somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পদ চিহ্ন

২২ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


রাত সাড়ে এগারটার মত বাজে, সময়গুলো আমার মোটেও ভালো যাচ্ছে না। চারিপাশ থেকে নানান চাপে জর্জরিত জীবন বন্দি হয়ে গেছে যন্ত্রণা নামক কারাগারে। হতাশা,ব্যর্থতা ঝেকেঁ বসে আছে ঘাড়ের উপরে। সদ্য জন্ম নেওয়া স্বপ্নগুলো ভুপাতিত হচ্ছে, আবার নতুন করে স্বপ্নের চাড়া গজাচ্ছে, হঠাৎ আসা আলোয় বেচেঁ থাকার ইচ্ছা শক্তিকে পূর্ণজ্জীবিত করে বাচাঁর পথে পা বাড়াতেই আবার এক ঘোমট অন্ধকারে ছেয়ে যাচ্ছে জীবন। তবু বেচেঁ থাকতে হচ্ছে, জন্ম নিয়েছি এই পৃথিবীতে একটা পদ চিহ্ন রেখে যাওয়ার জন্য তাই, আবার দুঃখবোধও হচ্ছে কেন সেই সব মানুষের মত হতে পারলাম না, যারা শুধুই জন্ম নিয়েছে এই ধরনীমাতাকে ধ্বংস করে যাওয়ার জন্য, যারা এসেছে আবার চলেও যাবে, থাকবে না এদের কোন চিহ্ন।
চোখ বন্ধ করে বসে আছি, চোখের সামনে নিজের দুরবস্থার চিত্রগুলো দেখেও আশার স্বপ্নগুলো দেখছি। মোবাইলের শব্দে সেই মৌনব্রত অবস্থার ছেদ পড়ল, একটা অপরিচিত নাম্বার। ইদানিং অপরিচিত নাম্বারগুলো থেকে ফোন আসার পরিমাণ যতটা বেড়েছে ঠিক ততটাই কমে গেছে পরিচিত দের ফোন আসার চিত্র। গাণিতিক হারে বেড়েছে উল্টো দিকে জ্যামিতিক হারে কমেছে পরিচিতদের ফোন আসা। দুইদিনে একটা ফোন আসলেও আসতো এখন সেটা সাত দিন বা পনের দিনেও আসে না। আশ্চর্য্য আমি খুব একটা হই না, এই অবস্থাতেও হইনি। সুখের ভাগ হয়, কিন্তু দুঃখ এর ভাগ হয় না বিশেষ মানুষ ছাড়া। ফোন উঠাবো কি না তাই ভাবছি, ফোন উঠালে ওপর প্রান্ত থেকে হুমকি, ধামকিও আসতে পারে। পাওনাদারেরা বড্ড বেশি অধৈর্য্য হয়ে পড়েছে, কোন ভাবেই আর বিশ্বাস বা আস্থা রাখতে পারছে না। কাউকে দোষারুপ করি না, নিজের ব্যর্থতা কাদে তুলে নিয়েছি। যা হওয়ার হবে এই ভেবে ফোন উঠিয়ে চুপ করে থাকলাম। ও পাশ থেকে বলল,
তুমি আসতে পারবে এখন?
কোথায়?
রাজপথে
কেন নয়, নিশ্চয়।
চলে আস, অনেক দিন হলো দেখা নেই তোমার। এক সাথে আবার রাজপথের কৃত্রিম লাইটের আলো মুখ দর্শন করি ।
সিগারেট আছে ত? আমার কাছে কিন্তু টাকা পয়সা নেই একদম।
ব্যবস্থা হয়ে যাবে চলে আস, আমি জানি তোমার দূরাবস্থার কথা। রাখছি, অন্যের ফোনের টাকা শেষ করে লাভ নেই।
ফোনটা কেটে গেল। চোখটা বন্ধ করে একটা প্রিয় মানুষের ছবি কল্পনা করলাম। মানুষ কত বিচিত্র হয়, কত কিছুই সহ্য করে এগিয়ে যায়। কত ভাবেই মানুষ সুখ কুড়িয়ে বেড়ায়। মোবাইলটা টেবিলের উপরে রেখেই বের হয়ে পড়লাম। চাঁদের মৃয়মান আলোর আলো এই ধরণীর বুকে পড়ছে না, কৃত্রিম আলো বাধাঁ সে বেধ করে মাটির বুকে পতিত হতে পারে না, আর মাটিই বা বলছি কেন, এখানে মাটি কোথায়? যা আছে সব ত মাটির বুক জ্বালিয়ে গড়ে উঠা সংকর এক বস্তু।
আধ ঘন্টা পথ হাটার পর কাঙ্খিত জায়গায় এসে উপস্থিত হইলাম। আমাকে দেখেই এগিয়ে আসল চিরচেনা সেই মানুষটা।
কি? চশমা তাহলে সর্ব সময়ের সঙ্গী হয়ে গেল?
দেখতেই পাচ্ছেন। আপনার অবস্থা কি?
কঠিন প্রশ্নের উত্তরটা যে জানা নেই আমার। তোমাকে বহুবার বলেছি এই কঠিন প্রশ্নটা আমাকে করিও না।
সৌজন্য বোধ থেকে হলেও এই ধরণের প্রশ্ন আমাদের করতে হয়।
কার জন্য এই সৌজন্যতা, কিসের জন্য? যাইহোক দাড়িঁয়ে না থেকে চলো হাটি। আজকে তোমাকে একজন মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব, কিন্তু প্রথমবার এবং শেষবার।
এটা আবার কেমন কথা?
কেমন কথা সেটা পরেই বুঝতে পারবে, আপাতত একটা গল্প শুনবে?
পথিক গল্প বলবে আর সেটা আমি শুনব না এই কি কখনো হয়?
তোমার একটা বিষয় আমার ভালো লাগে, তুমি ব্যতিত কেউ আমাকে নাম ধরে ডাকে না, বা ডাকলেও তোমার আর আমার নামের মধ্যে গুলিয়ে ফেলে আর অধিকাংশ সময় তোমার নামেই ডাকে।
এখনো তাহলে সেই দিনগুলো তোমার কাছে ফিরে ফিরে আসে, যখন এক সাথে দীর্ঘটা সময় পার করেছি।
চল, আনিছের গল্প বলব তোমায় আজ।
আমার গল্প, ভালোই ত, তোমার মুখে তাহলে আমার গল্পও শুনতে হবে।
না, তোমার গল্প আমি কখনো করি নাই, তবে আশা করি জীবনে একটা বই আমি লিখব আর সেই বই এর মূল চরিত্র হবে তুমি। আমার বিশ্বাস আমার চেয়ে ভালো তোমাকে কেউ চিনে না।
মাত্র দুইটা বছর হল আমরা আলাদা, বাকী জীবনের পুরু সময়টা-ই ত এক সাথে কাটাইলাম। আবার এক সাথে হয়ে যাব হয়ত খুব তাড়াতাড়ি। সিগারেট দাও?
তুমি না সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।
হ্যাঁ দিয়েছি, কিন্তু আজ খাব এবং ভবিষ্যতেও খাব।
কেন, আবার কী হলো?
তোমার গল্প বল।
বলতে ইচ্ছা করছে না, চল ল্যামপোষ্টের নিচে বসি, এই চিঠিটা পড়ে দেখতে পার।
একটা সিগারেট ধরিয়ে বসে পড়লাম ল্যামপোষ্টের নিচে। সুন্দর হাতের লেখায় একটা চিঠি।
চিঠিটা পড়া শুরু করলাম,
প্রিয় পথিক ভাই,
চিঠিটা আমি আপনাকে উদ্দেশ্য করে লেখার দুটো কারণ আছে। প্রথম আমি যাকে লিখতে চেয়েছিলাম তাকে কষ্ট দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়, আর আমি চাইনা সে আমার জন্য কষ্ট পাওক। আর দ্বিতীয়ত্ব, আপনিই এক মাত্র ব্যাক্তি যে আমাকে বুঝবেন।
আমার অবস্থা সম্পর্কে নতুন করে আপনাকে বলার মত আর কিছুই নাই। মাথার উপরে হাজার দেনা, তারউপরে বেকার মানুষ। একটা চাকুরির জন্য কত মানুষের পায়ে ধরেছি তাও আপনি জানেন। পড়াশোনাটা কোন ভাবেই আর শেষ করতে পারছি না, আর কখনো ভাবিনি জীবনের মধ্যপথে এসে থেমে যেতে হবে আমাকে এভাবে। আপনি প্রায় সময় আমাকে একটা কথা বলতেন, কখনো নিজের ব্যর্থতার দায় কারো উপরে না দিতে, সত্যিই আমি আমার ব্যর্থতার জন্য কাউকে দায়ী করছি না। যা কিছু হয়েছে সবকিছুই আমার নিজের জন্য হয়েছে। জীবন পথে চলতে গিয়ে হয়ত আমাকে আরো অনেকটা সংযমী হওয়ার প্রয়োজন ছিল কিন্তু সেটা আমি হতে পারিনি। এক জীবনে অনেকগুলো ভুল করেছি, ভুলের জন্য অনুশোচনাও হয়েছে। কিন্তু কখনো ক্ষমা পাইনি। বাবার জন্য আমার কোন দুঃখ নেই, কারণটা নিশ্চয় জানেন। হতাশা আমাকে চরম ভাবে ঘিরে ধরেছে, ব্যর্থতার পথে হাটতে গিয়ে আমার পায়ে যতগুলো কাটাঁ বিদ্ধ হয়েছে তার সবগুলো দিয়েই এখন রক্তপাত শুরু হয়েছে। তবু আমি বাচঁতে চেয়েছি, নিজের সাথে যুদ্ধ করেছি, নিজেকে বুঝিয়েছি কখনো হয়ত ভালো কিছু একটা হবে। কিন্তু না, যা আশা করেছি তাই হারিয়েছে, কখনো ভালো কিছু হয়নি। জীবন চলতি পথে একটা স্বপ্ন চাই, একটা আশা চাই সেই আশার প্রদীপটুকুও নিভে গেলে মানুষ আর বেচেঁ থাকে না।
যোগ্যতার প্রশ্নে আমি বারবার ফেল করেছি মানুষে কাছে, কখনো নিজেকে কারো কাছেই কোন ভাবেই যোগ্য করে তুলতে পারিনি। আমার অপরাধ বা ভুল কোথায় ছিল তাও আমাকে কেউ বলে দেয়নি, উপরন্তু বলেছে, নিজের ভুল যে নিজে শুধরাতে পারে তারচেয়ে জ্ঞানী আর কেউ নয়। আপনার কাছে প্রশ্ন থাকল, সবাই কি জ্ঞানী হতে পারে? নিজের সব কিছু কি নিজের চোখে দেখা যায়?
একটা আশা আমার ছিল, স্বার্থপর হয়ে গিয়েছিলাম খুব, তাই সুখি হওয়ার চিন্তায় মগ্ন হয়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, একজন মানুষ থাকবে যাকে নিয়ে আমি আমার ভাঙা স্বপ্নগুলো জোড়া লাগিয়ে আবার নতুন করে শুরু করব। কিন্তু সেই পথটাও ভঙ্গুর। আমি কাউকে নিয়ে কিছু ভাবার আগে যোগ্যতার প্রশ্ন এসে ভর করে আমার উপরে, আমি কোন সদুত্তর পাই না নিজের কাছে, তবু বারবার প্রশ্ন করি, আমি কেন অযোগ্য? কিন্তু বারবার একই উত্তর আসে, আমার কাছে যারা অযোগ্য যে কারণে আমিও হয়ত অন্যদের কাছে অযোগ্য সেই একই কারণে।
ইদানিং হিংসা বা ক্রোধটাও বেড়ে গেছে, কারণে অকারণে মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করা শুরু করে দিয়েছি। ব্যাক্তি বিশেষ এর কাছে কথা দিয়ে কথা রাখতে পারছি না, নিজেকে প্রতারক মনে হচ্ছে।
ভালোবাসা নিয়ে কয়েকটা কথা বলব, আপনি সব জানেন, তবু বলছি প্রেম ভালোবাসা আমি কখনোই পাইনি, যা পেয়েছি তার সবটুকুই করুণা,দয়া। কিন্তু করুণা বা দয়া দিয়ে কতদিন আর বেচেঁ থাকা যায়? ভাবছেন আমি আবেগের বশে হয়ত এমন কথা ভাবছি, কিন্তু না আপনি ভালো করেই জানেন আমি আর সেই আঠারো বছরের তরুণ নেই যে আবেগের বশে অনেক কিছুই করতে পারে। সাত ঘাটের জল আমি খেয়েছি, যেমনটা খেয়েছে আপনি আর আপনার বন্ধু।
আবেগের প্রসঙ্গ যেতেহু উঠেছে তাই একটা কথা না বললেই নয়, একটা অনুরোধ করব রাখবেন, বিশেষ সেই ব্যাক্তিটির দেখা যদি কখনো পান তবে বলবেন, আমি আবেগের বশে নয়, সত্যিই তার কাছে একটা আশা খুজেঁছিলাম, স্বপ্ন খুজেঁঁছিলাম। জীবনে যত কষ্টই আসুক তবু যেন আমি সেই আশা কে নিয়ে বেচেঁ যেতে পারি। আমার দূর্ভাগ্য বলতে হয়, আমার একজন ভালো বন্ধু ছিল বটে কিন্তু কখনো সে আমাকে আশা দেখায় নি, স্বপ্ন দেখায়নি, তাই আশাহত করার প্রশ্নই উঠে না। দোষ দিচ্ছি না, তার প্রসংশা করছি, সে সত্যিই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তটা নিয়েছে। হয়ত পারত সে আমার সাথে মিথ্যে অভিনয় করে আমাকে আরো কিছুদিন বাচঁতে সাহায্য করতে, বা নিজের ভালোলাগা, ভালোবাসা, স্বপ্ন ইচ্ছাকে বির্সজন দিয়ে আমাকে বাচাঁতে কিন্তু তাতে আমারই যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিটা হত। আমি ত তাকে ভালো দেখতে চেয়েছি সব সময়।
চিঠি পড়া থামিয়ে পথিককে জিজ্ঞাস করলাম, ছেলেটা মারা গিয়েছে নাকি? নিশ্চয় আত্মহত্যা করেছে।
পথিক নিশ্চুপ থেকে সিগারেট টানতে টানতে হাতের ইশারায় চিঠির দিকে ইঙ্গিত করল। বুঝলাম চিঠি পড়ে শেষ করতে বলছে। আমি আবার চিঠিতে মনোনিবেশ করলাম।
শেষের কয়েকটা দিন আমার অবস্থা এমন হয়েছে যে আমি আর কোন ভাবেই চলতে পারছিলাম না, তিনটা মাস অর্ধাহারে, অনাহারে দিন যাপণ করতে হয়েছে। যতবার কিছু একটা করার চেষ্টা করেছি ততবারই ব্যর্থ হয়েছি। মাঝের কয়েকটা দিন ফুতপাতেও ঘুমিয়েছি খালি পেটে। দোষারুপ নয়, যখনই বলেছি আমি আর পারছি না আমাকে একটু খাবার দাও ততবার বলেছে কষ্ট করে পড়াশোনাটা শেষ কর,সব হবে, ভার্সিটিতে যা। প্রতিদিন হেটেঁ হেটেঁ শুধু পানি খেয়ে তার সেই আদেশ আমি পালণ করে গিয়েছি। শেষ পর্যন্ত একটা আলোর মুখ দেখেছিলাম কিন্তু সেই আলো এতটাই ক্ষীণ যে নিজেই জ্বলতে পারে না। আমাকে পথ দেখানোর মত সক্ষমতা তার ছিল না।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাই যে বলতে ভুলে গিয়েছি, আমার সমস্ত কিছু আমি দান করে দিয়েছি, আশা করি সেটার সদ্বব্যবহার হবে।
আপনার জীবনের আরেকটা অভিজ্ঞা যোগ হোক, আরো সম্বৃদ্ধ হোক আপনার জ্ঞানের পৃথিবী, শুধু একটা কথা ভাই, জ্ঞানের কদর এই সমাজে নাই। আমার বিশ্বাস আপনার পরিণতি আমার মত হবে না, কিন্তু বুকে হাত দিয়ে একবার বলতে পারবেন, আমি ভালো আছি।
কাগজটা ভাজ করে পথিকের হাতে দিয়ে বললাম, নিরব হয়ে আছো কেন?
তুমি কখনো মৃত্যু দেখেছ মানুষের?
কেন তুমি জাননা?
চল আজকে ভিন্ন রকম একটা মৃত্যু দেখাই।
মানে, তুমি কি বলতে চাইছ?
ছেলেটা মারা যাবে একটু পর।
পথিক এটা কিন্তু ক্রাইম হচ্ছে, কেউ আত্মহত্যা করছে আর তুমি সেটা জেনেও প্রতিহত করার চেষ্টা করছ না।
কি করব আমি? প্রতিদিন কত মানুষ মারা যাচ্ছে, চোখের সামনে জলজ্যান্ত মানুষগুলোর মৃত্যু দেখেও কি আমরা প্রতিহত করতে পারছি।
তাই বলে!………….
দাড়িঁয়ে থেকো না, হাটা শুরু করো নয়ত মিস করবে।
আমি এটা সহ্য করতে পারব না।
পারতে হবে, নিজেকে বাচাঁনোর জন্য হলেও করতে হবে।
আমি নিশ্চুপ হয়ে গেলাম, পথিকের যুক্তির কাছে কোন কালেই আমার কোন যুক্তি দাড়াঁতে পারেনি, আজো পারবে না। এ আমার ব্যর্থতা, আমি যুক্তি দিতে পারি না। এগিয়ে যাচ্ছি, ক্রমশ একট দৃশ্য প্রতিয়মান হচ্ছে। রাস্তা ছেড়ে রেল লাইন ধরে হাটা শুরু করেছি আমরা। দূরে কেউ হেটে যাচ্ছে, একটা বিজ্র, কতগুলো উচুঁ উচুঁ বিল্ডিং, লাইনের পাশে ময়লা আবর্জনা, ডাস্টবিন। ঘড়ির কাটা দুই এর ঘর ছুঁই ছুঁই করছে, একটা উজ্জল আলো আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। একটা আর্তচিৎকার ভেসে এল কানে, ট্রেনের হুইশেল এর তীব্র শব্দ বেদ করে, ক্ষমা কর পৃথিবী আমি তোমার বুকে কোন পদ চিহ্ন রেখে যেতে পারলাম না। পথিক দাড়িয়ে গেছে, ট্রেন এগিয়ে আসছে হাত ধরলাম পথিকের, এক টানে লাইন থেকে নামিয়ে নিয়ে এলাম। পথিক আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে, নিস্পলক চোখের সেই চাহনি, আমিও তাকাইলাম, উজ্জল একটা তারা হঠাৎ ছুটে হারিয়ে গেল,যেন আকাশের বুক থেকে এখুনি খসে পড়ে গেল। নির্বাক, নিথর, নিস্তব্ধ সব! ।।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:০৫
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭



অনেক দিন পর আমি আজ এই হোটেলে নাস্তা করেছি। খুব তৃপ্তি করে নাস্তা করেছি। এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা। ঠিকনা: ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডম ভবেরচর, গজারিয়া, মন্সীগঞ্জ। দুইটি তুন্দুল রুটি আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

জলদস্যুরা কি ফেরেশতা যে ফিরে এসে তাদের এত গুণগান গাওয়া হচ্ছে?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭


জলদস্যুরা নামাজি, তাই তারা মুক্তিপণের টাকা ফেরত দিয়েছে? শিরোনাম দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আসল খবর যে সেটা না, তা ভেতরেই লেখা আছে; যার লিংক নিচে দেওয়া হলো।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×