ব্রম্মপুত্রে চীনরে বাঁধ দেওয়ার খবর শুনে যারা ভারত যব্দ হয়েছে ভেবে আনন্দিত হয়েছিলেন তারা আরও বেশী উল্লাসীত হতে পারেন এই ভেবে যে আমাদের যমুনা বেঁচে গেল। আশায় আছি সুরমাও বাঁচবে। গতকাল ভারত -বাংলাদেশ সবখানেই আলোচিত হয়েছে ব্রম্মপুত্রে চীনরে বাধ দেওয়ার বিষয়। ভারত সরকার চীনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে চীন সরকার এই বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি নাকচ করে দেন। ভারতের 'দি টাইমস অব ইন্ডিয়া ' চীনের দৈনিক ' দি চাইনা ডেইলী ' পত্রিকার বরাত দিয়ে এই খবর ছেপেছে। এই গুজবের মধ্য দিয়ে আমাদের একটা বড় প্রপ্তি হলো ভারতের জনগন এবং পিনাক বাবুরা সামান্য হলেও উপলব্ধি করেছেন নিজের উপর দিয়ে বর্তালে কেমন লাগে। ব্রম্মপুত্রে চীনরে বাঁধের বিষয়ে ভারত সরকারের প্রতিবাদ আমাদের টিপাইমুখ বিরোধীতাকে নিরঙ্কুশ বৈধতা দিয়েছে ভারত সরকারের কাছে। এখন বাকী কাজটা আমাদেরকে আরও দ্রুততার সাথে করতে হবে, দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে। মধ্যস্থতাকারী হিসাবে চীন সরকারকে আহ্বান করা যেতে পারে। চীন জাতি সংঘের ভেটো মতাসম্পন্ন একটি দেশ্ টিপাইমুখ বিষয়ে চীনের সহযোগিতা আমাদেরকে গন্তব্য দিতে পারে। পররাষ্ট্র মন্ত্রির উচিত দ্রুত পার্শ্ববর্তীদেশ গুলোর সমর্থন সংগ্রহে ক্যম্পেইন শুরু করা। কিন্তু হায়! এখনও পরিদর্শন কমিটির কোন আপডেট পাওয়া গেল না।
মণিপুরের ' দি সিটিজেন কনসার্ন পর ড্যামস এন্ড ডেভেলপমেন্ট ' এর সংযুক্ত সশ্পাদক জীতেন ইয়ুমনাম গত ৯জুন ইশ্ফলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের দেশজ জনজাতি বিষয়ক ফোরামের বৈঠকে যোগ দিয়ে তিনি নির্ণেয়মান টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্পের বিপদের কথা তুলে ধরেছেন।
আমাদের সরকারের বোধন কবে হবে কে জানে। জীতেন ইয়ুমনাম এর মত সাহসী কিছু প্রবসী বাংলাদেশী জাতিসংঘের কাছে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই সাহসী বাঙ্গালীদের জন্যেই আশা করতে ইচ্ছে করে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০০৯ দুপুর ১:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




