি অনেক মত পথ ছেড়েছি তবে ঘুরে এসেছি।
সরকার পরিবর্তনের পর বন্ধুরা বললো, আবার আসো রাজপথ কাঁপাবো। মনে মনে বললাম, পুরো বিশ্বের রাজ্যের পথ অনুসন্ধানে আছি।
কালও এক বন্ধু বললো, এখন তো আমাদের বিরুদ্ধে বলো। বললাম, সমালোচনা সহ্য করতে শিখো। সে বললো, সবার বিরুদ্ধে তো বলো না! বললাম, সবার বিরুদ্ধে ই তো বলি। আসলে সে বুঝাতে চাচ্ছে, কেনো শিবির কিংবা জামায়াতের বিরুদ্ধে বলি না। মূল কারণ হলো, ওরা একমাত্র দল যারা অন্তত মন থেকে ফিল করে, সৃষ্টিকর্তার দ্বীন কায়েম হোক। হয়তো পারে না। অনেক জটিলতা আছে। তবুও তো শেষ বিচারের দিন বলতে পারবে, চেয়েছিলাম। হয়তো পারিনি।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


