..................কষ্টের সমাপ্তি.................
কতইনা ঘুরেছি নগরে-নগরে হাতে একগাদা কষ্টফুল নিয়ে,
দীনহীন জীবন কাটিয়েছি পথে পথে,
কষ্টের হাটে হাটে ফেরি করে ঘুরেছি,
একটুখানি কষ্ট বেচব বলে ।
কেউ কষ্টগুলো কিনে নিবে, আমাকে মুক্তি দিবে ।
কোন রুপবতী এসে বলবে, আপনার কষ্টগুলো কি আমার কাছে বেচবেন?
কষ্টগুলো কি আপনি সইতে পারবেন ? আমি বলব ।
সইতে পারি আর না পারি শেয়ার করতে পারবতো ।
না কেউ বললো না ।
আমার কষ্ট আমার কাছেই রয়ে গেল ।
দিনে দিনে কষ্ট বেড়েই চলল ।
একদিন, একাকি নিঃস্তব্দ মহুর্তে আলো-আধারের মিলনক্ষণে,
কষ্টের ভার এতোই বেড়েছিল যে, আর পারছিলাম না ।
কোলাহলপূর্ণ রাস্তার বাঁকে ,
চারিদিকে তাকিয়ে আছি আমি,
মনে হচ্ছে কেউ আপন নয়,
সবাই নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত ।
কাঁদতেও পারছি না, চোখের অশ্রু আগেই শুকিয়েছে ।
কষ্ট বের হতে পারছে না, বুকের ভিতরটা মোচড় দিয়ে উঠল ।
মাখাটা ঘুরে যাচ্ছে,বুকে প্রচন্ড কষ্ট,আর পারলাম না বসে পড়লাম।
এভাবে কত সময় যে পাড় হলো,
তা দেখার শক্তিটুকুও নেই ।
হঠাত্,
এক অপ্সরা আমার হাতে তার কোমল হাতটি ছুয়ে দিল ।
আমি চমকে উঠলাম, কে ? কে ?
উঠুন আপনি । আমি আপনাকে বাসায় পৌছে দিচ্ছি ।
অস্পস্ট আলোতে পরিস্কার দেখতে পাচ্ছিলাম না,
কিন্তু তার কোমল হাতের ছোয়া আমার মনপ্রাণ ছুয়ে দিল ।
কে তুমি মহীয়সী, প্রেমময়ী !
আমার কল্পনার সেই নারী ,
কাঁদতে পারিনি সেদিনও,
শুধু চোখের ধার বেয়ে ঝরে পড়েছিল একবিন্দু অশ্রুফোটা ।