ছবিতে সর্বহারা যে লোকটিকে দেখতে পাচ্ছেন, ইনি কোন জঙ্গী নন। ইনি সরকারি কিংবা বিরোধী দল অথবা প্রাক্তন কোন বিরোধী দলের ক্যাডার নন, ক্যাডার দের চ্যালা চামুন্ডাও নন। সরকারি বা বিরোধীদলের অথবা বি এন পির কোন ক্যাডারের বা তাদের কোন চ্যালা চামুন্ডার কোন ক্ষতি সে করেনি। অদূর ভবিষ্যতে করত বলেও মনে হয় না। সে ধর্ম বিদ্বেষী কোন মন্তব্য করেছে বলে মনে হয় না।
কিন্তু জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে তার ঘড় বাড়ি। তার পরিবার , সে এবং এমন অনেক মানুষ আজ নিঃস্ব। কেউ কেউ চীর নিদ্রায় শুয়ে পড়েছে।
কেন?
কারণ, ইনি এবং উনারা সংখ্যালঘু। হিন্দু সম্প্রদায়। উপজ, মালাঊন!
কোন কিছু হলেই এদের উপর হামলা করে সোয়াব কামন কিছু মানুষের স্বভাবে পরিণত হয়েছে।
ইনারা, নিরপেক্ষ থাকলেও এদের ইন্ডিয়ার দালাল বলে মারা হবে।
এই বৈষম্য উস্কে দিতে তৎপর আমাদের মিডিয়া এবং হলুদ সাংবাদিকতা। তারা খুব সুন্দর ভাবে হিটের জন্য পত্রিকায়, খবরে এদের "সংখ্যালঘু" অথবা "মালাউন" নাম দিয়ে উগ্র ধর্ম ব্যাবসায়ী জঙ্গীদের শিকার হিসেবে দেখিয়ে দিচ্ছেন। আর এভাবেই প্রাণ হারাচ্ছে, নিরিহ বাংলাদেশীরা।
আজ থেকে আমরা যদি এই "সংখ্যালঘু" শব্দটা ব্যাবহার বাদ দেই, তাহলে হয়ত তারাতারি কোন সুফল নাও পেতে পারি, কিন্তু আস্তে আস্তে আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ থেকে ধর্ম বৈষম্য উঠে যাবে বলে আশা রাখি।
আপনার মনে হতে পারে অনলাইন ক্যাম্পেইন দিয়ে কি হবে? অফলাইনে আমরা কিছুই করছি না! ব্যাপারটা হাস্যকরও লাগতে পারে। কিন্তু মনে করে দেখুন , শাহবাগে হাজার হাজার মানুষ কিন্তু জড় হয়েছিল একটা অনলাইন উভেন্টের মাধ্যমেই। অর্থাৎ , অনলাইনের মাধ্যমেও জনমত গড়া সম্ভব।
এই মুহূর্ত থেকে "সংখ্যালঘু" "সংখ্যা গরিষ্ঠ" শব্দ গুলো বর্জন করলাম। "সংখ্যা লঘু" "সংখ্যা গরিষ্ঠ" , "মালু" , "মালাউন" শব্দ মুক্ত থাক আমাদের স্বাধীন মাতৃভূমি। এখানে আমরা সবায় বাংলাদেশী। কেউ হিন্দু, মুসলমান, খ্রিষ্টান হিসেবে অন্যদের না দেখি আর।
দেশটা আমাদের সবার। এদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা। বিশেষ করে দেশে অবস্থান রত ৪% জামাতির ভয়ে। এরা আমাদের মাঝে বসবাস রত পাকিস্তানি। এদেরকেও বর্জন করার আহ্বান জানাচ্ছি এইসব উস্কানি মূলক শব্দের সাথে সাথে।
সংখ্যালঘু , মালাউন, মালু এ জাতীয় উস্কানি মূলক শব্দ নিষিদ্ধ হোক
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
৪০টি মন্তব্য ৩৬টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।