বিদ্যুত উত্পাদনের জন্যে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হল কয়লা বিদ্যুত । কোয়াল পাওয়ার প্লান্ট একটা সময় পর্যন্ত বিদ্যুত উত্পাদনের একমাত্র উপায় ছিলো । হাওয়া বিদ্যুত বা জল বিদ্যুত অথবা গ্যাস বিদ্যুত কেন্দ্রের মাধ্যমে যতটুকু বিদ্যুত উত্পাদন সম্ভব , কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্রের মাধ্যমে তার চেয়ে কয়েকগুন বেশী শক্তি পাওয়া যায় । তবে কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র পরিবেশের জন্য যথেষ্টই ক্ষতিকর । এজন্যে উন্নত বিশ্বে বিদ্যুত উত্পাদনে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবহৃত হচ্ছে পারমানবিক শক্তি ।
বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য ক্রমাগত বেড়ে চলা বিদ্যুত চাহিদার সাথে পাল্লা দেওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র । পরমানু বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের বিলাসিতাও সম্ভব না , অন্যান্য উপায়ে বিদ্যুত্ উত্পাদন করে ঘাটতি মেটানো সম্ভব না ।
ঠিক যে কারণে ঢাকা শহরের মাঝখানে একটা ইট ভাটা স্থাপন করা যায় না , তেমনই জনবহুল এলাকায় কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব না । এমন জায়গা যেখানে প্রচুর গাছপালা আছে , লোকালয় থেকে দূরে , সেখানেই কয়লা বিদ্যূত কেন্দ্র স্থাপন সম্ভব । এটা বিশ্বব্যাপী কয়লা বিদ্যূত কেন্দ্র স্থাপনের নিয়ম ।
সারা বিশ্বের বিভিন্ন কয়লা বিদ্যূত কেন্দ্রসমূহঃ
তাইচুং পাওয়ার প্লান্ট , চীন
চীনের এই বিদ্যুত্ কেন্দ্র থেকে বার্ষিক 42,000 GW·h বিদ্যূত উত্পন্ন হয় । সাউথ আফ্রিকা , আমেরিকা ইন্দোনেশিয়া থেকে বিটুমিনাস কয়লা কিনে এটা চালানো হয়।
বেলশাতো ইলেকত্রোনিয়া পাওয়ার স্টেশন , পোল্যান্ড
বার্ষিক 27-28 TWh বিদ্যুত উত্পাদনক্ষম পোল্যান্ডের এই বিদ্যুতকেন্দ্র এগারোতম দূষণকারী কারখানা রুপে গন্য করা হয় ২০০৭ সালে । বেলশাতো পাওয়ার প্লান্ট ১৯৮২ থেকে পোল্যান্ডের মূল বিদ্যূত কেন্দ্রের একটি।
রাটক্লিফ পাওয়ার প্লান্ট , ইংল্যান্ড
ইংল্যান্ডের নটিংহ্যামশায়ারের এই কয়লা বিদ্যূত কেন্দ ট্রেন্ট নদীর তীরে অবস্থিত । বাত্সরিক দশ মিলিয়ন টন কার্বন ইমিশনকারী এই কারখানায় ব্যবহৃত হয় FGD পদ্ধতি । এতে উদ্ভিতের উপর সালফারের ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস পায়।
এরকম অসংখ্য উদাহরণ দেয়া যায় ।
ওয়ারডল এলভারলিং পাওয়ার স্টেশন , জার্মানী
শলভেন পাওয়ার স্টেশন , জার্মানী
ল্যাম্বটন কোয়াল প্লান্ট , কানাডা
সাতপুর কয়লা বিদ্যূত কেন্দ্র । ভারত
থাই বিন কোয়াল প্লান্ট । ভিয়েতনাম
সুন্দরবনসহ যেকোনো বনাঞ্চলই আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ । কিন্তু কয়লা বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের জন্যে এর আশেপাশেই স্থান নির্বাচন করতে হবে । যাতে করে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড কার্বন মনোক্সাইড শোষিত হয় । সেই সাথে FGD এর মতো উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বৃক্ষরাজীকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থেকে বাঁচাতে হবে ।
বন বাচুক । মানুষ বাচুক ।
পোস্টটি লিখেছেনঃ অর্ফিয়াস রিবর্ন
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




