এক দল আরেকদলকে প্রশ্ন করছে, আপনাদের টাকার উৎস কি? জাতীয় নাগরিক পার্টি বলেন কিংবা ছাত্র শিবির কেউ এই প্রশ্নের উর্ধ্বে নয়।
ভালো লাগছে বিষয়টি। কিছু দিন আগেও কেউ কাউকে এই প্রশ্ন করতো না। কিংবা মাথায় আসতো না। এটাই ২৪ এর স্বাধীনতা। স্যালুট। স্বচ্ছতা জবাবদিহিতার সংস্কৃতি তৈরী হচ্ছে।
শিবির এই বিষয়ে বলছে তাদের কর্মী থেকে শুরু করে, সাথী, সদস্য, শুভাকাঙ্ক্ষী সবাই অনেকটা বাধ্যতামূলকভাবে বায়তুল মাল দিতে হয়।
আমি নিজেও একটা সময় চ.বি. কলেজে থাকতে বায়তুল মাল কালেক্ট করতাম। সুতরাং অনেকে যারা বিষয়টিকে চাঁদা হিসেবে তুলে ধরতে যেভাবে উঠে পরে লেগেছেন বিষয়টি সেই রকম না।
যতটুকু মনে পড়ে, যেমন ধরেন আমি আমার স্কুলের জনৈক স্যারদের থেকে বায়তুল মাল নিতাম কিন্তু তারা সবাই জামায়াত সাপোর্ট করতো এমন।
আমি নিজেও যদি পকেটে উদ্ধৃত থাকলে বায়তুল মাল দিতাম। সেটা সর্বোচ্চ ৫ টাকা কিংবা ১০, ২০, ৫০ টাকা । তখনি আমি প্রশ্ন করেছিলাম বায়তুল মাল কোথা থেকে দিবো? সেই সময় এক দায়িত্বশীল বলেছিলেন, দুই একদিন টিফিনের নাস্তা জমিয়েও দিতে পারো।
এরপরে যখন থেকে ঘটনাচক্রে তাদের সাথে আমার যোগাযোগ তেমন হতো না, তখন থেকে আজ অবধি শিবিরের কোন দায়িত্বশীল আমাকে বলেনি যে, শরীফ সাহেব আমাদের বায়তুল মাল দিন্।
এখনকার অবস্থা জানি না। তবে শিবির চাঁদা নেয় না। এটা আমি কাছ থেকে দেখেছি। কেউ শিবির কিংবা জামায়াত সাপোর্ট করলে কেবল তাদের থেকে প্রত্যাশা করে।
কোন ছাত্রলীগ নেতা বলতে পারবে? শিবির তার থেকে বায়তুল মাল চেয়েছে? না দিলে পিঠিয়েছে? বলতে পারবে না।
ওরা একটা রশিদ ধরিয়ে দেয়। রিকুয়েস্টে করে। এটুকুই। এভাবে করে বাংলাদেশের সব মাদ্রাসা চলে। এটাকে চাঁদা যারা বলে তারাই চাঁদাবাজী সাপোর্ট করে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


