দেখতে দেখতে আবার পা বাড়াচ্ছি আরেকটি শতকের দিকে। না নিজের বয়স নয়, ব্ল্লগে পোস্টের সংখ্যা। এরকম সময়ে নিজস্ব লেখার এলোমেলো ভাবনাকে ঠেসে ধরে প্রিজমে ফেলে প্রত্যাশা ও সম্ভাবনাগুলো নিজস্ব প্রতিবিম্বে প্রকাশ করতে চায়। নিজের ক্ষ ুদ্র ভাবনাগুলো একগুচ্ছ কথার ফুলঝুড়িতে বিশেষভাবে প্রকাশের জন্য অপেক্ষমান হয়ে থাকে শতকের লগ্নে। তাই, এই অলস মুহুতের্্ব ভাবছি শতক নিয়ে লেখার ঝুড়ি কি দিয়ে ভরব? শুরু করা যায় যে কোন ভাবে, কিন্তু শেষ করব কি দিয়ে? মানুষের চাওয়া-পাওয়ার হিসেব কি আর অংক কষে মেলানো যায়? কারণ, স্বপ্নের তো কোন অবয়ব নেই, প্রত্যাশারও নেই কোন সীমান্ত। আরও চমৎকারভাবে বলেছেন গালিব:
"শত-শত বাসনা এমন যে প্রত্যেকটির জন্য প্রাণ যায়-যায়;
অনেক বাসনা আমার পূর্ণ হ'লো, তবুও কম হ'লো"
শতক নিয়ে বক্তৃতা হাঁকানো একটা অলিখিত বিধি বিধান হলেও অনেকেই খুব নীরবে শতক উদযাপন করছেন। আমার কাছে মনে হয়, প্রতিটি শতক একটি অর্জনের প্রতীক। তাকে নিয়ে একটু উৎসব উদযাপন মোটেও বাড়াবাড়ি না। বাংলা ব্ল্লগে উষ্ণতা ও আদর্্রতার ছোঁয়ার মধ্যে আমাদের নিজস্ব অবয়ব খুব কাটছাঁট ছাড়া ফুটে উঠে। এতো আমি, আমরা আর আমাদের অবিকৃত প্রতিবিম্ব স্পস্ট হয়ে উঠে। ভাল হোক আর খারাপ হোক, তাকে লুকিয়ে কি লাভ? অস্বীকার করে কি লাভ?
তবে এটা নিশ্চিত আড্ডার নৈর্ব্যক্তিক প্রকাশকে খুব ব্যক্তিগত ছোঁয়া দিয়ে আত্মাহুতি করতে চাই না। থাকুক নৈর্ব্যক্তিকতা নিজস্ব স্বাচ্ছন্দ্যের গন্ডিতে। যেখানে নিজেকে প্রকাশের অতি মানবিক ইচ্ছেটা তক্কে তক্কে থাকে সুযোগের সেখানে সযত্নে নিজেকে আড়াল করে রাখার মধ্যে তৃপ্তি খোঁজা অবশ্যই কস্টকর। তাই, সুযোগ আসার পরও অনেকের খুব কাছাকাছি আসতে না পারার অপরাধবোধটা খুব একান্তে নিজেকে দগ্ধ করে। এই একান্ত অপরাধবোধ লাঘবের জন্য এই সুযোগে ক্ষমা প্রার্থনা করে নেয়াটা খুব প্রাসঙ্গিক মনে হলো।
তাই, আড্ডার শতক নিবেদিত হবে শেকড়ের সন্ধানে। শেকড় দেয় বৃক্ষের পরিচয় ও বিস্তৃতি। তাই, শেকড় কেটে বৃক্ষের বিস্তার হবে কি করে? আমাদের জীবনের অসমাপ্ত ও খন্ডিত স্বপ্নগুলো হন্যে হয়ে গন্তব্যের দিকে ছোটে যাতে স্বপ্নগুলো দিনের আলোর মতো সত্য ও বাস্তব হতে পারে। সেই স্বপ্নগুলোকে অস্বীকার করি কিভাবে? তাই আমার লেখার পরতে পরতে এই একমাএিক প্রকাশ তীব্র হয়ে উঠে। আমার সওায় প্রতিনিয়ত অনুরণিত হতে থাকে:
"সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে।
সার্থক জনম, মা গো, তোমায় ভালোবেসে"
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



